হ্যালো আপা, শুনছেন জ্বী আপনাকেই বলছি, আপনি কিভাবে জেনে এখানে এলেন
“বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম, পথে দেখি দীর্ঘ লাইন, কি ব্যপার, জানতে পারি গানের প্রতিযোগীতা, অনেকদিন ধরে যদিও প্রাকটিস নাই তারপরেও নিজেকে ঝালিয়ে নেবার ইচ্ছেটা পেয়ে বসল, তাইত এই Open-Down’র লাইনে”
আপনি ?
“কোচিং ছিল, বাসায় কেউ জানেনা, কোচিং এর নামে বের হয়েছি, এসে লাইনে দাড়িয়ে গেলাম - দেখি কি হয়”
ভাইয়া আপনি কিছু বলবেন ?
“এবারই প্রথম, গাইতাম বন্ধু মহলে, বন্ধুরাই বলল অডিশনে যেতে, আমার ইচ্ছে ছিলনা, ওদের জোড়াজুড়িতে এই আসা ..”
উপরের চরিত্রগুলি এবং ঘটনা প্রবাহগুলোও নিছক রচনা মাত্র, কিন্তু সত্যি বলতে তা বাস্তব থেকেও খুব বেশী দূরে নয়।
আমাদের দেশের বিভিন্ন বেসরকারী চ্যানেলগুলো সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণে স¤প্রতি যে হারে মাঠে নেমেছে, কার ব্যানারে কত প্রতিযোগী অডিশনে আসে, কত শিল্পী বের হয় ইত্যাদির প্রচার প্রাচরণাই ব্যস্ত। সে যাই হোক এতে যে আমাদের সঙ্গীত অনুরাগীরা বেশ উৎসাহভরে তাতে অংশগ্রহন করছে আর তার দৃশ্যই বলে দেয় আমাদের সঙ্গীত ভবিষ্যত কি হতে যাচ্ছে ? ভাবছেন অন্য কিছু ? অবশ্যই ভাল কিছু ভেবেই বলছি।
এটা নিশ্চয় আমাদের দেশের পরিসংখ্যান বিভাবের কাছে এরকম কোন সঠিক তথ্য নেই যে, প্রতি কতজন মানুষের জন্য একজন শিল্পী প্রয়োজন। তবে যে হারে লিখিত-অলিখিত, কথিত-অকথিত, সনদপ্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী বের হচ্ছে তাতে হলফ করে বলা যায় দেশ যেদিক থেকেই দূর্ভিক্ষে পরুক না কেন সঙ্গীতে, এবং তার শিল্পী কালেকশনে কখনো দূর্ভিক্ষে পড়ার কোন সম্ভাবনাই নাই।
যাকগে আবার সমালোচকরা বলতে পারে, বাঙ্গাল’রা শুধুই খুটিয়ে খুটিয়ে দোষ ধরতেই ব্যস্ত। এতো ভাল উদ্যোগ তাকে স্বাগত জানাবে কি উল্টো তার ... ইত্যাদি ইত্যাদি । আমি ভাই ওই নিন্দুকের তালিকায় যেতে চাইনা।
তবে অনুমান করতে পারি, একটা সময় আসবে যখন গান শোনার আর কোন শ্রোতা খুজে পাওয়া যাবেনা, কারণ যে, সবাই গায়ক/গায়িকা সবাই শিল্পী আবার তারাই শ্রোতা।
শুধু সঙ্গীত কেন ? অন্য কোন প্রতিভার কি এমন আয়োজন করা যায়না ? না সে ধরনের কোন প্রতিভা অন্বেষণে স্পন্সর পাওয়া যায়না ? বা কেউ আগ্রহী হয়না ? এসএমএস হিট কিরকম হতে পারে কম বা বেশী সে হিসেবেও আগে কষতে পারে ?
কি জানি বাপু কি হিসেব নিকেষ ?