আগের তুলনায় আমাদের দেশে অনেক উন্নয়ন হলেও শহরাঞ্চলে জনসংখ্যার তুলনায় পাবলিক টয়লেটের সংকট একটি বড়
ধরনের সমস্যা আর এই সমস্যার ফলে নিত্য ভোগান্তির শিকার হয় অনেক সাধারণ মানুষ বিশেষ করে আমাদের
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারীরা। বিশেষ করে রাস্তায় বের হলে কোনও স্থানে ভ্রমণের উদ্ধেশে জ্যামের কারণে স্থানে সঠিক সময় পৌছানো একটি সময় সাপেক্ষ ব্যপার।আর সেই সময়ের মধ্যে যদি কারো টয়লেট চাপে কই যাবো? টয়লেট তো নাই। দুএকটা যদিও পাওয়া যায় সেসব এতটাই নোংরা থাকে যে খোনও ভাবেই যাওয়া সম্ভব হয়না।অন্যদিকে কেহ যে পাবলিক টয়লেটে যে যাবে
তারও ভালো নিশ্চয়তা নেই বা সেখানে যে কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে না তারও কোনও গ্যারান্টি নাই।
আর এর ফলে অনেকেই আছেন যারা রাস্তায় বের হবার আগে থেকেই পানি বা কোন খাবার খেয়ে বের হন না।আবার এমনও দেখা যয় টয়লেট চাপলেও অনেকে আছেন সেটা চেপে রাখেন যার কারণ অনেক সময় মার্কেট বা রেস্তরাতে টয়লেট থাকলেও কৃতপক্ষরা
রাস্তা থেকে এসে বহিরাগত অন্য কেউ তাদের টয়লেট ব্যবহার করবে সেটা পছন্দ করেন না ।তবে স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে টয়েলেট
বেশি সময় চেপে রাখা শরীর স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূণ্য।
এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জানিয়েছেন তারা অনেক সময় ভ্রাম্যমান টয়লেট পেলেও
পরিচ্ছন্নতা এবং বিশেষ নিরাপদের অভাবে সেগুলো তারা ব্যবহার করতে পারেন না।অনেক নারীদের আশংকা টয়লেটের
ভেতরে গোপন ক্যামেরাও থাকতে পারে। শুধু সাধারন পাবলিকই না রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক পুলিশ সহ অনেক
নারী সদস্যরাও এ বিষয়টি নিয়ে বেশ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা এবং কনস্টেবল সহ
অনেকেই আছেন যারা রাস্তায় সরকারী বা বেসরকারি কর্মরত থাকেন এমন অনেক নারী পুলিশ সদস্যরা টয়লেট চেপে রাখেন।
আর এ কারনে তাদের অনেকেই ইউরিন ইনফেকশনসহ নানা ধরণের সমস্যায় ভুগছেন।
একজন মানুষের দীর্ঘ সময় পানি না খেয়ে থাকলে প্রথমেই পানিশূণ্যতার সমস্যা হয়। তারপর টয়লেট চেপে রাখা ইউরিন ইনফেকশনের একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এর পাশাপাশি আরো অনেক রোগ হতে পারে।কিডনীর কাজ পরিচালনার জন্য পানি পান জরুরী শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া এবং গ্লুকোজসহ অন্যান্য উপাদান অ্যাবজর্ব করে কিডনী। ফলে তার কাজ ব্যহত হওয়া মানে পুরো শরীরের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তাই মাননীয় সরকারি স্বাস্থ্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মন্ত্রনালয় এবং ঢাকা দক্ষিন ও উত্তর সিটি করপেরেশনের মেয়রদের কাছে বিশেষ
অনুরোধ থাকবে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের সকল ব্যস্ততম শহর গুলোতে পরিবেশ উপযোগী সরকারি ভাবে পাবলিক টয়েলেটের
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১