আমাদের দেশে এরকম ঘটনা অনেক আছে, অধিক লেখা পড়া নিয়েও ছোট চাকরী করছে। কারন একটাই, চাকরীর সঙ্কট। কম্পিটিশন বেশী। তাই অনেকে মনের ভিতর একটা কষ্ট নিয়ে নিরবে, তার চেয়ে কম শিক্ষিত বসের হুকুম মেনে চলছে। তবে বেশি কষ্ট লাগে যখন সেটা নিয়ে সবাই হাসা হাসি, তামাসা কিংবা উদাহরন টানে।
তিনি কাজের মেয়েকে বি এ পাশ করিয়েছেন ভালো কথা। তবে কাউকে বিএ পাশ করানোর পর তাকে কাজের মেয়ে হিসাবে নিয়োগ রাখা কতটুকু মানবতার আওতার মধ্যে পরে তাও আবার একজন নারী প্রধানমন্ত্রীর জন্য, তা চিন্তারই বিষয়। প্রধান মন্ত্রী এটা করতে পারতেন, যে তিনি কাজের মেয়েকে শিক্ষিতা করে, একটি চাকরীর ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তা না করে বিএ পাশ করানোর পরেও তাকে কাজের মেয়ে হিসাবে নিয়োগ রাখা এবং সেটা আবার সকলের সামনে বলাটা একজন মানসিক রোগীর পক্ষেই সম্ভব।
এতে করে সমাজে শিক্ষার প্রতি একটি ভুল বার্তা পৌছায়। কাজের লোকেরা বলবে, বিএ পাশ করেও কাজের মেয়ে হওয়া লাগে, তাহলে বিএ পাশ করে লাভ কি?
কোন কাজই ছোট নয় সেকথা ঠিক, তবে যোগ্য লোককে যোগ্য কাজ করতে দিতে হবে। তা না হলে সমাজের ভারসম্য নষ্ট হবে।
লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৫