বাংলাদেশে কেএফসি নামে বস্তু খুলেছে। চতুর্থ রোজার দিনে যখন পেটে খিদাটা বেশিই লাগলো, ছৌট ভাই আর আমি ঠিক করলাম ইফতার টা কেএফসি তেই হোক।
গেলাম। বসলাম। বাহবা ... বাহবা । জম্পেশ যায়গা। মুরগী বাংলাদেশে কি পরিমান চলবে যে এক্কেরে তিন তলা রেস্টুরেন্ট। এক ঘন্টা আগে অডর্ার দিয়া বয়া ছিলাম আর নয়নাভিরাম মুরগী খানা উপভোগ করতে সিলাম।
ইফতারে খানা খাইতে গিয়া আক্কেল খানিকটা গুড়ুম হইলো। যেই মেনুটা আমি আর আমার ভাই চুজ করছি... দুই জনের পাতেই দুইটা কইরা ঠ্যাং আর সিনা। খাওয়া জব্বর। ভাজছে মচ মচা কইরা .. কিন্তু চিন্তা আইলো এই সময়।
আচ্ছা . . . দুই তালায় .. কমসে কম 120 টা সিট। এর 80 ভাগ যদি এই মেনু অডর্ার করে.. যেইটা লজিকালি সম্ভব .. দামের লাইগা .. সবার পাতে কেমনে কইরা দুইটা কইরা ঠ্যাং আর সিনা? বাকি মুরগী কই যায়? ক্যামনে কইরা সবাইরে ঠ্যাং দেয়?
আমার বেরসিক ছোট ভাই টা চিন্তাটা আমারে ধরাইয় দিয়াই একটা ঠ্যাং এ রাম কামড় মাইরা আরামে চিবাইতে লাগলো। এইদিকে আমার তো চিবানো গেছে থাইমা।
খাইছে .. হালারা ব্যাবসা করে কেমনে? তাইলে কি .. হালাগো মুরগী গুলা স্পেশাল ? একেক টাটে চাইরটা কইরা ঠ্যাং? আর দুইটা কইরা সিনা ? মাইনষের মন অনেক কিছুই চিন্তা করবার পারে। কিন্তু এইটা ভিজুয়ালাইজ করতে গিয়া.. গলা দিয়া আর মুরগী নামেনা।
ছটুরে কইতেই কইলো ... "হালারা বদমাশ" .. ( চিবাইতে চিবাইতে অবশ্যই ) "এই মুরগী টেকনোলজী ওপেন করে দেয়া উচিত.. কমসে কম চাইর ঠ্যাং আলা মুরগী তো মাইনসে শস্তায় কুরবানি দিতে পারবো ঈদে, নাকি? ..."
পেপসি খাইলাম... পেপসিই খাইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০