গাধার পিঠে সওয়ার হয়েছে বৈপ্লবিক সময়।
পিছনে ফেলে এসেছি সাপের খোলস পাল্টানো জীবন।
ভোঁতা কাস্তের আড়াই কোপে কেটেছি দূর্বা ঘাসের মাথা...।
নাটাইয়ের সুতার মত কেটে কেটে-
কতবার যে কেটে গেল শরীর।
তবু ডুবেছি কাঁদা জলে,
নোংরা জলে সাঁতার কেটে
কাঁদা ঘেটে ঘেটে তুলে এনেছি লাল হৃদপিণ্ডের পুটি।
তোমাদের হৈ-হুল্লোড় করা হলুদ বিকেলে;
ঘরে ফিরে আসে আমার অনাহুত শৈশব।
তবুও আত্মসম্মানের আত্মহুতিতে লেখা হয় বিসর্জনের গল্প ।
পাতিলের গায়ে লেপ্টে থাকা এক প্লেট সাদা ভাতে-
লু্টোপুটি খেলে সাদা পাথর।
হতাশাকে পাশ কাটিয়ে দুরের আকাশে
আলোর খোঁজে স্নাইপারি চোখ।
তবুও তো স্বর্ণলতার মত আঁকড়ে ধরেছিলাম কৈশর
চাকা চিংড়ির মত পুড়ে পুড়ে লাল হল যৌবন।
তবু বদলায়নি শরীর
ছাইয়ে পোড়া আলুর বুক চিঁড়ে মেখে দেয়া লবণে
মিশেছে একটা আস্ত সাগর।
স্বভাবি সংসারে আজও অভাবি আমার দিনালিপি।
আজও দেখি রাতের শরীর ঘেরা পৌরাণিক আঁধার।
ধোঁয়া উঠা সাদা ভাতে আলোর ঝলকানি,
পান্তা ভাতে সাঁতার কাটা মায়ের কটা আঙুলের অভাব।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


