বিষণ্ণতায় ঢাকা আমার মনটা বড়ই বিদ্রোহী। তবে তা শুধু আজকালের ব্যাপার না, শৈশব থেকেই আমি এমন। প্রচলিত সিস্টেম ও নিয়মতান্ত্রিকতাকে সহজে মানতে পারিনা। আর যা মানতে পারিনা তাকে কখনোই সমর্থন দিইনা মন থেকে তা যত লোভনীয়ই হোক। দূরে সরে থাকি।
কিন্তু আমি এগুলো সব করি সম্পূর্ণ একা। খুবই অন্তর্মুখী আমি। মনের গহীন গভীরে যে কষ্ট, যে স্বপ্ন, যে বিশ্বাস ধারন করি তা কাউকে বলতে পারিনা। নিজের কথাগুলো ঘুচিয়ে বলতে পারিনা। কাউকে কিছু বলতে গিয়ে অধিকাংশ সময় অনাবশ্যক কথাগুলোই বলে আসি, মুল কথাটি বলা হয়না সহজে। নিজের কথা যেমন কাউকে ভালভাবে জানাতে, বোঝাতে পারিনা তেমনি অন্যের কথাগুলো ও ভালো করে বুজতে পারি না। এজন্য সবাই আমাকে ভুল বুঝে।
আত্মবিশ্বাসের মাত্রাটা একটা সময় নিজের মধ্যে কিছুটা তৈরি হয়েছিল এখন আবার তা হারিয়ে যাচ্ছে।
আসলে আমি এখন নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারিনা। নিজের মধ্যে তেমন কোন উদ্যম খুজে পাই না। একটু উদ্যম আসলেও তা ধরে রাখতে পারিনা।
সবসময় একটা ঘোর, ভাবালুতা এবং ফ্যান্টাসির মধ্য দিয়ে সময় কাটে। কঠিন বাস্তবতার মুখুমুখি দাড়াতে সাহস পাই না।
একটা খুবই উন্নত জীবনের তীব্র ইচ্ছা বুকে নিয়ে ছটফট করতে থাকি। স্বপ্নের মধ্যে কেটে যায় সারাবেলা কিন্তু স্বপ্নের ঘোর কাটে না। দিনগুলো জীবন থেকে একে একে চলে জেতে থাকে কিন্তু আমার কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। কখনও যদি কোন পদক্ষেপ নিয়েও থাকি তাও বেশিক্ষন স্থায়ী হয়না। জার ফলাফল হয় সময় শক্তি ও অর্থের অপচয়।
কি করব বুজতে পারছি না। কেউ একটু পরামর্শ দেবেন, প্লীজ।