somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতি ও রাজনিতিবিদদের নিয়ে মজার কিছু কৌতুক

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘোর নাস্তিক এক মার্কিন প্রফেসর বাংলাদেশ ভ্রমন করে ফিরে গিয়ে নিয়মিত চার্চে যাওয়া শুরু করলেন। সবাই এর কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন,
.
.
.
.
ঈশ্বর যদি না-ই থাকবে তা হলে ওই দেশটা কে চালাচ্ছে?

সংসদের গেটের সামনে ভাঙাচোরা একটা সাইকেলে তালা মেরে রেখে যাচ্ছিল এক লোক। তা দেখে হুট হাট করে ছুটে আসে সংসদের দারোয়ান। সরকারি কর্মচারী বলে কথা। সেই একটা ভাব নিয়ে ধমকের সুরে লোকটিকে বলল, ‘ওই ব্যাটা, এখানে সাইকেল রাখছিস কী বুঝে? জানিস না, এ পথ দিয়ে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা যান??’
লোকটা একগাল হেসে জবাব দিল, ‘কোনো সমস্যা নাই ভাইজান, সাইকেলে তালা মাইরা দিছি।’

রেস্টুরেন্টে এক সাংসদের খাওয়া শেষ হলে তাঁর কাছে এগিয়ে এল রেস্টুরেন্টের শেফ। জিজ্ঞেস করল, আলু-মাংসের ডিশটা কেমন লেগেছে আপনার?
-কীভাবে বলি! ওই ডিশে ছিল আলুর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। আর মাংস ছিল দুর্বল বিরোধী দলের মতো।

অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে প্রথম দিন এসে দেখলেন তাঁর টেবিলের ওপর আগের অর্থমন্ত্রী একটা চিরকুট আর তিনটা খাম রেখে গেছেন। চিরকুটে লেখা আছে, ‘যখনই কোনো সমস্যা হবে, একটা করে খাম খুলবেন এবং তাতে যা নির্দেশ দেওয়া আছে তা পালন করবেন।’
প্রথম বছরেই প্রচণ্ড সংকটে পড়লেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট কিছুতেই মেলে না। তিনি একটা খাম খুললেন। তাতে লেখা আছে, ‘আগের সরকারকে ইচ্ছামতো গালি দিন।’ তিনি তা-ই করলেন। আশ্চর্য ব্যাপার, সঙ্গে সঙ্গে ঝামেলা মিটে গেল।
পরের বছর বাজেট নিয়ে আবার তিনি বিপদে পড়লেন। এবার খুললেন দ্বিতীয় খাম, তাতে লেখা, ‘আগের সরকারের সব পরিকল্পনা বাতিল করে দিন।’ তিনি তা-ই করলেন। আশ্চর্য, এবারও তিনি সমস্যা থেকে দিব্যি উতরে গেলেন।
এবার এল তৃতীয় বছর। এ বছরও ঘাটতি বাজেট নিয়ে জটিল সমস্যায় পড়ে গেলেন আবদুল কুদ্দুস। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তিন নম্বর খামটা খুললেন। তাতে লেখা, ‘এবার পদত্যাগ করুন এবং হুবহু তিনটা খাম তৈরি করে টেবিলের ওপর রেখে বিদায় হন।’

নয় মার্কিন পণ্ডিত আর এক বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ গেলেন হিমালয় জয় করতে। কিন্তু পাহাড়ে ওঠার সময় ভীষণ বিপদে পড়ে গেলেন দশ অভিযাত্রী। বেয়ে ওঠার দড়িটা খুব দুর্বল হয়ে গেছে। যেকোনো একজনকে দড়ি থেকে ফেলে না দিলে সবাই একসঙ্গে পড়ে যাবেন এমন অবস্থা। কিন্তু কেউই হাত থেকে দড়ি ছাড়তে নারাজ। বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ দেখলেন পরিস্থিতি বেশি সুবিধার না। তাঁরা নয়জন মিলে তাঁকে হাত থেকে দড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করবেন। তখন তিনি সবার উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু করলেন, কেন তাঁদের মতন মহান পণ্ডিতদের জীবন তাঁর মতন তুচ্ছ মানুষের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং তিনি এই নয় মার্কিন পণ্ডিতের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পেরে কেমন ধন্য বোধ করছেন।
পণ্ডিতেরা বক্তৃতায় আবেগাপ্লুত হয়ে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলেন।

এরশাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মউদুদ আহাম্মদ তার ছেলে কে বলছেন, "তুমি প্রত্যেকদিন মিথ্যা কথা বল আর চালাকি কর! এর পরিণাম কী জান?"
ছেলের সোজা সাপটা উত্তর: "জানি বাবা, সারা জীবন হয় তোমার মতো মন্ত্রী হয়ে থাকতে হবে।"

কমিউনিস্ট পার্টির দিলিপ বড়ুয়া বক্তব্য দিচ্ছেন, "কমিউনিজম আসতে আর দেরি নেই। তখন আমাদের অভাব থাকবে না। আমাদের ঘর প্রয়োজনীয় ও বিলাসপণ্যে পূর্ণ থাকবে…।"
দর্শকদের ভেতর থেকে একজন প্রশ্ন করল, ‘আর আমাদের?’

ছোট মিথ্যে আর বড় মিথ্যের মধ্যে পার্থক্য কী?
ছোট মিথ্যে মিথ্যেই, আর বড় মিথ্যে রাজনীতি।

অধিকাংশ রাজনীতিবিদই চারটা বক্তৃতা দেন—যা তিনি লিখে এনেছিলেন, যা তিনি বলেছেন, যা বলতে চেয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত যা তিনি বলেছেন বলে পরদিন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার হচ্ছিলো। ইংল্যাণ্ডের ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে একটা শিশু জন্ম নিলো যার একটা পা ছিল না। আমরা নকল পা লাগিয়ে দিলাম। বড় হয়ে সে অলিম্পিকে ১০০ মিটার দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হলো!
জার্মানির ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে এক শিশু জন্ম নিলো যার দু’টি হাত ছিল না। আমরা নকল হাত লাগিয়ে দিলাম। বড় হয়ে সে মুষ্টিযুদ্ধে স্বর্ণপদক পেলো!
সবশেষে বাংলাদেশের ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে একদা দু’টি মেয়ে শিশু জন্ম নিলো- যাদের হাত-পা সবই ঠিক ছিল, শুধু মাথায় মগজ ছিল না। আমরা সেখানে গোবর ঢুকিয়ে দিলাম। বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, দু’জনেই দেশের শীর্ষপদে বসেছিলেন।

সভাপতি পার্টির সভায় যোগ দিতে এসেই টেবিলের ওপর একটা চিরকুট পেলেন, তাতে লেখা- "গাধা !"
সভার বক্তৃতা দেবার সময় তিনি কথাটা ঘুরিয়ে বললেন-এমন অনেক উদাহরণ আছে- মানুষ চিঠি লিখে তার তলায় নিজের নাম সই করতে ভুলে গেছে । কিন্তু আজ আমি একটা নতুন জিনিস দেখলাম। এখানে এসে আমি একটা চিঠি পেলাম, তাতে লেখক নিজের নাম স্বাক্ষর করেছেন কিন্তু আসল চিঠিটাই লিখতে ভুলে গেছেন।

-মঙ্গল গ্রহে কি মানুষ আছে?
-নেই।
-কী করে বুঝলেন?
-মানুষ থাকলে আমেরিকা এর মধ্যেই সেখানে গণতন্ত্র বিনির্মাণের সাহায্যার্থে সৈন্য পাঠিয়ে দিত।

: বল তো, একজন রাজনীতিবিদ আর একজন ডাকাতের মধ্যে পার্থক্য কি?
: পারছি না, তুই বল।
: ডাকাত ডাকাতি করে জেলে যায় আর রাজনীতিবিদরা জেল থেকে এসে ডাকাতি শুরু করে।

নেতাঃ আগামী মাস থেকে আমরা যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব।
জনৈক ব্যক্তিঃ এ মাসে নয় কেন, স্যার?
নেতাঃ কারণ এ মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আর আগামী মাসে আমার মেয়ের বিয়ে।

নির্বাচনের প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করছেন সাংবাদিকঃ আপনি কেন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন?
-আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, চারদিকে কী ঘটছে? সরকারি লোকেরা আমোদ-প্রমোদে মত্ত, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ।
-আপনি এর বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই নির্বাচন করছেন?
-পাগল নাকি! আমার কি আমোদ-প্রমোদ করতে শখ হয় না?


যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান ক্রাশ করছে। যাত্রী মোট চারজন। একজন পাইলট, একজন নেতা, একজন শিক্ষক, অপরজন ছাত্র। বিমানে প্যারাসুট আছে তিনটি!
একটা প্যারাসুট নিয়ে পাইলট বললো, “আমি লাফিয়ে পড়ছি, আমাকে তাড়াতাড়ি রিপোর্ট করতে হবে যে বিমান ক্রাশ করছে।”
নেতা একটি প্যারাসুট নিয়ে বললেন, “দেশ ও জাতির জন্য আমার অনেক কিছুই করার এখনো বাকি। তাই আমার বেঁচে থাকা দরকার।”

অবশিষ্ট যাত্রী দু’জন, শিক্ষক ও ছাত্র।

শিক্ষক, “ওরা তো দুইটা নিয়ে গেল। এখন প্যারাসুট আছে একটা। অতএব, তুমি ছোট তোমার দীর্ঘ জীবন সামনে। তুমিই ওটা নিয়ে নেমে যাও।”
ছাত্র, ” স্যার, তার দরকার নেই। প্যারাসুট এখনো দুইটা আছে। কারণ নেতা সাহেব তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে প্যারাসুট মনে কইরা আমার ব্যাগ নিয়ে লাফ দিয়েছেন…”


স্বৈরাচার এক শাসক নিজের ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প বের করার পর একদিন খোঁজ নিতে গেলেন।
–কী, স্ট্যাম্পটা কেমন চলছে?
–স্ট্যাম্প তো চলছে না স্যার। সবকিছু ভালো হয়েছে কিন্তু ভালো আঠা দেওয়া হয় নাই।
–কী! ডাক তাকে। আঠার দায়িত্বে কে ছিল?
আঠার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে বললেন, স্যার আঠা তো ভালোই দিয়েছি কিন্তু লোকজন তো আঠার দিকে থুতু দেয় না, থুতু দেয় উল্টো দিকে।

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×