somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের অর্থনীতিতে নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?

০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যাংককিং সেক্টর হচ্ছে একটি দেশের অর্থনীতির ধমণীর রক্ত প্রবাহের মত। মানব দেহে কোন কারণে ধমনিতে রক্ত প্রবাহ বন্দ হয়ে গেলে যমন সেই বাক্তির পক্ষে বেছে থাকা সম্বব হয় না তামনি কোনও কারণে দেশের ব্যাংককিং বাবস্থা যদি সঠিক ভাবে পরিচালিত না হয় তাহলে সাই দেশের অর্থনীতি ও ঠিক ভাবে চলতে পারে না। তাই প্রতিটি দেশ ই চেষ্টা করে কিভাবে ব্যাংককিং সেক্টরকে সঠিক ভাবে পরিচালিত করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে প্রায় ই আমরা এর উল্টো চিত্ত দেখতে পাই। আমাদের যারা সরকারে আছেন তারা নিজদের রাজনৈতিক ও বাক্তি গত সার্থে এটি কে বাবহার করে আসছেন। যা একটি দেশের অর্থনীতিতের জন্য চরম এক হুমকির কারণ।

দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে বলে এই মুহূর্তে মনে হয় না। কারণ আমাদের অর্থনীতি খুব ই ছোট, তার পর ও এই ক্ষুদ্র অর্থনীতিতে বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যাংকের সংখ্যা প্রায় ৫০ টা। এই ছাড়া ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্টান আছে ৩০ টি তা ছাড়া দেশে মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে প্রায় আরো ৩০ টির মত। ঠিক এই মুহূর্তে দেশে আরো নতুন ব্যাংক অনুমোদনের ফলে অনেক ক্ষেত্রে অস্থিরতা বাড়তে পারে। বর্তমানে মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে যতটুকু তার চেয়ে বায় এর পরিমাণ অনেক অনেক গুণ বেশি.দ্রব মূল্যের চরম উর্দ্ধগতি মানুষ আজ খেতে পারছে না তাদের হাতে টাকা নাই ফলে মানুষ তার জমানো বা সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা কয়েছে। মানুষের সঞ্চয়ের প্রবণতা দিন কে দিন কমে আসছে ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক গুলোতে আমানত ঋণ ও সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে গেছে। ইতিমধ্যে এই খাতে চরম এক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক অন্যর টাকায় ব্যবসা করে মানুষ আমানত না রাখলে ব্যাংক চলবে না। ফলে এই অবস্থায় ব্যাংক দেয়া মানে টোটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভেঙে দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে জানিয়াছিলন যে, দেশে এখন নতুন ব্যাংকের আর প্রয়োজন নেই। কারণ হিসেবে পর্ষদ আমাদের অর্থনীতির আকার, প্রতিযোগী ও দক্ষিণ এশীয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে তফসিলি ব্যাংক বেশি বলে অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করে। তারপরও কেবলমাত্র রাজনৈতিক চাপে দেয়া হচ্ছে নতুন ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী তা অকপটে স্বীকারও করেছেন।

বর্তমানে সরকার ৩ টি এনআরবি ৬ টি বেসরকারী ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে তা শুরু মাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায়,যা কোন মোটেও ঠিক হয়নি।দেশ আজ চরম এক খারাপ মুহর্ত পর করছে বিশেষ করে অর্থনীতিতে তারপর ও সরকার এ কী করছে? সময় টিবি তে কোন এক টক তে প্রশ্নের জবাবে মা খা আলমগীর সাহেব বলেছেন আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় এসেছে কি বিএনপির লোকদের ব্যাংক দেয়ার জন্য? তাহলে আমরা কি প্রশ্ন করতে পারি না যে এই সরকার কী তাহলে ক্ষমতায় এসেছে নিজদের লোকেদের খুশি করে দেশ ও অর্থনীতিকে ধংস করার জন্য?

১৯৯৬ সালে এই সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন ও অপ্রয়োজনে নতুন ১৩টি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। তাও ছিল দলীয় বিবেচনায়.এই সরকারের কাছে দলের প্রাধান্য ই কী মূখ,নাকি দেশ? প্রশ্ন আজ রয়েই যায়। আমরা জানি বর্তমান বিরদী দলের ও অনেক অনেক বার্থতা আছে। তবে তাদের ভূমিকা এই ব্যাংককিং খাত সহ টোটাল অর্থনীতিতে তুলনামূলক ভাবে ভাল ছিল।

আমাদের সাবেক প্রয়াত অর্থ মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সাহেব কঠিন চাপ থাক শর্তে ও তিনি গত টার্ম এ একটি ব্যাংকের ও অনুমোদন দেন নি তা শুরু মাত্র অর্থনৈতিক বিবেচনায়। তিনি রাজনৈতিক চাপ কে শক্ত হাতে মোকাবেলা করেন এবং তিনি তার মেদা ও বুদ্ধি দিয়ে আমাদের অর্থনীতি কে এগিয়ে নিয়ে যান এক অনন্য উচ্ছতায়। তার এই অসাদারন অবদানের কথা জাতি কোন দিন ও ভুলতে পারবেন না। কিন্তু তার ই আরেক বন্দু বর্তমান অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মোহিত এ কোন পথে হাটছেন?

কেউ কেউ মনে করে ব্যাংক বৃদ্ধির ফলে ব্যাংক গুলোর মধে প্রতিযোগিতা বাড়বে সুদের হার কমবে আসলে কি তাই? ৫৭ টা ব্যাংক থাকার পর প্রতিযোগিতা ঠিকই বেড়েছে সেই হারে কি সুদের হার কমছে? আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের যেই অফেসিয়াল ইন্টারেস্ট রেট ফিক্সড করা আছে তা সবাই কে মানতে বাধ্য করতে হবে। কেও এর বেশি নিতে পারবে ন। যদি কেউ এই আইন না মানে তাহলে তাদের লাইসেন্সে বাতিল করতে হবে।এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাক্টিভ তদারকির থাকতে হবে।

বর্তমানে সরকার যে ব্যাংক গুলোর অনুমোদন দিয়েছে তার পেইড আপ ক্যাপিটাল থাকতে হবে ৪০০ কোটি টাকা।আওয়ামি লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতার ঐ টাকা গুলো কোথায় থেকে অর্জন করছে তারা কি এনবিআর ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়েছে কী? তাদের এই টাকা বৈধ কিনা যতক্ষণ পর্যন্ত তারা এই টাকার ক্লিয়ারেন্স না দেখাতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এটি কে দুর্নীতির টাকা হিসাবে আমরা মনে করব। আমরা আর সন্দেহ পোষণ করব এই টাকা গুলো শেয়ার মার্কেট লুট করা টাকা কী না।

এই সরকার অন্যদের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে,কিন্তু নিজেদের দুর্নীতি তাদের চোখে পড়ে না তাদের মন্ত্রী ও এমপি দের এপিএস এর গাড়িতে বস্তা বরটি লাক লাক টাকা পাওয়া যায়।ইপিএস স্টেটমেন্ট অনুযায়ে মাননীয় মন্ত্রী সাহেব জড়িত। তাহলে আমরা কি দরে নিতে পরি না এই দুর্নীতির টাকা দিয়ে আজ নতুন খোলা হচ্ছে। তাই আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত ও অপরদির অপরদিদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি এবং সরকারের প্রকৃত অবস্থান তুলে দরার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলছি আপনি এই মুহূর্তে দেশের দুর্নীতি বন্দ ও অনান্য সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করুন পাশাপাশি ব্যাংক বৃদ্ধির কথা না ভেবে বরং তাদের উপদেশ দিন তারা যেন ব্যাংক ইনভেস্ট না করে ইন্ডাস্ট্রি তে ইনভেস্ট করে এবং আপনি প্রয়োজনে তাদের ট্যাক্স কমিয়ে দেন তাতে তারা উৎসাহী হবে এই খাতে বিনিয়োগ করতে। অবশ আমাদের সমসা তো এক দিকে নয়, চারিদিকে তারা ইনডাস্ট্রি করবে কী ভাবে দেশে এখন বিদূত গ্যাস লাইন বন্দ ফলে নতুন ইনডাস্ট্রি তো দূরে থাক যেই আছে তার অনেক গুলিই আজ অকেজো ,অনেক ইনডাস্ট্রি অলরেড়ি বন্দ হয়ে গাছে শুধু মাত্র বিদূতের অভাবে।ফলে আমাদের শিল্প উদ্ধক্তাদের গুনতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ব্যাংক সুদের টাকা।তাই তারা আজ দিশা হারা। হাজার মানুষ আজ বেকার যারা এই ইনডাস্ট্রি তে কাজ করতো.যারা এসেছিল ঢাকার উদ্দেশে সদুর গ্রাম থাকে শুরু মাত্র জীবিকা অর্জনের জন্য.তারা আজ কোথায় যাবে তাদের ভবিষিত কী? এই সরকার বলেছিল আমাদের বেকার সমসা দূর করবে। আমরা আজ কী লক্ষ করছি বেকার সমসা দূর তো দূরেই থাক দিন কে দিন বেকার বেড়াই চলছে.

বর্তমানে মুষ্টি ময় কিছু মানুষ ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আছে। কিন্তু বহু সংকক মানুষ ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় নেই যারা গ্রামে বাস করে। যদিও সরকার ইতিমধ্যে নতুন ৯ টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে তার পর ও কী নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে? যে বাকি সব মানুষ গুলোকে এর আওতায় আনা যাবে? এটি আজ জন মনে একটি বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকে মনে করেন সরকার এই ভাবে নতুন ব্যাংক অনুমোদন না দিয়ে পূর্বের ব্যাংক গুলোকে আরো গতিশীল করে তোলা যেমন গ্রাম পর্যায়ে শাখা বৃদ্ধি করে তাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় এনে সেবা পৌঁছিয়ে দেয়া।

শুধু ব্যাংক না বৃদ্ধি করে বর্তমান ব্যাংক গুলোর শাখা বৃদ্ধি সেই সাথে সেবা ও সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে, এবং এ ছাড়া ব্যাংক গুলোর আর্থিক যুকি মোকাবেলার জন্য সক্ষমতা অর্জন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংকিং খাত সুরক্ষার জন্য ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যাংক গুলোর সার্বিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি রাখতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাতে সরকারের অনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্দ করতে হবে এবং ব্যাংকে তার সঠিক নিয়মে চলতে সাহায্য করতে হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×