রপ্তানি বন্ধের প্রভাব নেইনদী থেকেই ইলিশ চলে যাচ্ছে ভারতে ফখরে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সাগর, নদীর মোহনা ও নদীতে ইলিশ ধরা পড়ার পর পরই ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও স্থানীয় বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। রপ্তানি বন্ধের পর কয়েক দিন ইলিশের দাম কিছুটা কম থাকলেও চোরাচালানের কারণে ফের দাম বেড়ে গেছে। এখন রপ্তানি বন্ধের আগের দামেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানি হতো এক কেজির নিচের সাইজ প্রতি কেজি ছয় ডলারে। সম্প্রতি কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাট-বাজারে বাংলাদেশি ইলিশের মূল্যবৃদ্ধি পায়। ওই সাইজের ইলিশ প্রতি কেজির দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। ফলে টন টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি অব্যাহত থাকে। গত ৩১ জুলাই ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষণার আগে রপ্তানিযোগ্য ওই সাইজের ইলিশ বাংলাদেশের বাজারে পাইকারি বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৩২ হাজার থেকে ৩৮ হাজার টাকায়। রপ্তানি বন্ধের পর পরই ২৭ হাজার টাকায় প্রতি মণ ইলিশ বিভিন্ন মোকামে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এই দাম মাত্র দুই-তিন দিন ছিল। এর পরই দাম বাড়তে থাকে। গত ১১ আগস্ট চাঁদপুর, পটুয়াখালী, মহিপুর, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন মোকামে ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৩৮ হাজার টাকায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আহরণ ক্ষেত্র থেকেই ইলিশ পাচার হয়ে যাচ্ছে। কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য ভারতীয় ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের সময় বাংলাদেশি নাম ধারণ করছে আবার ইলিশ নিয়ে ভারতের জলসীমায় পেঁৗছে ট্রলারের নাম পাল্টে ফেলছে!
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নদীতেই জেলেদের কাছ থেকে এক কেজির নিচের সাইজের ইলিশ মাছ ভারতীয় মহাজনরা প্রতি কেজি ৯০০ টাকায় কিনে ভারতে নিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ চোরাচালানিরা বঙ্গোপসাগর দিয়ে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ হয়ে ফিশিং ট্রলারগুলো কলকাতার কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। ফলে রপ্তানি বন্ধের কোনো প্রভাবই স্থানীয় বাজারে পড়ছে না। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিভিন্ন মোকামের অসৎ ব্যবসায়ীরা ইলিশ পাচারে ভারতীয়দের সহযোগিতা করছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালীর মহিপুর-আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী সাংবাদিকদের বলেন, 'ভারতীয়রা জলসীমা অতিক্রম করে ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমাদের দেশের অনেক জেলে ইলিশ শিকারে যেতে পারছে না।' স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই ইলিশ পাচারে ভারতীয়দের সহযোগিতা করছে_এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
এ বিষয়ে দীর্ঘদিনের ইলিশ ব্যবসায়ী যশোরের মোফা ফিশ প্রসেসিংয়ের চেয়ারম্যান আব্বাস আলী বিশ্বাস বলেন, 'ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণায় বাজারে কোনো প্রভাব নেই। আগের দামেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। সাগর থেকে ইলিশ পাচারের কথা শোনা যাচ্ছে। মাছ ধরা পড়ছেও কম। তিন-চার দিন পর নতুন গোন (মৌসুম) শুরু হবে। বেশি মাছ ধরা পড়লে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।' কোস্টগার্ডের গণসংযোগ কর্মকর্তা লে. মাশরিকের বক্তব্য হচ্ছে, 'ভারতীয়রা জলসীমা অতিক্রম করছে_এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে সাগরে টহল জোরদার করা হয়েছে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন
দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।