somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাদিস সংগ্রহ - ২

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হাদিস সংগ্রহ - ১

৬৪. সকল সৃষ্টিই আল্লাহর পরিবার। এই পরিবার অর্থাৎ সৃষ্টির সেবাকারীকেই আল্লাহ বেশি ভালবাসেন। -বায়হাকি

৬৫. শুধুমাত্র দয়ালুকে আল্লাহ দয়া করেন। তাই জীবে দয়া কর; আল্লাহ তোমাকে দয়া করবেন। -আবু দাউদ

৬৬. নিজের জন্যে যা আকাঙ্ক্ষা কর, অন্যের জন্যেও তা-ই আকাঙ্ক্ষা করবে। তাহলেই তুমি প্রকৃত বিশ্বাসী হতে পারবে। -বোখারী

৬৭. প্রয়োজন ছাড়া অন্যের বিষয়ে নাক গলাবে না। এটাই প্রকৃত মুসলমানের পরিচয়। -আবু দাউদ

৬৮. অক্লান্ত পরিশ্রম কর। তাহলে আল্লাহ তোমাকে পুরস্কৃত করবেন। -বায়হাকি

৬৯. সৎকর্ম ও সত্যনিষ্ঠায় প্রথম হওয়ার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা কর। তাহলেই সফলকাম হবে। -বায়হাকি

৭০. প্রবৃত্তির শৃঙ্খল থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টাই উত্তম জেহাদ। -দারেমি

৭১. অতিরিক্ত পানাহার থেকে বিরত থাকো। তা না হলে তোমার অন্তরতম সত্তার মৃত্যু ঘটবে। -মুুসলিম

৭২. যদি আমাকে ভালবাসো তবে অপরের প্রতি বিদ্বেষ, ক্ষোভ ও ঘৃণা থেকে নিজের অন্তর মুক্ত রাখো। -মেশকাত

৭৩. বিবেক দংশিত হয় এমন কিছু করো না। -মেশকাত

৭৪. আন্তরিক বিনয় সকল সৎগুণের উৎস। -মেশকাত

৭৫. গোপনে দান কর। এটাই সর্বোত্তম দান। -মেশকাত

৭৬. যখন তুমি কোনো পীড়িতকে দেখতে যাও তখন তাকে সান্ত্বনা দাও এবং বল- 'তুমি সুস্হ ও দীর্ঘজীবী হবে'। -মেশকাত

৭৭. জ্ঞান অর্জন কর ও জ্ঞান বিতরণ কর, এটাই সর্বোত্তম কাজ। -মেশকাত

৭৮. মৃতদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলো না। -তিরমিজী

৭৯. যখন কথা বল- সত্য বল। যখন অঙ্গীকার কর, তা পালন কর। অন্যায় ও আঘাত করা থেকে বিরত থাকো। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। সংযমী, চরিত্রবান হও। -মেশকাত

৮০. নিকৃষ্ট মানুষ তারাই, যারা অন্যের ক্ষতি করার জন্যে ও বন্ধুদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্যে কুৎসা রটায় এবং ভালো মানুষের ছিদ্রান্বেষণ করে। -মেশকাত

৮১. তুমি যদি বিশ্বাসী হও তাহলে ভালো কথা বল অথবা নীরব থাকো। অান্দাজে কথা বলো না। আন্দাজে কথা বলা জঘন্য মিথ্যাচার। -মুসলিম

৮২. অনন্য মানুষ বা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা তারাই যাদের দেখলে আল্লাহকে মনে পড়ে। -মেশকাত

৮৩. তুমি যদি বিশ্বাসী হও, তাহলে প্রতিবেশীকে কষ্ট দিও না। -বোখারী

৮৪. প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে যে পেট পুরে খায়, সে বিশ্বাসী নয়। -বায়হাকি

৮৫. অন্যের বুদ্ধি-বিবেচনা বা চেতনার স্তর বুঝে কথা বল। -বোখারী

৮৬. তিনজন একত্রিত হলে দুজন কখনো চুপিচুপি কথা বলবে না; যতক্ষণ না আরো লোকজন এসে উপস্হিত হয়। -বোখারী

৮৭. যখন কোনো শবযাত্রা তোমার পাশ দিয়ে যাবে তখন উঠে দাঁড়াও। -মেশকাত

৮৮. এক হাজার অজ্ঞ আবেদের চেয়ে একজন প্রাজ্ঞ ব্যক্তি শয়তানের বিরুদ্ধে অনেক বেশি শক্তিশালী। -তিরমিজ

৮৯। আল্লাহর দৃষ্টিতে সেটিই শ্রেষ্ঠ আমল বা সৎকর্ম যা অল্পমাত্রায় হলেও নিয়মিত করা হয়। -বোখারী

৯০। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো, কিন্তু সতর্কতা ও করণীয় কর্তব্যে অবহেলা করো না। -মেশকাত

৯১। তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম পুরুষ যে তার স্ত্রীর সাথে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করে। -আবু দাউদ

৯২। সঙ্গীদের আগে খাওয়া শেষ করবে না। -মেশকাত

৯৩। মেহমানকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেবে। -মেশকাত

৯৪। একজন অতিথির এত বেশি সময় থাকা উচিত নয়, যাতে মেজবানের অসুবিধা হয়। -বোখারী

৯৫। মজলুমকে সাহায্য কর। -তিরমিজী

৯৬। শাশ্বত ধর্মের কথা বলতে গিয়ে নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করো না। -মেশকাত

৯৭। অন্যের এমন সব দোষত্রুটি দেখা ও বলা থেকে বিরত থাকো, যা তোমার মধ্যেও আছে। -মেশকাত

৯৮। প্রশংসার ক্ষেত্রে যুক্তির সীমা লঙ্ঘন করো না। -মেশকাত

৯৯। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। যে মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ নয়। -আবু দাউদ

১০০। কারো প্রতি অন্যায় করে থাকলে যত তাড়াতাড়ি পারো ক্ষমা চেয়ে নাও। -বোখারী

১০১। দুনিয়ার পেছনে ছুটো না, তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন। আর সাধারণ মানুষদের যা আছে তা কামনা করো না, তাহলে তারা তোমাকে ভালবাসবে। -তিরমিজী

১০২। তিনজন একত্রে চললে একজনকে নেতা বানাও। -আবু দাউদ

১০৩। সবাইকে আগে সালাম দাও। -বোখারী

১০৪। সবচেয়ে নিকৃষ্ট সে-ই, যার দুর্ব্যবহারের জন্যে অন্যেরা তাকে এড়িয়ে চলে। -বোখারী

১০৫। কোনো পশুর মুখে প্রহার করবে না। -মুসলিম

১০৬। শেষ বিচারের দিন আল্লাহ বলবেন- হে মানুষ! আমি অসুস্হ ছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাকে দেখ নি। আমি অভুক্ত ছিলাম, কিন্তু তোমরা খাবার দাও নি। মানুষ বলবে- তুমি তো রোগ ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত। আল্লাহ বলবেন- অমুক অসুস্হ ছিলো কিন্তু তোমরা তাকে দেখ নি। অমুক অভুক্ত ছিলো কিন্তু তোমরা তাকে খাবার দাও নি। -মুসলিম

১০৭। শিষ্টাচার, সুবিবেচনা, পরিমিতি ও মধ্যপন্থা অবলম্বন হলো নবুয়তের চব্বিশ ভাগের একভাগ। -তিরমিজী

১০৮। সাদাকা বা দান করা প্রত্যেক বিশ্বাসীর কর্তব্য। যার আর্থিক সামর্থ্য নেই তার জন্যে যেকোন সৎ কাজ করা বা খারাপ কাজ থেকে (নিজেকে বা অন্যকে) বিরত রাখাও দান বা সাদাকা। -বোখারী

১০৯। প্রতিটি সৎকর্মই সাদাকা বা দান। হাসিমুখে কথা বলা সাদাকা। ভালো কাজে উৎসাহিত করা সাদাকা। খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হওয়া সাদাকা। পথহারা মানুষকে পথ দেখানো সাদাকা। অসুস্হকে দেখতে যাওয়া সাদাকা। কাউকে পানি ঢেলে খাওয়ানোও সাদাকা। -তিরমিজী

১১০। গাছ লাগানো সাদাকা। -মুসলিম

১১১। কোনো ব্যক্তিকে যানবাহনে ওঠাতে বা মাল ওঠাতে সাহায্য করা সাদাকা বা দান। সুন্দরভাবে কারো প্রশ্নের উত্তর দেয়া সাদাকা। মানুষেপ চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টিকারী কাঁটা, পাথর বা বাধা সরিয়ে ফেলাও সাদাকা। -বোখারী

১১২। গৃহকর্মীদো তা-ই খেতে দেবে যা তোমরা খাও। তা-ই পরতে দেবে যা তোমরা পর। তাদের সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ দেবে না, দুর্ব্যবহার করবে না। অতিরিক্ত কাজ হলে নিজেরা সাহায্য করবে। -বোখারী

১১৩। আল্লাহ একজন পতিতাকে তার সারাজীবনের গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন- একটি মৃতপ্রায় তৃষিত কুকুরকে কুয়ো থেকে পানি তুলে পানি পান করানোর জন্যে। যেকোনো প্রাণীর উপকার করলেই তাকে পুরষ্কৃত করা হবে। -বোখারী

১১৪। সুশিক্ষা দান হচ্ছে সন্তনের প্রতি পিতার সর্বোত্তম উপহার। -বায়হাকি

১১৫। কৃপণ আবেদের চেয়ে নিরক্ষর দাতা আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। -তিরমিজী

১১৬। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। আরবো ওপর কোনো অনারবের বা অনারবের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। আল্লাহর কাছে সে-ই বেশি প্রিয় যে তাকওয়ার অধিকারী। -বিদায় হজ

১১৭। একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে আত্নশুদ্ধি করা যায়। নবীজী (স) বললেন, তুমি সবসময় মনে রাখবে তুমি যেখানেই থাকো না কেন আল্লাহ তোমার সাথে আছেন (তোমার সবকিছু দেখছেন)। -তিরমিজী

১১৮। তোমার দায়িত্ব ও তোমার কর্মের জন্যে তোমাকেই জবাবদিহি করতে হবে। -বোখারী

১১৯। শেষ বিচারের দিনে পাঁচটি বিষয়ের হিসেব দিতে হবে। ১। সময় কীভাবে ব্যয় করেছো। ২। মানসিক ও দৈহিক শক্তি কী কাজে ব্যয় করেছো। ৩। সম্পদ কীভাবে অর্জন করেছো। ৪। কীভাবে সম্পদ ব্যয় করেছো এবং ৫। যা সত্য বলে জেনেছো, তা কতটুকু অনুসরণ করেছো। -তিরমিজী

১২০। আল্লাহ বলেন, হে মানুষ! শুধু আমার বিধান অনুসরণ কর; তাহলে তুমি আমার গুণাবলিতে ভূষিত হবে এবং তখন যা বলবে- দেখবে তা-ই হয়েছে। -বোখারী

তথ্যসূত্র: view this link
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×