আমরা আগেই দেশের যে উন্নয়নের ধারা অবভ্যহত রাখতে যেভাবেই হোক আবারো আওয়ামীলিগই পাশ করবে ।
এবং সেটা তারা ১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচিত জয় লাভ করে দেখিয়ে দিছেন ।
তবে আরেকটু ভালো হত যদি নির্বাচনটা প্রশ্নবিদ্ধ না হত ।
কথা হল কি করে প্রশ্নবিদ্ধ হল ?
যদিও বাহিরের সব দেশ থেকে নির্বাচিত সরকার হিসেবে তাদের স্বাগতম জানানো হয়েছে।স্বাগতম জানায়নি শুধু
বাংলাদেশের ১৮ কোটি মূর্খ জনগণ ।
দেশের এই সকল মূর্খ জনগণদের কাছ থেকে স্বাগতম না পাওয়ার জন্য দায়ি যতটুকো সম্পূণ্য আওয়ামীলিগ নিজেই।
যদিও দেশের মূর্খ জনগণের স্বাগতমে মাতা জননীর কিছু আসে যায়না । তবুও ক্ষমতা বলে কথা রাজনৈতিক বলে কথা।
চিরকালই যে তারা ক্ষমতায় থাকবেন সেটাও বিশ্বাস করা যাবেনা।বাঙ্গালী বলে কথা,বাঙ্গালী রক্ত যেমন মাতা জননী শেখ
হাসিনার শরীরে তেমন এই বাংলাদেশের মূর্খ জনগণের শরীরেও সেই একই দেশের একই জাতির রক্ত।তাই বাঙ্গালী অত সহজে
৩০শে ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনের কথা ভুলবেনা ।এখন ভয়ে কেউ আওয়ামীলিগের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও সময় মত হয়ত
অতম্যাটিক খুলবে বহুদিনের তালা বদ্ধ থাকা মুখগুলো ।
কিছু ভুল ছিল ৩০শে ডিসেম্বর আওয়ামীলিগের জন্য। সেগুলো হল যেমন বিএনপিদের পচারনায় বাধা না দিলেও চলতো ।
শুধু প্রশাসন ঠিক থাকলেই চলতো,যা করার ভোটের দিন ফলাফল প্রকাশের সময় করলেই হত ।
ভোটকেন্দ্রে অ্যাজেন্ট ডুকতে বাধা দেয়াও ঠিক হয়নি নির্বাচন যেহেটু সরকারের হাতে ছিল । এর পর সাধারন মানুষদেরও
ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগে বাধা দেয়া ঠিক হয়নি,উচিত ছিল তাদের ভোট প্রয়োগ করতে দেয়া ।
যদি বিরোধী দলেরা আজ নির্বাচন পচারনা চালাতো এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকতো না কারো মাঝে।এতে করে বিরোধী
দলের আরো কিছু টাকা বাড়তি খোয়া যেত।
তেমন ভোট কেন্দ্রে বিরোধী দলের অ্যাজেন্ট প্রবেশ করলে বা থাকলে কেও সাহস পেতনা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।
ভোটারাও যদি ৩০শে তাদের ভোটগুলো নিজেরাই প্রয়োগ করতে পারতেন তাহলে সরকারের প্রতি ভোটারদেরও কোনো
ক্ষোব বা রাগ থাকতো না সরকারের উপরে ।
প্রশ্ন হতে পারে এতকিছু করলেতো আওয়ামীলিগ জয় লাভ করতে পারতো না,আমি বলবো না জয়ী আওয়ামীলিগই হত।
বিরোধী দলের পচারনা ও ভোট অ্যাজেন্টের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং ভোটারদের ভোট প্রয়োগ করতে দেয়া সবই হত শুধু
ফরমূলা বা লোক দেখানো কাজ যা করার তা আগের রাতেই করলে হত । আর যখন ভোটের ফলাফল প্রকাশ করার সময়
হত তখন শুধু কিছু কৌশল খাটালে বাজিমাৎ হয়ে যেত । আর ওরকম পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচন দিলে আজ সরকার প্রশ্নবিদ্ধ
থাকতো না । কেননা তখন ১৮ কোটি বাঙ্গালীও বলতো যে না নির্বাচন সুস্থই হয়েছে আর আওয়ামীলিগ দেশের জন্য ভালো কাজ
করেছে তাই তারা জয়ী হয়েছে।
কিন্তু তাদের ভুলের জন্য এখন যারা নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট না দিয়ে ফিরে এসেছেন তারাও খুব
রাগনিত ক্ষমতাশীন সরকারের উপরে।
তাই আগামী দিনগুলো সরকারকে খুব হিসাব করে চলতে হবে ।রাজনীতিতে বা রাজনীতির চালে একটু ভুল মানেই সারাজীবনের
ভুলের বোজা টেণে বেরানো ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১