একটা বিষয় সবাই স্বীকার করবে নিশ্চয়, বড় ইভেন্টে, বিশেষত যেখানে নকআউট পর্ব থাকে, সেখানে বেস্ট টিম চাম্পিয়ন হয়না। আজকে সেই 'বেস্ট টিম' গুলোর কথাই বলব।
আমার দেখা প্রথম কোনও মেগা ফুটবল ইভেন্ট হল ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ। এর আগে ১৯৯৪তে ফুটবল ক্রেজ সেভাবে ঘিরে ধরেনি হয়ত।
১৯৯৮তে চাম্পিয়ন জিদানের ফ্রান্স, রানার আপ ব্রাজিল। কিন্তু যে দলটা মন কেড়েছে, তা হল প্রথমবার খেলতে এসেই বাজিমাত করা ক্রোয়েশিয়া। ক্রোট ডেভর সুকার সেবার গোল্ডেন বুটও পেয়েছিল।
২০০২ তে না চাম্পিয়ন ন্যাড়া রোনাল্ডোর ব্রাজিল, না কানের জার্মান; নিঃসন্দেহে মনমাতানো ফুটবল খেলেছে টার্কি। যে দলটার চাম্পিয়ন হবার কথা ছিল! দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রিভালদোর অস্কারজয়ী অভিনয়ের কারণে অন্যায়ভাবে সেমিফাইনাল থেকেই বাদ না পড়লে, এটা বলা যায়, ফাইনালে বালাক বিহীন জার্মান ধরাশায়ী হত নিশ্চিত। ঘটনাবহুল এই বিশ্বকাপেই পিত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছিল দক্ষিন কোরিয়া, প্রিয় তিনটা দলকে বিদায় করে।
২০০৪ ইউরোঃ সবচাইতে বাজে একটা আসর। শৈল্পিক ফুটবলের পরাজয় হয়েছিল কুৎসিত ফুটবলের ্কাছে। গ্রিসের ১০জন ডিফেন্ডারের আগলি স্ট্রাটেজি কাজ করেছে সব গুলো খেলায়ই। ফাইনালে শক্তিশালী পর্তুগাল উঠলেও সেরা দল পর্তু নয়, মুগ্ধ করেছিল সেবার চেক রিপাবলিকের খেলা। পাভেল নেদভেদের ভক্ত বনে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।
ফিফা ২০০৬ বিশ্বকাপঃ এই আসলে সত্যি বলতে কি কোনও দলই ঠিক সেভাবে মন ছুয়েঁ যেতে পারেনি। আর্জেন্টিনা, স্পেন শক্তিশালী দল ছিল, জার্মানরা ছিল অপ্রতিরোধ্য;
অথচ ফাইনাল খেলল কিনা ১০টা ভাদাইম্যা+১জন জিদানের ওয়ান ম্যান আর্মি আর নড়বড়ে ইতালি! আর চাম্প ইতালি, যারা কিনা দ্বিতীয় রাউন্ডেই টিম কাহিলের অস্ট্রেলিয়ার কাছে কাহিল হয়ে হারতে হারতে ভাগ্যের জোড়ে জিতে অন্তিম মুহুর্তের পেনাল্টির বদৌলতে!
ইউরো ২০০৮: স্পেন স্পেন স্পেন! আর কিচ্ছু না। জাভি ইনিয়েস্তা ভিয়া স্রেফ কামাল কিয়া।
ফিফা ২০১০: এই আসরটা শুধুই উরুগুয়ে আর ফোরলান ময়! খেলা শুরুর আগে উরুগুয়েকে কেউই হিসাবে নিতে চায়নি। চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি হয়ত, কিন্তু মন ছুঁয়ে যাওয়া ফুটবলের সৌন্দর্য্য উপহার দিয়েছে দর্শকদের।
ইউরো ২০১২: আবারও পুরনো সৈনিক ইনিয়েস্তা ময়। আসরের আর বাকি প্রতিটা দলই শক্তিতে স্পেনের হাঁটুর কাছে ছিলো। ফলাফল আবারও সেরা দলই চ্যাম্পিয়ন।