somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন এক নজরে দেখি বর্তমান ডিজিটাল সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রিদের কিছু সময় উপযোগী দায়িত্বহীন ডিজিটাল মন্থব্য ও তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা।

২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১. আমার আবুল দেশ প্রেমিক।
(আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)

বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিলের পর নিজেদের অর্থায়নে এমন দুই-চারটি পদ্মা সাঁকো বানানোর মতোই ২২ হাজর কোটি টাকার এ প্রশ্নের সহজবোধ্য উত্তর দিয়েছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! কোন পণ্য ও প্রতিষ্ঠানকে দেয়া ISO 9000 সনদের মতোই তিনি আবুল হোসেন কে দিয়েছেন দেশপ্রেমের ডিজিটাল 2021 সনদ! বলেছেন- আবুল দেশপ্রেমিক। কারন তিনি পদত্যাগ করেছেন!
দেশ প্রেম কাকে বলে এর সংজ্ঞা আমাদের 17 কোটি মানুষকে আবার নতুন করে শিখাতে চান আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার! তার মতে….

জনগণের রক্ত খেয়ে ধোনী হওয়ার আরেক নাম দেশ প্রেম!
দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপরনাম দেশ প্রে!

দুর্নীতির টাকায় অর্থের পাহাড় গড়ে আজ আবুল বিশ্ব দেশ প্রেমিক
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আর অনেক মন্ত্রী সাহেব গণ বলেন বেড়ান বিশ্বব্যাংক টাকা ই দেয় নি তাই দুর্নীতি হয় নি।আরে মাছ ধরার আগেই তো বাগ নিয়ে টানাটানি।এই সরকারের এটি এক ডিজিটাল দুর্নীতির চরম বার্থ চেষ্টা। এটি যেমন টীচার খাতা দেয়ার আগে ই যদি হাতে নকল পায় এমতাবস্থায় সে টীচারের কী খাতা দেয় উচিত্ নাকি তাকে এক্সপেল্ট করা উচিত্। তাই বিশ্বব্যাংকসে উচিত্ কাজ টি করছে।
আবুল প্রমাণ করল সে নামে ও আবুল কাম ও আবুল।দুর্নীতির কাজ টি সফল ভাবে করতে পরলো না। তাই বলে আমি তার দুর্নীতিকে সাপোর্ট করছি না।তার দায়িত পালনে সে সম্পূর্ণ বার্থ বিশেষ করে যোগাযোগ খাতে কিছুই করতে পরলো না প্রতিটি রোড ঘাট ভেঙ্ঘে অচল অবস্থা মানুষের কষ্টের সীমা নেই তাই বসে উঠলে শুনি হেলপার বাসের ড্রাইভারকে বলে ওস্তাদ ডাইনে আবুল বামে চাপান ডাইনে আবুল মনে ডাইনে গর্ত বামে চাপান।

২। পুলিশ থেকে নিরাপদ দূরতে অবস্থান করে সংবাদ সংগ্রহের পরামর্শ।
( মাননীয় স্বরাস্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু )

সাংবাদিকরা পুলিশ থেকে কত দূরত্বে থাকবেন…? কত দুরত্বে থাকলে মাননীয় সরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু সাহেব আপনি মনে করবেন সাংবাদিকরা নিরাপদ থাকবে…? এবং তারা যথা যত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সঠিক সংবাদটি আমাদের মাজে উপস্থাপন করতে পারবে বলে আপনি মনে করেন? সাংবাদিকদের দায়িত্ব হল সত্য সংবাদ সংগ্রহ করে জনগনের সামনে উপস্থাপন করা আর পুলিশের দায়িত্ব হল সাংবাদিক সহ সকল জনগনের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাই এই দায়িত্ব পালনের সময় অতীতে এই পুলিশ ই এই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিয়েছে তাদের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিন্তু আজ সাংবাদিকরা পুলিশের হামলা ও নির্যাতনের শিকার।বর্তমান কিছু আলোচিত ঘটনা ই তার প্রমান। কেন এই হামলা নির্যাতন…? সাংবাদিকরা কি পুলিশের নানা অপকর্ম তুলে ধরছে সেই জন্য…? নাকি সরকারের নানা দুর্নীতি অপকর্ম নির্যাতনের তুলে ধরছে এই জন্য…? আবার অনেকে মনে করেন পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে সরকারের কোন ইশারায় আজ এই মারমুখি অবস্থান। তাই পুরো পুলিশ প্রশাসন আজ চরম ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তাই আজ ডঃ কামালে মত আর অনেকে মনে করছেন এই দায়িত্বহীন বক্তব্যর জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু সাহেব কে জাতির কাছে ক্ষমা ছাওয়া উচিৎ।

৩। পুলিশের আচরণ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে এর জন্য পুলিশ কে সার্টিফিকেট দেয়া যায়।
(মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন)

আমাদের মাননীয় স্বরাস্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বেশ গর্বের সাথে বলছেন পুলিশের আচরণ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে এর জন্য পুলিশ কে সার্টিফিকেট দেয়া যায়।বিগত সরকারের সময় নাকি উনার পা ভেঙ্গেছেন আজ উনার পা নিরাপদে আছে পুলিশ এখন উনার পায়ের নিরাপত্তা দিচ্ছেন তাই পুলিশের আচরণ উনার কাছে আগের চেয়ে অনেক ভালো মনে হয়েছে এর জন্য পুলিশ কে সার্টিফিকেট দেয়া যায়।উনি উনার পায়ের নিরাপত্তা কথা চিন্তা করলেন সাংবাদিক সহ দেশের সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করলেন না। উনি আজ ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে গেছেন উনি দেখতে পান না। আদালত পারায় পুলিশের হাতে আইনজীবী মারধর এবং তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, তরুণী কে রক্ষা করতে গিয়ে তিন সাংবাদিককে লাঠিপেটা আর বহু গঠনাবলি। এত কিছুর পর ও উনি নির্লজ্জের মত বলছেন পুলিশের আচরণ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে এর জন্য পুলিশ কে সার্টিফিকেট দেয়া যায়। মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আপনি সবুর করুন আগামী নির্বাচনে এই দেশের জনগন আপনাদের এক অসাধারণ সার্টিফিকেট দেবে আপনাদের চমৎকার কর্মের জন্য।

৪। ব্যাডরুমে নিরাপতা দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
(মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা)

একটি দেশের সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হল জনগনের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেখানে আমরা এক আজব ডিজিটাল সরকার পেয়েছি। আমাদের ডিজিটাল সরকারের প্রধান বলেন ব্যাডরুমে নিরাপত্তা দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা খুন হয়ে যাবে গুম হয়ে যাবে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব কার…? আপনি নিরাপত্তা তো দেন ই নাই বরং খুন ও গুম হওয়ার পর দোষীদের ধরা তো দুরের কথা তাদের চিহ্নিত করতে ও ছরম ভাবে বার্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সাধারন মানুষের আপনার কাছে প্রশ্ন কেন আজ আপনি সরকারে আছেন…? কেন আপনি আজ দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা থাকা সর্তে ও দায়িত্বশীল পদে নির্লজ্জের মত বসে আছেন। এবং এই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় আসার পূর্বে তড়িঘড়ি করে সংবিধান পরিবর্তনের এবং ত্বত্তাবধায়ক সরকার বাতিলের মাধ্যমে নানা নীল নকশা সাজাচ্ছেন…? আবারো ক্ষমতায় থাকার জন্য। আপনি ভুলে যাবেন না ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়।

৫। আইন শৃঙ্খলা যে কন সময়ের চেয়ে অনেক অনেক গুনে ভালো।
(মাননীয় স্বরাস্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন)

আইন শৃঙ্খলা যেই কোন সময়ের চেয়ে ভালো মাননীয় স্বরাস্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আপনি কোন চোখ দিয়ে দেখেন ডিজিটাল চোখ নাকি অন্য কোন অসাধারণ দৃষ্টির মাধ্যমে…? আমরা সাধারন মানুষ তো তার নমুনা দেখতে পাচ্ছি না আমরা দেখতে পাচ্ছি গুম খুন হামলা মামলা ক্রস ফায়ার দিন কে দিন বেড়েই চলছে। মানুষ আজ গুম হয়া লাশটি ও খুজে পাচ্ছে না। ইলিয়াস আলি চোধুরি আলম গুম হলেন কারা নিয়ে গেলো কেন নিয়ে গেলো কোথায় আছে কি ভাবে আছে আদও বেঁছে আছে কি না মরে গেছে। তাদের পরিবার সহ আমরা আজো জানি না। আবার যেখানে সাগর রুনির মত সাংবাদিক রা তাদের নিজ বাসায় খুন হয়ে জান। খুনিদের আজো আপনারা চিহ্নিত করতে তো পারেন ই নি। বরং আপনার এই পুলিশ সাগর রুনির খুনিদের খুজে না বের করে বরং সাংবাদিকদের উপর সরাসরি নির্যাতন করছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পরিবর্তে আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। তার পর ও আপনি কি ভাবে বলছেন আইন শৃঙ্খলা যেই কোন সময়ের চেয়ে ভালো

৬। সীমান্ত হর্ত্যা নিয়ে বর্তমান সরকার মটেই চিন্তিত নয়।
(মাননীয় এলজিআইডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ)

পৃথিবীর কোথায়ও সীমান্তে পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যার নজির নেই। আমাদের ছরম বন্ধু প্রতিবেশী ভারত প্রতিদিন ই সীমান্তে নিরিহ মানুষদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে কিন্তু এতে আমাদের মাননীয় এলজিআইডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ সাহেব বলেন এতে নাকি সরকার মোটেই চিন্তিত নয়। মাননীয় এলজিআইডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ সাহেব আপনি অবশ্যই চিন্তিত হতেন যদি এরা আপনার পরিবারের কেউ হত। শুনুন যার যায় সে বুজে। ফেলানির বাবা মা বুজে তার সন্তানের বাথা। আপনি বুজবেন না কারন আপনার তো যায় নি।

৭। আমি শেয়ার বাজার বুজি না, এটি একটি ফটকা বাজার।
(মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত)

শেয়ার বাজার একটি অতি জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম যা পৃথিবীর অনেক দেশেই বিদ্যমান। এখানে সাধারন খুদ্র বিনিয়োগকারী সহ কিছু মানুষ আসেন তাদের সল্প পুজি বিনিয়োগের মাধ্যমে কিছু মুনাফার আশায়।কিন্তু এই শেয়ার বাজার টি আজ ধ্বংসের মুখে কিছু অর্থলুবি দুর্নীতিবাজদের কারনে। এবং এই শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রধান দায়িত্ব অর্থমন্ত্রীর। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনকভাবে দায়িত্ব পালনে বার্থ হয়ে বলছেন আমি শেয়ার বাজার বুজি না। শেয়ার বাজার একটি ফটকা বাজার। তার মানে যারা বিনিয়োগ করতে আসেন তারা ফটকাবাজ। এই সব দায়িত্বহীন বক্তব্য জাতি আর কত কাল শুনবে।

৮। মাত্র ১০০০০ টাকায় দোয়েল ল্যাপটপ কম্পিউটার দেয়া হবে।
(মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা)

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি আপনার দোয়েল ল্যাপটপ কম্পিউটার কেনার জন্য কয়েক দিন বিভিন্ন কম্পিউটার মার্কেটে গিয়েছি কিন্তু তা আর কেনা হয় নাই। কোন দোকানে ই তা পাওয়া যাচ্ছিল না । যদি ও ভাগ্যিস ১ টা পেয়ে যাই। যার মূল্য চাওয়া হয় ২২০০০ টাকা এক দাম। তাই আমার প্রশ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দেয়া ১০০০০ টাকায় দোয়েল ল্যাপটপ কম্পিউটার টি কবে পাব।

৯। ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের জন্য এই হরতাল নয় হরতাল যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য।
(মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম)

আমরা প্রকৃত যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার অবশ্যই চাই। কিন্তু আমাদের মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাহেব যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার আদ করতে পারবেন কি না আমারা জানি না। বিরোধী দলের যেই কোন আন্দোলনের এবং সুশীল সমাজের যেই কোন প্রতিবাদ নাকি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য। আপনি সরকারের যেই কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন সেটা হয়ে যাবে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য। তাই সরকারের কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না যদি করেন সেটা যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার বানচাল করার উদ্দশে হয়ে যাবে।

১০। ডঃ মোহাম্মাদ ইউনুস রাবিস্ – সে তো একজন টোটাল রাবিস।
(মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত)

নোবেল বিজয়ী ডঃ মোহাম্মাদ ইউনুস আমাদের গর্ব ও সম্মানের নাম এই সত্য কথাটা আমরা ১৬ কোটি জনগণ মেনে নিলেও আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং ডক্টরেট কন্যা, গণতন্ত্রের মানস কন্যা, সমুদ্র কন্যা, দেশ রত্ন কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য মেনে নেয়া তেতো ঔষধ গিলার মত কষ্টকর। ডঃ মোহাম্মাদ ইউনুস আজ তার অসাধারণ কর্মের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গেলেন এক অনন্য উচ্চতায় সেই সাথে বিশ্বর দরবারে উজ্জ্বল করলেন বাঙালি জাতির মুখ। গ্রামীণ ব্যাংক তার হাত ধরেই আজ এই পর্যায়ে এসেছে। দেশের অর্থনীতিতে গ্রামীণ ব্যাংক রাখছে অসামান্য অবধান। কিন্তু এর পরেও আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেব বলছেন ইউনুস সে তো একজন টোটাল রাবিস। আসলে প্রকৃত রাবিশ কে…? প্রশ্ন আজ আপনাদের কাছে।

১১। আমি হিন্দু ও নই মুসলিম ও নই।
(মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ)

আমাদের মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ নাকি হিন্দু ও নয় মুসলিম ও নয় তাহলে উনি কি…? প্রশ্ন আজ সকলের মনে। আমরা যতদূর জানতাম তিনি জন্মগত ভাবে মুসলিম অবশ্য তার এক স্ত্রী খ্রিষ্টান। তিনি আজ জীবনের এই প্রান্তে এসে বুজতে পারছেন না তিনি আসলে কি।

১২. আপনারা কম খান।
(সাবেক মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক খান)

বাংলদেশের অধিকাংশ মানুষ এখন খেতে পায় না। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে কোন মতে বেঁছে আছে। যারা ২ বেলা ২ মুঠো ভাত জোগাড় করার জন্য হাড়ভাঙ্গা পরিস্রম করে যাচ্ছে। খুদার জন্য যেখানে মানুষের হাহাকার, সেখানে আমাদের সাবেক মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান কীভাবে বলছেন আপনারা কম খান। উনার কাছে আমার একটি প্রশ্ন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আপনি কি কম খান ? নিশ্চয়ই না। আপনার বাসায় দৈনিক যেই পরিমান খাবার অপচয় সেই পরিমান খাবার গরিব রা চোখে ও দেখে না। যেখানে গরীবের পেটে লাথি মেরে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ছেন সেখানে আমাদের নির্লজ্জের মত বলছেন আপনারা কম খান। আমার মনে একটি শঙ্খা হয় কোন দিন আবার আমাদের মাননীয় বস্র মন্ত্রী না জানি বলে বসেন আপনারা কম পরেন। এমনিতে আমাদের দেশে ডিশের মাধ্যমে বিশেষ করে ইহুদি এবং ইন্ডিয়ান কালচার ডুকে যা তা অবস্থা সেটা আপনারা দেখতে পারছেন তার পর ও যদি মানুষ কম পরে তাহলে কি অবস্থা হতে পারে আপনারা ই বুজতে পারছেন। তাই আমরা সাধারন মানুষ মাননীয় মন্ত্রী সাহেব কে বলছি আমরা কম খেতে এবং কম পরতে পারব না। তাই আপনাদের কাছে অনুরোদ আমাদের প্রয়োজন যতটুকু তততুকু মেটানোর সুযোগ দিন।

১৩ দ্রব্যমূল্য এখন সবচেয়ে কম।
(মাননীয় কিছু মন্ত্রী মহোদয়গন)

বাংলাদেশের অসংখ্য সমস্যা গুলোর মধ্যে দ্রব্য মূল্যর ঊর্ধ্ব গতি একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। দ্রব্য মূল্যর ঊর্ধ্বগতি পাগলা গোঁড়ার মত দিন কে দেন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে এই সরকারের আমলে লাগামহীন ভাবে এর গতি পায়। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী গন কখনো বাজারে যান কি না আমার জানা নাই। যদি যেতেন তাহলে এই ধরনের অনৈতিক মিথ্যা মন্তব্য করতে পারতেন না। আমরা মাননীয় মন্ত্রীদের মন্তব্যর সুরে বলতে চাই অতীতের যেই কোন সময়ের চেয়ে দ্রব্য মূল্য বর্তমানে অনেক গুনে বেসি। তাই আমরা এই ধরনের মিথ্যা মন্তব্যর প্রতি নিন্দা জানাই। এবং এর থেকে পরিত্রান চাই।

১৪ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মসজিদের অর্ধেক জায়গা পুজার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।
(মাননীয় ধর্ম মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ শাহাজান মিয়াঁ

আমাদের মাননীয় ধর্ম মন্ত্রী মহোদয় কোন এক পুজা মণ্ডবে পরিদর্শন কালে অতি আবেগি হয়ে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর নামে আজব উক্তি টি করাছেন। আমরা সত্যি অবাক! এবং বিস্মিত! তার এই ইসলামিক জ্ঞানের এর গভীরতা দেখে। তিনি কোথায় থেকে এই অশ্বাভাবিক জ্ঞান আহরন করেছেন আল্লাহ মালুম। রাজনীতি করেন ভালো কথা ধর্ম মন্ত্রীর ধর্ম নিয়ে এ কোন রাজনীতি…?

অবশেষে বলতে ছাই আমরা সাধারন মানুষ এই সব অমুলক দায়িত্বহীন বক্তব্য শোনার জন্য রেডি না। তাই আমরা দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করি সেই সাথে তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দেয়ার অনুরোদ করছি।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৫৬
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×