আগে জানতাম বা শুনেছিলাম সুইডেনের সবচেয়ে উত্তরের শহর কিরুনায় গ্রীষ্মকালে প্রায় দেড় মাসের মত নাকি সূর্যাস্তই হয় না মানে
সূর্য ডুবে না। উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনেকটা অংশজুড়েই গ্রীষ্মকালের একটা নির্দিষ্ট সময় আক্ষরিক অর্থেই সূর্য ডুবতে দেখা যায় না। আবার ঠিক একই ভাবে শীতকালেও কোনো একটা নির্দিষ্ট সময় মত সূর্য উঠতে দেখা যায় না।আর সেজন্যই
হয়ত গ্রীষ্মকালের এই সময়টাকে মেরু দিন এবং শীতকালের এই সময়টাকে মেরু রাত্রি বলা হয়। স্ক্যান্ডেনেভিয়া অঞ্চলের দেশ সুইডেনের কিরুনা শহরটি আর্কটিক সার্কেল বা উত্তর মেরু বলয়ের আরও ১৪৫ কিলোমিটার ভেতরে। সেখানে গ্রীষ্মকালেও পর্বত চূড়াগুলো সাদা বরফে ঢাকা থাকে। পুরো গ্রীষ্মকালেই রাতের আকাশ থাকে অনেকটাই আলোকিত আর পুরো শীতকালে দিনের আলোর দেখা মেলা ভার।মাত্র ১০০ বছরের কিছু আগে বসতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে কিরুনা শহরের পত্তন হয়েছিল মূলত লোহার খনিকে ঘিরে। খনির শহর কিরুনায় সব মিলিয়ে হাজার বিশেক বাসিন্দার মধ্যে একটা বড় অংশই অভিবাসী শ্রমিক। এঁদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন দেশ থেকে সুইডেনে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী মুসলিমরাও। গত কয়েক দশকে এখানে আসা মুসলিমরা ভৌগোলিক কারণে নামাজের সময়সূচি এবং রোজা রাখা নিয়ে বিপাকে পড়েন। এ বিষয়ে মুসলিম ধর্ম-তাত্ত্বিকদের নির্ধারণ করা কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকায় কিরুনার মাত্র কয়েক শ মুসলিমও ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলেন।
আজ আবার শুনলাম আর্বকটা বিষয়,আর সেটা হল,একদিন সমান সমান ২৪ ঘন্টা। অর্থাত্ দিন আর রাত মিলিয়ে এই হিসেব। এরমধ্যে ১০ কিংবা ১২ ঘন্টা নিশ্চিত দিন? এটাই তো হওয়া স্বাভাবিক। এর ব্যাতিক্রম হওয়া মানেই বিস্ময়কর।যদি আপনি শোনেন কোন এক দেশে মাত্র ৩ ঘন্টা থাকে দিনের আলো আর বাকী ২১ ঘন্টাই রাত তবে অবাক না হয়ে পারবেন কি? ভাবতে পারেন এটা অসম্ভব! না, অসম্ভব নয়। এটাই সত্যি। পৃথিবীতে এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানে ৩ ঘন্টায় দিন শেষ।রাশিয়ার অইমিয়াকন নামের গ্রামে শীতকালে মাইনাস ৬৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বজায় থাকে। এ গ্রামে ঠাণ্ডার এত তীব্রতার পরও সেখানকার মানুষ কিন্তু সারাদিন কম্বলের নিচে পড়ে থাকে না।সেখানে বিদ্যালয়, পোস্ট অফিস, ব্যাংক, এয়ারপোর্ট সব কিছুই রয়েছে। তবে সেগুলো শুধু গ্রীষ্মকালে চালু থাকে। হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও সেখানে মানুষ জীবিত থাকেন আবার কাজের মধ্যে ব্যস্তও থাকেন।সেখানে তাদের বেঁচে থাকার জন্য অ্যালকোহল পান করতে হয়। শীতের সময় বাজারে শুধু মাছ এবং মাংস পাওয়া যায়। সেখানে পথঘাট, পাহাড়-পর্বত, গুহা সবকিছু বরফে ঢেকে থাকে। গাছ-পালাও বরফে-পাথরে পরিণত হয়।ওই গ্রামটির যেদিকে তাকাবেন সেদিকে শুধুই বরফ। আর এই গ্রামেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে আলোর দেখা পাওয়া যায় মাত্র তিন ঘণ্টা। বাকি ২১ ঘন্টা জুড়েই বরফময় অন্ধকারে আচ্ছাদিত থাকে পুরো গ্রাম। আমি
এসব কথা শোনা বা জানার পর নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ।বেশ খানিকটা অবাকও হয়েছি যাই হোক সৃষ্টি কর্তার খেলা বোঝা
বড় দায় ।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট !
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৩৮