প্রশ্নঃ সতী নারী কাকে বলে? সমাজে সতীত্ব কি শুধু নারীদের বেলায় প্রযোজ্য? পুরুষদের কি সতীত্ব থাকার প্রয়োজন নেই?
উত্তরঃ যে নারী স্বামীর অধিকার অন্য পরপুরুষের কাছে বিলিয়ে দেন না তিনিই হচ্ছেন সতীনারী। আর এসব নারীরাই আল্লাহর রাসূলের (সাঃ) কথা অনুযায়ী দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কিন্তু বর্তমানে অনেক নারীই তাঁরা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে এবং নিজেদের পরপুরুষের ভোগের বস্তু বানিয়ে নিচ্ছে। অনেক নারী-পুরুষ মনে করে বিয়ের আগে সেক্স করা থেকে বিরত থাকাকেই সতীনারী বলে। তাই বিয়ের পর প্রথম মিলনের সময় যোনিপথের রক্ত বের হওয়াকে সতীনারীর প্রতীক ভাবে। কিন্তু বিয়ের আগে সেক্স করা থেকে বিরত থাকা নারীকে সতীনারী বলে না। একজন নারী বিয়ের আগে সেক্স করা ছাড়াও এবং বিয়ের পরও তাঁর সতীত্ব হারাতে পারে। বিয়ের আগে সেক্স করা নারীকে কুমারীত্ব হারানো নারী বলা যেতে পারে কিন্তু বিয়ের আগে সেক্স না করা নারীকে পুরোপুরী সতীনারী বলা যাবে না। অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে বিয়ের আগে সেক্স করা নারীকে যদি অসতী নারী না বলা হয় তাহলে অসতী নারী কে আবার বিয়ের পর স্বামীর সাথে যৌনাচার করার পরও একজন নারী কিভাবে তাঁর সতীত্ব হারায়? তাদের এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, একজন নারী তাঁর যোনিপথের পর্দা ছিড়ে যাওয়ার ভয়ে সেক্স করল না কিন্তু তাঁর ছেলে বন্ধুদের সাথে বাকী যা কিছু করার তা সবই করল তা আপনি এই নারীকে কি সতীনারী বলবেন? অপর আরেক নারী বিয়ের পূর্বে সবই ভালো কিন্তু বিয়ের পর স্বামী অনুপস্থিতি ও অক্ষমতার কারণে যৌবনের তাড়নায় ভিন্ন পুরুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং যৌন কর্ম করে তাঁকে কি আপনি সতীনারী বলবেন? এর সঠিক উত্তর হচ্ছে এ দুই শ্রেণীর নারীই হচ্ছে দুশ্চরিত্রা আর দুশ্চিরিত্রা নারীকেই অসতী নারী বলা হয়। একজন সতীনারীর কাছে তাঁর স্বামীই সব। নিজের সব কিছু স্বামীর জন্য তাঁর দেহের অঙ্গ প্রতাঙ্গ হেফাযত করে রাখে এবং স্বামীর সম-মর্যাদা অন্য কাউকে দেয় না। সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজ একপক্ষের খারাপ বললেও অপর পক্ষকে ছেড়ে কথা বলে। আমাদের সমাজ শুধু নারীদের সতীত্ব খোঁজে কিন্তু পুরুষের টা খোজে না। যারা নারীদের সতীত্ব নষ্ট করতেছে তাদেরকে দোষারূপ করে না। আমার জানা মতে বাংলাদেশে ১ লক্ষের অধিক দেহ-পসারিণী আছে। একজন দেহ-পসারিণী যদি গড়ে প্রতিদিন ৫ জন পুরুষকে অর্থের বিনিময়ে দেহ ভোগের সুযোগ দেয় তাহলে প্রতিদিন ৫ লক্ষের বেশি পুরুষ শুধু অবৈধ পন্থায় যৌন কর্ম করছে। এখন তাদেরকে অসতী পুরুষ বলবে কে? কিন্তু ইসলাম এদুইটি দলকেই দুশ্চরিত্রা বলে এবং ভয়ংকর শাস্তি উপভোগ করার আইন দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের কথিত নারীবাদীরা আঙ্গুল অপরাধীদের উপরে তোলার বদলে ইসলামের উপরেই তুলে। কারণ ইসলাম পুরুষের মতো নারীকে চার বিয়ের অধিকার দেয়নি বলে। এইসব নারীবাদীরা শুধু পুরুষের চার বিয়ে দেখে কিন্তু চার বিয়ের শর্ত দেখে না এবং দেখে না এর মানদন্ডও। এরা বিজ্ঞানের কথা বলে কিন্তু বিজ্ঞানের বিপরীতে চলে। তাঁর প্রমাণ পুরুষের একাধিক বিয়ে নিয়ে তাদের আপত্তিকর কথা-বার্তা। এইসব কথিত নারীবাদীদেরকে বলি, আপনারা এমনেই তো কথায় কথায় ইসলামকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান ও চলেন, আপনারা এক কাজ করুন, নিজেরা চারটি করে বিয়ে করুন এবং চারটি স্বামীর সংসারের কাজ কর্ম করুন এবং তারই সাথে চারটি স্বামীর সাথে পাল্লা করে যৌন কর্ম করুন। চার স্বামীর সাথে যৌন সঙ্গম উপভোগ করে এর পর নারীদের চার বিয়ে করার অধিকার নিয়ে কথা বলুন। এমনেতেই তো ইসলামের বিধি-নিষেধ আপনারা মানেনা তাহলে এটিকে মানবেন কেনো?
আর পুরুষদের বলি, নিজে বিয়ে করার জন্য সতীনারী খুঁজেন। কিন্তু আপনি নিজে কতজন নারীর সতীত্ব নষ্ট করেছেন তাঁর হিসাব কি রেখেছেন? নিজেরা নারীদের সতীত্ব নষ্ট করবেন আবার নিজেই বিয়ে করার জন্য সতী নারী খুঁজবেন, আল্লাহ আপনাকে সতীনারী মিলি দেবেন ভাবেন কি করে? বাংলার একটি প্রবাদ আছে, উপরের দিকে থু থু নিক্ষেপ করলে সে থু থু নিজের মুখে এসেই পড়ে। প্রবাদ সত্য, কাজ করার আগে বুঝে করবেন।
ফেইসবুকে আমি।