২০১৭ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শুধু বাংলাদেশে ২৫শে মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হলেও এটি আজও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পায়নি ।স্বাধীনতার পর প্রায় গত ৪৮ বছরেও এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেও তাতে সফল হতে পারেননি।১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইট নামে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছিল বলেই ধারনা করা হয় ।
ব্রাসেলসে আন্তর্জাতিক আইনের বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন যেদেশে গণহত্যা সংঘটিত হয় তারা ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন সেই গণহত্যার ঘটনাকে গণহত্যা বলে স্বীকার করে নেন তখনই কেবল সেটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বিবেচনায় আসে।
আবার কোনো গণহত্যার ঘটনাকে যদি জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তাহলেও সেটিকেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলা হবে।
মি: জিয়াউদ্দিন আরো বলেন গণহত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনা মনে করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি এবং পূর্ব ইউরোপে ইহুদি নিধনের ঘটনাকে।সেসময়ের গণহত্যার ঘটনাটিকে বোঝানোর জন্য হলোকস্ট নামে নতুন একটি শব্দও তৈরি হয়েছে।তবে বাংলাদেশের ২৫শে মার্চের গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ার বা দেয়ার পেছনে কারণ হিসেবে মি: জিয়াউদ্দিন যা বলেন: এই গণহত্যাটিকে সেভাবে স্বীকৃতি পাওয়ানোর চেষ্টা কখনো করা হয়নি,তাই এখন এটা আজও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পায়নি ।
তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের ২৫শে মার্চ গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো কার্যক্রম কখনো পালন করছেন বলেও মনে করি না আমি।তিনি আরো বলেন,সরকারের একক প্রচেষ্টায় এই স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব নয়,যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের মানুষ ও প্রবাসী জনগোষ্ঠী এর সাথে যুক্ত না হচ্ছে, এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা না হচ্ছে, প্রামাণ্য দলিল তৈরি না হচ্ছে এবং এ বিষয়ে ক্রমাগত প্রচারণা না হচ্ছে ততক্ষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব না।
তাই সকল বাংলাদেশের যারা বিদেশে আছেন বা প্রবাসী জনগোষ্ঠী যুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা করে প্রামাণ্য দলিল তৈরি করে ২৫শে
মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে সহযোগীতা করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২