somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি ব্লগ: তিন ভাষার তিন ছবি

১৮ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগে একটা গান শুনি। মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান
১.
হঠাৎ কেন মরণের কথা। এই বয়সে মৃত্যু ভাবনা সহজে আসার কতা না। ‌মরিবার সাধও হয় নাই। তারপরেও ভাবলাম বিয়য়টি নিয়ে। একটা ছবি দেখে। জাপানের ছবি, ডিপারচারস (Departures)। এবার ছবিটা সেরা বিদেশি ভাষার ছবি হিসেবে অস্কার পেয়েছে।

আজকালকার জাপানি ছবি দেখা হয় না। কুরোসিওর বেশ ছবি দেখেছিলাম। সেগুলো ঠিক কালের বিচারে এখনকার বা তখনকার ছবি বলা যায় না।
আবার ডিপারচারস একেবারেই ২০০৮ সালের ছবিও বলা যায় না। কারণ এটি তৈরি করতে নাকি ১০ বছর লেগেছে। মৃত্যু যাত্রা নিয়ে ছবি। দাইগোর চাকরি চলে যায় অর্কেষ্ট্রা কোম্পানি থেকে। সে ফিরে যায় গ্রামে। সাথে ভালবেসে বিয়ে করা বউ। তাঁর মা রেথে গেছে থাকার একটা জায়গা। বাবা মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল ৬ বছর বয়সে। দাইগো গ্রামে চাকরি পায় এক চিরবিদায় স্টোরে। (এইরকম কিছু)। জাপানে কেউ মারা গেলে, এবং আর্থিক সঙ্গতি থাকলে তাঁকে বিদায় দেওয়া হয় অনেক রীতি মেনে। মৃত মানুষটি সুন্দর করে সাজানো হয়, পরিস্কার করতে হয়, পড়াতে হয় বিশেষ পোশাক। দেখলে যেন মনে হয় আজকেই তাকে সবচেয়ে সুন্দর লাগছে। দাইগো সে কাজটি নেয়।
একটি দৃশ্য আছে, দাইগো আর বসের পৌঁছাতে দেরী হয়ে যায়। মৃতার স্বামী রাগারাগিও করেন। শেষ পর্যন্ত মৃতাকে যে যত্ন নিয়ে সাজানো হয় তাতে স্বামী ভদ্রলোক যখন ধন্যবাদ দিয়ে বলে এতো সুন্দর সে তাঁর স্ত্রীকে আর কখনো দেখেনি।
দাইগোর এই কাজ অবশ্য সবাই পছন্দ করেনি। বউও ছেড়ে চলে দাইগোকে। দাইগো কাজটি ছাড়ে না। কিন্তু দাইগো একসময় পড়ে যায় কঠিন এক পরিস্থিতিতে। যারা দেখবেন তাদের জন্য এই পর্যন্তই না হয় বলি।
ছবিটার অনেকগুলো দৃশ্য আছে ভাবাবে। বাবার সাথে সম্পর্ক, পাথরের টুকরা দেওয়ার মাধমে চিঠি দেওয়া, বাবার হাতে পাথরের সেই টুকরাটা আবিস্কার করা।
অফিসের মেয়েটি যখন বিক্রি করার জন্য সাজানো কফিনের সামনে বলে-আমরা সারাজীবন এতো কেনাকাটা করি, কিন্তু আমার শেষ কেনাকাটার সময় আমি নিজেই থাকবো না-তখন আমার চিরবিদায় স্টোরের কথা মনে পড়লো।

২. এটি ২০০৭ সালের ছবি। নামটাও অন্য রকম। 4 Months, 3 Weeks and 2 Days
সমালোচকদের তুমুল পছন্দের ছবি। রোমানিয়ার ছবি। এইটা আমার দেখা রোমানিয়ার সেরা ছবি। কারণ রোমানিয়ার এই একটা ছবিই আমি দেখেছি। /:)

১৯৮৭ সালের ঘটনা। চসেস্কুর শেষ সময়। গর্ভপাত নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে জেল নিশ্চিত। দুই বান্ধবি গ্যাব্রিয়েলা ও ওটিলিয়া। গ্যাব্রিয়েলা অনাকাঙ্খিত ভাবে গর্ভবতী। সে এখন গর্ভপাত করাবে। তাকে সাহায্য করে ওটিলিয়া। তারা একটা হোটেল রুম ভাড়া করে। নিয়ে আসে জনৈক বেবকে। ওটিরিয়া ৪ মাস, তিন সপ্তাহ ও ২ দিনের গর্ভবতী। পুরো ঘটনাই এই নিয়ে। বিষয়টি সহজ হয় না। নানা ঝামেলা যুক্ত হতে থাকে। ওটিলিয়াকে শুতে হয় বেবের সাথে। নানা মানসিক টানাপোরেন শুরু হয় দুইজনের মধ্যে। এই টানাপোরেন ওটিরলিয়ার ছেলে বন্ধুর সাথেও দেখা দেয়।
সবমিলিয়ে অন্যরকমক এক ছবি।

৩.
এই মেক্সিকোর ছবি। এইটা একটা বড়দের ছবি। কিন্তু তুমুল বিখ্যাত। নামটা হলো ওয়াই তু মামা তামবেইন (Y tu mamá también)। এটাও সমালোচকদের অনেক পছন্দের ছবি।

উঠতি বয়সের দুই ছেলের ছবি। তাদের বন্ধবী গেছে ইউরোপ সফরে। এই সুযোগে তারা সমুদ্রে বেড়াতে যায়, সাথে কাজিনের বউ, বয়সে বড়। বড়দের ছবি অর্থাৎ এই সফরে অনেক কিছুই ঘটে। অনেক অজানা তথ্য জানতে পারে তারা। উঠতি বয়সের ছেলে ও মেয়েদের এই যুগের জীবন ধারার অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়। এইটা বেশি মাত্রায় বড়দের ছবি। সুতরাং কে পাশে আছে বুঝে দেইখেন।
শেষটা একদমই অন্যরকম। উঠতি বয়সে করা অনেক কিছুই মনে পড়ে যায় ছবিটা দেখলে। :P

৪. অনেক বেশি হলিউডি ছবি দেখি। এবার এই ঘরানা থেকে বের হয়ে হলিউডের বাইরের তিন ভাষার তিনটি ছবি নিয়ে লিখলাম।
২৪টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×