গোয়েন্দারা ১০টি ব্লগকে নজরে রেখেছে তার মধ্যে সামু একটি। যদিও তারা বলছে, ব্লগে কেউ দেশবিরধী কিছু লিখছে কিনা তা মনিটর করছে। ব্যাপারটা কিন্তু এত সহজ নয়। কারন সামনে যখন গনেশ উলটে যাবে, তখন তাদের নজরদারী কারনগুলোও পরিবর্তন হবে। তাই তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে সামু কতৃপক্ষও অনেক ভাবনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বিষেশ করে সোনা ব্লগ বন্ধ ও তার সম্পাদক গ্রেফতার হবার পর। একটি ব্লগ তিলে তিলে বছরের পর বছর ধরে একটা পর্যায় আসে। অথচ তা বন্ধ করে দিতে লাগে মাত্র ১ মিনিট। আর তার সম্পাদক গ্রেফতার হতে লাগে ১ ঘন্টা।
সামু না পারছে শ্যাম রাখতে না পারছে কুল রাখতে। এখন যদি সে চাপের মুখে ভিন্ন মতদের বিপরীতে অবস্থান নেয়, তাহলে তার সেই বাক-স্বাধীনতার অহঙ্কার আর থাকছে না। আবার ভিন্নমতের সুযোগ দিলে সরকারে চাপে ব্লগ বন্ধ কিংবা সম্পাদক গ্রেফতার হতে পারে। কিংবা গনেশ উল্টালে তখন সে ঔ গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিতিত্তেই অস্তিত্বের মুখে পরবে। আর যেভাবে ব্লগারদের উপর আক্রমন হচ্ছে, তাতে তারাও যে নিরাপদ তা কে বলতে পারে? আমি জানি না ১৯ জনের মদ্ধে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে নিরাপত্তায় রেখেছেন কিনা। আমি এটাও যানি না আগামী প্রধানমন্ত্রী আর কোন ১৯ জনের নিরাপত্তা দেবেন?
সেদিন ফেসবুকে ছবিতে দেখেছিলাম, সামু ব্লগের মালিকদের একটি জাগরন মঞ্চথেকে আপমানিত করা হয়েছিলো। তারা ভেবে ছিলো হয়তো সকলে তাদের সম্মান করবে। মঞ্চের দিকে ডেকে নিবে। কিন্তু বিধি বাম। পরের দিন, ব্লগ কতৃপক্ষকে লিখতে দেখলাম, কাদের মোল্লার আর কামরুজ্জামানের প্রেস ক্লাবের পদ বাতিল নিয়ে পোষ্ট দিতে। পোষ্টটি পরে আমার মনে হলো, তারা যে তাদের পক্ষ সেটাই আকুতির স্বরে প্রমান করতে চাইছে।
সাহবাগের আন্দোলনের আভাস গোয়েন্দাদের কাছে ছিলোনা। কেননা এত দিন অনলাইন জগৎটা তাদের কাছে অন্ধকারের মত ছিলো। আসলে গোয়েন্দারা ব্লগগুলোর মোটিভ ধরার চেষ্টা করছে। গোয়েন্দারা বোঝার চেষ্টা করছে, অনলাইনে কি হচ্ছে? কে কার পক্ষ নিচ্ছে? যদি দেশে মধ্যপ্রাচ্যের মত কোন বিপ্লব হয়ে যায়, তাহলে সেটা কিভাবে আগেভাগে সামাল দেওয়া যায় সেটা তারা ভাবছে।
আমাদের উচিৎ হবে না ব্লগে বাকশাল কায়েম করা কিংবা ব্লগকে দেশ বা জনস্বার্থ বিরোধী হাতিয়ার বানিয়ে বিতর্কিত করা।
আসুন আমরা সামুকে বাচিয়ে রাখতে অতি সাবধানে আমাদের মতামতকে তুলে ধরি। অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করি। ব্লগের নিতীমালাগুলো মেনে চলি। কেনোনা সামুকে অনেক দিন বাচিয়ে রাখতে হবে আমাদেরই প্রয়োজনে।