প্রতিদিনই কোন না কোন শিশু নারী সহ কিশোরী যুবতি এমন কি গৃহবধূ ধর্ষিত হচ্ছে। আবার একশ্রেণী লুচুমার্কা পুরুষ ধর্ষকদের পক্ষে নিয়ে মেয়েদের পোশাকের দোষ চাপিয়ে দেয়। কি বিকৃতি মস্তিঙ্ক লোক রে মাইরি। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হবার জন্য তার পোশাক দ্বায়ি কিন্তু ধর্ষকের চোখ নয়। নারী ধর্ষিত হলে তার পোশাকের অপরাধ কিন্তু ধর্ষণ করার জন্য ধর্ষকের অপরাধ নয়। ৭১ সালে আমাদের মা বোনেরা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কোন পোশাক পরার বলে? ৭১ এর ধর্ষিত হওয়া নারীদের মধ্যে অধিকাংশই তো ছিল মুসলিম নারী। তখনকার মেয়েরা তো বর্তমান সময়ের অপেক্ষায় আরো বেশি পর্দাশীন ছিল। বর্তমান সময়েও পর্দাশীন মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। হ্যাঁ, সেটা অন্যদের তুলনায় নিতান্তই কম। কিন্তু হচ্ছে এটাকে আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে। যদি উপলব্ধি না করে ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে কুটযুক্তি পেশ করেন তাহলে আমাদেরকে বুঝতে হবে আপনি নিজেও একজন ধর্ষক। আপনি আপনার জাতি ভাইদের রক্ষা করার জন্য তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ইসলাম আপনাকে বলেনি যে একটি মেয়ে বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করলে তুমি তাকে ধর্ষণ করো। বরং ইসলাম পুরুষদেরকে আগে নির্দেশ নিয়েছেন এই বলে যে, “বিশ্বাসীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের যৌন অঙ্গকে সাবধানে সংযত রাখে; এটিই তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। ওরা যা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত।” সুরা নুর আয়াত ৩০
আল্লাহ পুরুষদের দৃষ্টি সংযত করতে বলেছেন এবং তার সাথে নিজের যৌন অঙ্গকে হেফাজত করার কথা বলেছেন সেখানে আবালের দলেরা নারী পোশাকের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। এই আবাল মার্কা জনতা দিয়ে আমরা কি করবো? ধর্ষকদের বলি, তোরা অনেক নিরহ নারী শিশুদেরকে ধর্ষণ করেছি, এবার তোদের শিশ্নিটা তোদের সমর্থিত ভাইদের উপর তাক কর। বাংলাদেশ জেল হাসিল না করতে পারলেও সমকামি হবার কারণে জাহান্নাম তো হাসিল করতে পারবি। কারণ আল্লাহ বলেছে, তোরা যা করছ, আল্লাহ সে সম্পর্ক অবহিত।