somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিযিবেল: সংযুক্তি

২৭ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের ইন্তেকালের পরে তাঁর পুত্র রহুব'আম এর অযোগ্যতার ফলে বনী ইসরাঈল রাজ্যে দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়৷ একভাগে ছিল বাইতুল মাকদিস ও দক্ষিণ ফিলিস্তীন৷ এটি ছিল দাউদের পরিবারের অধিকারভুক্ত ৷ আর উত্তরে ফিলিস্তীন সমন্বয়ে গঠিত দ্বিতীয় ভাগটিতে ইসরাঈল নামে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়৷ পরে সামেরীয়া তার কেন্দ্রীয় স্থান হিসেবে গণ্য হয়৷ যদিও উভয় রাষ্ট্রের অবস্থাই ছিল দোদুল্যমান কিন্তু ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রথম থেকেই এমন মারাত্মক বিকৃতির পথে এগিয়ে চলছিল যার ফলে তার মধ্যে শিরক, মূর্তিপূজা , জুলুম , নিপীড়ন , ফাসেকী ও চরিত্রহীনতা বেড়ে চলছিল৷ এমনকি শেষ পর্যন্ত যখন ইসরাঈলের বাদশাহ আখিয়াব সাইদা/ সিদোনিয় (বর্তমান লেবানন ) এর রাজকন্যা ইজবেলকে বিয়ে করে তখন এ বিকৃতি ও বিপর্যয় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়৷ এ রাজকন্যার সংম্পর্শে এসে আখিয়াব নিজেও তার মতানুসারী হয়ে যায়৷ সে সামেরীয়ায় বা'আল এর মন্দির ও যজ্ঞবেদী নির্মাণ চালায় এবং ইসরাঈলের শহরগুলোতে প্রকাশ্যে বা'আলের নামে বলিদানের প্রচলন করে৷

বা'আল - এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছ প্রভু , সরদার ও মালিক ৷ স্বামীর প্রতিশব্দ হিসেবেও এ শব্দটি বলা হতো এবং কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে এ শব্দটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে৷ কিন্তু প্রাচীন যুগে সিরিয়ার বিভিন্ন 'জাতি - গোষ্ঠী' এ শব্দটিকে উপাস্য ও প্রভু অর্থে ব্যবহার করতো এবং তারা একটি বিশেষ দেবতাকে বা'আল নামে চিহ্নিত করে রেখেছিল৷ বিশেষ করে লেবাননের ফনিকি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পুরুষ দেবতা ছিল বা'আল এবং তার স্ত্রী আশারাত ছিল তাদের সবচেয়ে বড় দেবী৷ বা'আল বলতে সূর্য বা বৃহস্পতি গ্রহ বুঝায় এবং আশারাত বলতে চাঁদ বা শুক্রগ্রহ বুঝায় এ ব্যাপারে গবেষক ও বিশষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে৷ যাই হোক না কেন একথা ঐতিহাসিক দিক দিয়ে প্রমাণিত যে ব্যবিলন থেকে নিয়ে মিসর পর্যন্ত সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য এলাকায় বা'আল পূজা বিস্তার লাভ করেছিল৷ বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিস্তীনের মুশরিক জাতিগুলো আপাদমস্তক এর মধ্যে ডুবে ছিল৷ বনী ইসরাঈল যখন মিসর থেকে বের হবার পর ফিলিস্তীন ও পূর্ব জর্দানে এসে বসবাস শুরু করলো এবং তাওরাতের কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলোর বিরুদ্ধাচরণ করে তারা ঐ মুশরিক জাতিগুলোর সাথে বিয়ে শাদী ও সামাজিক সম্পর্ক কয়েম করতে শুরু করলো তখন তাদের মধ্যেও এ রোগ বিস্তার লাভ করতে লাগলো৷ বাইবেলের বর্ণনা মতে হযতর মূসা আলাইহিস সালামের প্রথম খলিফা হযরত ইউশা ' বিন নূনের ইন্তেকালের পরপরই বনী ইসরাঈলের মধ্যে এ নৈতিক ও ধর্মীয় অবক্ষয়ের সূচনা হয়ে গিয়েছিল৷

“ইস্রায়েল - সন্তানগণ সদাপ্রভূন দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই করিতে লাগিল; এবং বাল দেবগনের সেবা করিতে লাগিল ৷ -------তাহারা সদাপ্রভূকে ত্যাগ করিয়া বাল দেবের ও অষ্টারেৎ দেবীদের সেবা করিত"৷ [বিচার কর্তৃগণ ২: ১১-১৩]
“ইস্রায়েল - সন্তানগণ কানানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিযীয়, হিব্বীয় ও যিবূযীয়গণের মধ্যে বসতি করিল৷ আর তাহারা তাদের কন্যগণকে বিবাহ করিত, তাহাদের পুত্রগণের সহিত আপন আপন কন্যাদের বিবাহ দিত ও তাহাদের দেবগণের সেবা করিত ৷ " [বিচার কর্তৃগণ ৩: ৫-৬]

সে সময় ইসরাঈলীদের মধ্যে বা'আল পূজার এত বেশী প্রচলন হয়ে পড়েছিল যে , বাইবেলের বর্ণনা মতে তাদের একটি জনপদে প্রকাশ্যে বা'আলের যজ্ঞবেদী নির্মিত হয়েছিল এবং সেখানে বলিদান করা হতো৷ একেশ্বরবাদী জনৈক ইসরাঈলী এটা বরদাশত করতে পারলো না৷ সে রাতের বেলা চুপিচুপি যজ্ঞবেদীটি ভেঙে ফেললো৷ পরদিন জনতার একটি বিরাট সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো৷ তারা শিরকের এ আড্ডাখানা উচ্ছেদকারী ব্যক্তির হত্যার দাবী করতে লাগলো ৷ (বিচারকর্তৃগণ ৬: ২৫-৩২ ) শেষ পর্যন্ত এ অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটালেন হযরত সামুয়েল , তালূত এবং হযরত দাউদ ও সুলাইমান আলাইহিমুস সালাম ৷ তাঁরা কেবল বনী ইসরাঈলেরই সংস্কার করলেন না , নিজেদের রাজ্যেও শিরক ও মূর্তিপূজা নির্মূল করলেন৷ কিন্তু হযরত সুলাইমানের মৃত্যুর পর এ ফিতনাটি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো এবং বিশেষ করে উত্তর ফিলিস্তীনের ইসরাঈল রাষ্ট্রটি বা'আল পূজার বন্যায় বিপুল স্রোতে ভেসে গেলো৷

তো এরকম সময় হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম অকস্মাত জনসমক্ষে হাজির হন৷ বাইবেলে তাঁকে এলিজা নামে উল্লেখ করা হয়েছে৷ আধুনিক গবেষকগণ খৃষ্টপূর্ব ৮৭৫ থেকে ৮৫০ এর মধ্যবর্তী সময়টাকে তাঁর সময় হিসেবে চিহ্নিত করেন৷ তিনি ছিলেন জিল'আদ - এর অধিবাসী । প্রাচীন যুগে জিল 'আদ বলা হতো বর্তমান জর্দান রাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় জিলাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ইয়ারমুক নদীর দক্ষিণে অবস্থিত এলাকাকে ৷ তিনি জালআদ থেকে এসে আখিয়ারকে এ মর্মে নোটিস দেন যে, তোমার পাপের কারণে এখন ইসরাঈল রাজ্যে এক বিন্দুও বৃষ্টি হবে না , এমনকি কুয়াসা ও শিশিরও পড়বে না৷ নবীর এ উক্তি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হলো এবং সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত বৃষ্টি একদম বন্ধ থাকলো৷ শেষ পর্যন্ত আখিয়াবের হুঁশ হলো৷ সে হযরত ইলিয়াসের সন্ধানে করে তাঁকে ডেকে পাঠালো৷ তিনি বৃষ্টির জন্য দোয়া করার আগে ইসরাঈলের অধিবাসীদেরকে আল্লাহ ও বা'আলের মধ্যকার পার্থক্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন মনে করলেন৷ এ উদ্দেশ্য তিনি হুকুম দিলেন , একটি সাধারণ সমাবেশে বা'আলের পূজারী এসে তার উপাস্য দেবতার নামে বলিদান করবে এবং আমিও আল্লাহর নামে কুরবানী করবো৷ দু'টি কুরবানীর মধ্য থেকে মানুষের হাতে লাগানো আগুন ছাড়াই অদৃশ্য আগুন দ্বারা যেটিই ভষ্মীভূত হবে তার উপাস্যের সত্যতা প্রমাণিত হয়ে যাবে৷ আখিয়াব একথা মেনে নিল৷ ফলে কারমাল পর্বতে বা'আলের সাড়ে আটশো পূজারী একত্র হলো৷ ইসরাঈলীদের সাধারণ সমাবেশে তাদের সাথে হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালামের মোকাবিলা হলো৷ এ মোকাবিলায় বা'আল পূজকরা পরাজিত হলো৷ হযরত ইলিয়াস সবার সামনে একথা প্রমাণ করে দিলেন যে , বা'আ‌ল একটি মিথ্যা খোদা এবং আসল খোদা হচ্ছে সেই এক ও একক খোদা যাঁর পক্ষ থেকে তিনি নবী নিযুক্ত হয়ে এসেছেন ৷ এরপর হযরত ইলিয়াস সেই জনসমাবেশে বা'আলের পূজারীদের হত্যা করান এবং তারপর বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন৷ তাঁর দোয়া সংগে সংগেই কবুল হয়ে যায় এবং সমগ্র ইসরাঈল রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়৷

কিন্তু এসব দেখেও স্ত্রৈণ আখিয়াব তার মূর্তিপূজক স্ত্রীর মত থেকে বের হয়ে আসেনি৷ তার স্ত্রী ইজবেল ইলিয়াসের দুশমন হয়ে গেলো এবং সে কসম খেয়ে বসলো , যেভাবে বা'আলের পূজারীদের হত্যা করা হয়েছে ঠিক অনুরূপভাবেই ইলিয়াস আলাইহিস সালামকেও হত্যা করা হবে৷ এ অবস্থায় ইলিয়াসকে দেশত্যাগ করতে হলো৷ কয়েক বছর তিনি সিনাই পাহাড়ের পাদদেশে আশ্রয় নিলেন৷ এ সবময় তিনি আল্লাহর কাছে যে ফরিয়াদ করেছিলেন বাইবেল তাকে এভাবে উদ্ধৃত করছেঃ
“আমি বাহিনীগণের ঈশ্বর সদাপ্রভূর পক্ষে অতিশয় উদ্যোগী হইয়াছি; কেননা, ইস্রায়েল সন্তানগণ তোমার নিয়ম ত্যাগ করিয়াছে, তোমার যজ্ঞবেদি সকল উৎপটিন করিয়াছে ও তোমার ভাববাদিগণকে খড়গ দ্বারা বধ করিয়াছে; আর আমি কেবল একা আমিই অবশিষ্ট রহিলাম, আর তাহারা আমার প্রাণ লইতে চেষ্টা করিতেছে৷ " [১ --- রাজাবলি ১৯: ১০]

এ সময় বায়তুল মাকদিসের ইহুদী শাসক ইয়াহুরাম ইসরাঈলের বাদশাহ আখিয়াবের মেয়েকে বিয়ে করলো এবং ইতিপূর্বে ইসরাঈলে যেসব বিকৃতি বিস্তার লাভ করেছিল এ মুশরিক শাহজাদীর প্রভাবে ইয়াহুদীয়া রাষ্ট্রেও তা ছড়িয়ে পড়তে লাগলো৷ হযরত ইলিয়াস এখানেও নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করলেন এবং ইয়াহুরামকে একটি পত্র লিখলেন৷ বাইবেল এ পত্র এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে৷
" তোমার পিতা দাউদের ঈশ্বর সদাপ্রভূ এইভাবে এই কথা কহেন , তুমি আপন পিতা যিহোশাফটের পথে ও যিহূদা রাজ আসার পথে গমন কর নাই ; কিন্তু ইস্রায়েলের রাজাদের পথে গমন করিয়াছ এবং আহাব - কুলের ক্রিয়ানুসারে যিহূদাকে ও যিরূশালেম নিবাসীদিগকে ব্যভিচপার করাইয়াছ ; আর তোমা হইতে উত্তম যে তোমার পিতৃকুলজাত ভ্রাতৃগণ , তাহাদিগকে বধ করিয়াছ ; এই কারণ দেখ , সদাপ্রভূ তোমার প্রজাদিগকে , তোমার সন্তানদিগকে , তোমার ভার্য্যাদিগকে ও তোমার সমস্ত সম্পত্তি মহা আঘাতে আহত করিবেন৷ আর তুমি অন্ত্রের পীড়ায় অতিশয় পীড়িত হইবে , শেষে সেই পীড়ায় তোমার অন্ত্র দিন দিন বাহির হইয়া পড়িবে৷ " [ ২ --- রাজাবলি ২১: ১২ -১৫ ]
এ পত্রে হযরত ইলিয়াস যা কিছু বলেছিলেন তা পূর্ণ হলো৷ প্রথমে ইয়াহুরামের রাজ্য বহিরাগত আক্রমণকারীদের দ্বারা বিধ্বস্ত হলো এবং তার স্ত্রীদেরকে পর্যন্ত শত্রুরা পাকড়াও করে নিয়ে গেলো৷ তারপর সে নিজে অন্ত্ররোগে মারা গেলো৷ কয়েক বছর পর হযরত ইলিয়াস আবার ইসরাঈলে পৌঁছে গেলেন৷ তিনি আখিয়াব ও তার পুত্র আখযিয়াহকে সত্য সঠিক পথে আনার জন্য লাগাতার প্রচেষ্টা চালালেন৷ কিন্তু সামেরীয়ার রাজ পরিবারে যা একবার জেঁকে বসেছিল তা আর কোনভাবেই বের হলো না৷ এ ঘটনাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বাইবেলের নিম্নোক্ত অধ্যায়গুলো দেখুনঃ [ ১ -- রাজাবলি , অধ্যায় ১৭ , ১৮ , ১৯, ২১ ; ২ -- রাজাবলি অধ্যায় ১ ও ২ এবং ২ -- বংশাবলি , অধ্যায় ২১ ]


বনী ইসরাঈল হযরত ইলিয়াসকে তাঁর জীবদ্দশায় যেভাবে নির্যাতিত করেছিল তার কাহিনী ওপরে আলোচিত হয়েছে৷ কিন্তু পরে তারা তাঁর এমনই ভক্তে - অনুরক্তে পরিণত হয় যে , হযরত মূসার (আ) পরে অতি অল্প লোককেই তারা তাঁর চেয়ে মহিমান্বিত বলে মেনে নিয়ে থাকবে৷ তাদের সেখানে একথা ছড়িয়ে পড়ে যে , হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালামকে একটি ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে জীবিত অবস্থায় আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয় (২ -- রাজাবলি , ২ অধ্যায় ) এবং তিনি আবার দুনিয়ায় আসবেন৷ বাইবেলের মালাথি পুস্তকে বলা হয়েছেঃ
“দেখ সদাপ্রভূর সেই মহৎ ও ভয়ঙ্কর দিন আসিবার পূর্বে আমি তোমাদের নিকট এলিয় ভাবাদীকে প্রেরণ করিব৷ "(৪: ৫)
হযরত ইয়াহইয়া ও ঈসা আলাইহিমাস সালামের আগমনকালে ইহুদিরা সাধারণত তিনজন আগমণকারীর প্রতীক্ষারত ছিল৷ তাদের একজন হচ্ছেন হযরত ইলিয়াস (আ) ও দ্বিতীয়জন হযরত ঈসা মসীহ (আ) এবং তৃতীয়জন হচ্ছেন ' এ নবী " (অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ৷ যখন হযরত ইয়াহইয়ার (আ) নবুওয়াত শুরু হয় এবং তিনি লোকদেরকে সত্য ধর্মে দীক্ষিত করতে থাকেন তখন ইহুদীদের ধর্মীয় নেতারা তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস কর , আপনি কি মসীহ ? তিনি জবাব দেন, না৷ আবার জিজ্ঞেস করে , আপনি কি ইলিয়াহ ? তিনি জবাব দেন না৷ তারপর জিজ্ঞেস করে , আপনি কি " সেই নবী " ? তিনি জবাব দেন আমি সেই নবীও নই৷ তখন তারা বলে , আপনি যদি মসীহ না হন ; ইলিয়াহ না হন এবং সেই নবী না হন , তাহলে আপনি সত্যধর্মে দীক্ষা দিচ্ছেন কেন ? (যোহন ১: ১৯-২৬ ) তারপর কিছুকাল পরে যখন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের তৎপরতা ব্যাপকতা লাভ করলো তখন ইহুদীরা মনে করলো , সম্ভবত ইলিয়াহ নবী এসে গেছেন৷ (মার্ক ৬: ১৪- ১৫ - হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের সাহাবীদের মধ্যে এ ধারণা বিস্তার লাভ করেছিল যে , ইলিয়াহ নবীর আগমন ঘটবে ৷ কিন্তু হযরত ঈসা (আ) একথা বলে তাদের ভুল ধারণা দূর করে দেন যে , ইলিয়াহ তো এসে গেছেন , লোকেরা তাঁকে চিনেনি এবং তাঁর সাথে যা ইচ্ছা ব্যবহার করেছে৷ " এর ফলে হযরত ঈসার (আ) সাহাবীগণ জানতে পারেন , আগমনকারী ছিলেন হযরত ইয়াহইয়া , আটশো বছর পূর্বে অতিক্রান্ত হযরত ইলিয়াস নন৷ " (মথি ১১: ১৪ এবং ১৭: ১০ - ১৩ )


(সংগৃহীত)
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×