somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদমজী জুট মিলস আবার চালু হওয়ার প্রসঙ্গে কিছু কথা এবং এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

৩১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আদমজী জুট মিলস ছিল বাংলাদেশের একটি োননোটোমো পাটকল। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত এই কারখানাটি পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল হিসাবে বিখ্যাত ছিল। ১৯৫১ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত আদমজী জুট মিল্স তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ২য় পাট কল (প্রথমটি হল বাওয়া পাট কল)। পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানের বাংলাদেশ) এর উন্নতমানের পাট ব্যবহার করে আদমজী পাট কলে বিভিন্ন পাটজাত দ্রব্য প্রস্তুত করা হত। এটিকে এক সময় বলা হত প্রাচ্যের ডান্ডি (স্কটল্যান্ডের ডান্ডির নামানুসারে)। ১৯৭০ এর দশকে প্লাস্টিক ও পলিথিন পাটতন্তুর বিকল্প হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলে আদমজী পাট কলের স্বর্ণযুগের অবসান হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এটিকে জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকে ১৯৮০ এর দশকের কয়েকটি বছর ব্যতীত অন্য সব বছর এটি বিপুল পরিমাণে লোকসান দেয়। শ্রমিক ও মূলতঃ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বাধা সত্ত্বেও ২০০২ খ্রীস্টাব্দের ২২শে জুন এই কলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে মিলটির ১নং ইউনিট রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকায় পরিনত করা হয়েছে। ২নং ইউনিটটি পুনরায় চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাকিস্তানের অন্যতম ধনাঢ্য আদমজী পরিবারের তিন ভাই এ. ওয়াহেদ আদমজী, জাকারিয়া আদমজী ও গুল মোহাম্মদ আদমজী যৌথভাবে আদমজী জুটমিল প্রতিষ্ঠা করেন। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়ায় আদমজী জুটমিল গড়ে ওঠে ২৯৭ একর জমির ওপর। ১৭০০ হেসিয়ান ও ১০০০ সেকিং লুম দিয়ে এই মিলের উৎপাদন শুরু হয় ১৯৫১ সালের ১২ ডিসেম্বর। ওই সময় এই মিলের উৎপাদন থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। ১৯৫১ সালের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরুর পর পরই আদমজী জুট মিলস লি. শেয়ার ছেড়ে বিনিয়োগ উন্নীত করা হয় ৭ কোটি টাকায়। তখন মিলে তাঁতকল বসানো হয় ৩ হাজার ৩০০টি। আদমজী জুট মিলে উৎপাদিত চট, কার্পেটসহ বিভিন্ন প্রকার পাটজাত দব্য দেশের চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি হতো চীন, ভারত, কানাডা, আমেরিকা, থাইল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এ সময় আদমজী জুট মিল হয় পৃথিবীর অন্যতম জুট মিল এবং এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ কারখানা। আদমজীকে ঘিরে শীতলক্ষ্যার দুইপাড়ে সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁয়ে গড়ে ওঠে বিশাল জনগোষ্ঠীর আবাস। অবস্থান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে ২ কিলোমিটার দক্ষিনে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের ধারে এর অবস্থান। আয়তন আদমজী জুট মিলের (বর্তমান আদমজী ইপিজেড) আয়তন প্রায় ২৯৭ একর। প্রকৃত চিত্র ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ভালো ভাবে পরিচালনার ফলে তাদের লাভের পরিমান চিল কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর দায়িত্ব অটোমেটিকালি বাংলাদেশ সরকারের হাতে চলে আসে। তখন সরকার ম্যানেজমেন্ট এ আসে। এবং পরবর্তীতে যে যখন ক্ষমতায় আসলো সে তখন এটি কে দলীয় করন করে পেলেছে। ১৯৭২ সালে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ক্ষমতায় আসলো তখন এটির দলীয়করণের সূচনা হয়।পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের আমলে ও এর কমতি চিল না। আবার বিশেষ করে এই দলীয়করণের প্রভাব টা ছিল খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার আমলে। আদমজী জুট মিল্স প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে স্রমিক সংখ্যা ছিল ২৬০০০। পরবর্তী সরকার গুলোর দলীয় অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ফলে এটি এসে দাড়ায় ৮৭০০০। স্রমিক বেড়েছে কিন্তু উথপাদন বাড়েনি ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে গুনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার আবার ক্ষমতায় আসলো তখন তারা উপলব্দি করতে পারল বছরে ২০০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে গড়ে তখন তারা এটিকে বন্দের সিধান্ত নিলেন। ফলে এই ৮৭০০০ শ্রমিক চাকুরী হারাল এবং সরকার পরবর্তীতে এদের কিছু ক্ষতি পূরণ দিলেন। সরকারের মিশ ম্যানেজমেন্ট এর কারনে আমাদের দেশের জনগনের আমাদের গুনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা লোকসান। এই দেশের জনগণ যারা তাদের গামে উপার্জিত টাকা থেকে ট্যাক্স এবং ভাটের মাধ্যমে অর্থ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের সরকার গুল এই টাকা গুল দিয়ে মাস্তানি করে। আমরা এখন আবার সুন্তে পাই আদমজী জুট মিল্স আবার পুনরায় নাকি চালু করা হবে। তাহলে এটি কি আবারো দলীয় অদক্ষ লোকদের খুশি করার জন্য…? পাঠকদের উদ্দেশে বলছি । আপনারা খেয়াল করে দেখবেন কোন এম পির ৮-১০ টা গার্মেন্টস থাকা শর্তেও তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে একটি লোককে ও নিয়োগ দেবে না। কারন তিনারা জানেন এরা অদক্ষ অযোগ্য এদের নিলে নিশ্চিত ব্যবসায় লস। তাই এরা দলীয় হয়া শর্তেও এদের নিবে না। কিন্তু এদের নিয়োগ দেবে কোথায় সরকারী প্রতিষ্ঠানে গেলে সরকারের যাবে দেশের যাবে তার কি আসে যায়। এই যদি আমাদের মন্ত্রী এমপিদের চিন্তা ধারা হয় তাহলে দেশ কোন দিন ও আগাবে না। যত দিন এই অনৈতিক মানসিকতা বদলাবে ততদিন আমাদের দেশের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। কারন তিনারা আমাদের এর দেশটাকে পরিচালনা করেন। তাই অবশেষে বলতে চাই আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে দলীয় অদক্ষ অযোগ্য কর্মী নিয়োগ বন্দ করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাজের গরীব পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আদমজী জুট মিল্স এর মত অবস্তা হলে আস্তে আস্তে সব প্রতিষ্ঠান বন্দ হওয়ার উপক্রম হয়ে যাবে। তাই সরকারের এই বিষয়ে সুদৃষ্টি দরকার দেশ ও জাতির স্বার্থে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×