মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী,আপনি কি দয়া করে ছবিটা একটু দেখবেন?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম দেখায় মনে হবে একজন মা তাঁর আদরের সন্তানকে পরম মমতায় ভাত বেড়ে খাওয়াচ্ছেন।কিন্তু পেছনের সত্যটা জানলে আপনার মনটা খানিকক্ষণের জন্য হলেও খারাপ হয়ে উঠবে।মোহাম্মদ আলি নামের ছবির এই শিশু আসলে একজন গলায় ক্যান্সার বহন করা রোগী।অভাগা এই শিশুর মায়ের নাম নুরজাহান ও বাবা পেশায় একজন দিনমজুর।ক্যান্সারের চিকিৎসা হিসেবে কেমোথেরাপি নিতে হবে তাকে।এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে চিকিৎসা করতে পাঠিয়েছে।তা ফুরিয়ে গেলে দিনমজুর বাবার পক্ষে আর আবার টাকা জোগাড় করে ছেলের চিকিত্সা সম্ভব হবে না।নুরজাহান সুদূর ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে ছেলেকে নিয়ে ঢাকা ক্যান্সার ইন্সটিটিউট হাসপাতালে এসেছেন।দেশে ১৬ কোটি মানুষ। কিন্তু এ হাসপাতালে চালু আছে মাত্র ১৫০টি সিট। অথচ রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি ও অন্যান্য সেবা নিতে প্রতিদিন ভর্তিযোগ্য ক্যান্সার রোগী আসছে অন্তত দেড় হাজার। ১৫০টির মধ্যে ৯০টি ভাড়ার সিট। ৬০টি ফ্রি।ভাড়ার সিটের দৈনিক ভাড়া ১৭২ টাকা।কিন্তু মোহাম্মদ আলির দরিদ্র বাবার পক্ষে এই অল্প টাকার যোগান দেওয়াও সম্ভব না।তাই বিনামূল্যের সিটের আশায় ক্যান্সারাক্রান্ত ছেলে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে ১৭ দিন ধরে হাসপাতালের বারান্দায় দিন কাটাচ্ছেন হতভাগ্য মা নূরজাহান। কেমোথেরাপির জন্য বিনামূল্যের একটি সিটের জন্য ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালের বহির্বিভাগে ছুটে আসেন তিনি। কিন্তু সিট পাননি। বাড়ি ফিরে যাওয়া এবং ভালুকা থেকে প্রতিদিন আসা সম্ভব নয় তার পক্ষে। আবার পরের দিন যে সিট পাবেন সে নিশ্চয়তাও নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালের বারান্দায় থাকেন মা-ছেলে। রান্না করে নিয়ে আসেন হাসপাতালের পাশে হিন্দুপাড়ার একটি বাড়ি থেকে। রাতের খাবার শেষে ঘুমানোর জন্য চলে যেতে হয় হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মসজিদের পাশের একটি টিনশেড ঘরের বারান্দায়। কারণ হাসপাতালের বারান্দায় রাতে ঘুমানো বারণ।
যতবার এই ছবিটা দেখেছি ততবার কেন জানি খুব খারাপ হয়ে উঠে।যে দেশে মানুষ ৪৩০ টাকা এক কাপ কফি খাওয়ার সামর্থ্য রাখেন, লাখ টাকার গয়না গায়ে চড়াতে পারেন,কোটি টাকার গাড়ি রাস্তায় হাঁকাতে পারেন,সেই একই দেশের একজন নাগরিক দিনপ্রতি ১৭২ টাকা দিয়ে সিট ভাড়া করে হাসপাতালে থাকতে পারেন না!এই লজ্জা রাখি কোথায়?
সংবাদ ঋণ ও কৃতজ্ঞতাঃ
দৈনিক আমাদের সময়
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬
হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?
জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।
জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮

ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।
মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি...
...বাকিটুকু পড়ুনআগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে...
...বাকিটুকু পড়ুন