[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগী (অবশ্যই অন্যায় ভাবে) তাদের জন্য এই লেখা নয়!]
অভিননন্দন! তার মানে আপনিও নিজেকে সাধারণ একজন আমজনতা মনে করেন! আচ্ছা আজকের যেই আপনি, সেই "আপনি" হতে কার অবদান সবচেয়ে বেশি? যদি উত্তর টি হয়, আপনার পিতামাতা বা পরিবার, তাহলে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর দিন, আপনি কি কখনো পথে-ঘাটে বা ব্লগে আমাদের দেশের যোগ্য রাজনৈতিক দল গুলোর পক্ষে-বিপক্ষে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন? যদি উত্তর টি "হ্যা" হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে বলবেন কি কেন??
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আমজনতা সত্যিকারের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারল না, ভবিষ্যতেও যে পারবে তার সম্ভাবনাও ক্ষীন.... অবশ্য যদি এভাবেই সব চলতে থাকে! কেন বলছি এই কথা? দুইটা ব্লগ দেখলাম, যেখানে ব্লগার বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন যারা সম্ভাব্য বাংলাদেশের ভবিষ্যত অভিভাবক। সেই ব্লগারের ভাষায় "এদের চিনে রাখুন,একদিন এরাই আপনাকে ছিড়ে-খুঁড়ে খাবে“ (প্রথম পর্ব ) ( ২য় পর্ব )! এছাড়াও এই ব্লগেরই একজন ব্লগার তাঁর ব্লগে বলেছেন, আমাদের নেতা-নেত্রীরা কে কার সাথে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ (দুক্ষিত লিঙ্ক টি সংগ্রহে নেই- যদি পোস্ট টি এখনো থেকে থাকে, সার্চ করে হয়ত বের করা যাবে)। আমরা খালি চোখে যতই দেখি না কেন ওনারা একজন আরেকজনকে দেখতে পারেন না, কিন্তু পর্দার অন্তরালে ওনাদের নিজেদের ভিতর কিন্তু কোনো বিরোধ নেই। এখন কথা হলো- চিকিত্সক, প্রকৌশলী, উকিল বা যেকোনো পরিবারের সন্তান কে যদি একই পেশা বেছে নিতে হয় তাহলে ছোটবেলা থেকেই থেকেই নানা ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেই পেশাতে যেতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীতি পেশা টা এমন যেখানে এটা সত্যিই রাজ-নীতি বা পরিবার-নীতি! আমাদের নেতা-নেত্রীদের যা কর্মকান্ড (অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে) তাদের ঘরের সন্তানেরা ঠিক ছোট্ট বেলা থেকেই এসব দেখে দেখে যখন একসময় পরিবারতন্ত্রের মধ্য দিয়ে দেশের দায়িত্ব নিবে, তখন তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যত আমজনতা কি আশা করবে?
এই পর্যন্ত যদি আপনি কষ্ট করে পড়ে থাকেন, তাহলে এবার আপনার বিবেক কে জিজ্ঞাসা করুন, আমরা যারা নিজের পরিবারের খেয়ে আমজনতা হয়েছি- যাদের সন্তান দের আমজনতা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, তারা কেন এসব নেতা-নেত্রী বা দল এর জন্য কামরা-কামড়ি করব? এই পর্যন্ত তো শুনলাম না, কোনো আমজনতার চিকিত্সার জন্য সরকার তাকে সিঙ্গাপুর বা বাংকক পাঠাচ্ছে (সামু-র ডান দিকে কেন এতদিন ধরে "হাত বাড়িয়ে দাও“ কথাগুলো অসহায় দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঝুলে থাকে)। সরকার বা বিরোধী বলে কথা নয়, আজকে তাদের সামান্য পেট ব্যথা করলেও তারা দেশের বাইরে চলে যায়! আহা কি কষ্টের পেট ব্যথা (আসলে রাস্তায় যে জ্যাম, মোহাম্মদপুর-শাহবাগ টাকেও তখন অনেককক দূর মনে হয়)!! যাহোক, আমাদের বোঝা উচিত যে আমাদের সম্মানিত নেতা-নেত্রী রা কেবল মাত্র শোষণ করার জন্যই শাসন ব্যবস্থায় নিজেকে উজার করে দেন এবং তা ধরে রাখার জন্যে সাধারণ আমজনতাকে ব্যবহার করেন!
সমাজের শিক্ষিত জনগোষ্টি যেভাবে নিজেকে "পেতে" দিচ্ছে সেখানে যারা শিক্ষিত নয় তাদের কথা কি বলব!! এবার নিজেদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা কি "পেতে" দিব না প্রতিবাদ করব! এখন আর চিন্তা করার সময় নেই, চলুন কোন দলের জন্য চিত্কার না করে দেশের জন্য চিত্কার করি!