somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পথিকরাজপুত্র
আমি মনোযোগী পাঠক। পড়তে ভালবাসি। পড়ে কোথাও কিছু একটা অসঙ্গতি আছে মনে হলে সেটা আলোচনা করি। ভাল লাগলেও আলোচনা করি, খারাপ লাগলেও আলোচনা করি। কেননা আমি বিশ্বাস করি, পাঠকই লেখক তৈরী করে।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় মাছ চাষ করুন, দেশের মানুষের আমিষের ঘাটতি পূরণ করুন....

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা ঢাকায় থাকেন চাকুরির জন্যে আর বাড়ি-ঘর সব ঢাকার বাইরে তাদের নিশ্চয়ই মাসে এক-দুবার ঢাকার বাইরে যেতে হয়। এবং তাদের নানারকম হ্যাপা সামলাতে হয়। হ্যাপা সামলানোর ব্যাপারটা স্বাভাবিক। আমি এখানে অস্বাভাবিকতার কিছু দেখিনা। আপনি ঢাকায় চাকুরি করেন ভাল কথা, বাড়ি-ঘর থাকলেই আপনাকে ঢাকার বাইরে বেরুতে হবে? এটাতো ঠিক না। আপনার বাড়ি-ঘরে যাওয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষ আপনার হাতে-পায়ে ধরছে? রিমাইন্ডার দিচ্ছে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে- বাড়ি যান, বাড়ি যান বলে? তাহলে, কেন খামাকা যানজট বাড়াতে ঢাকার বাইরে যাবার জন্যে লাফালাফি করে কর্তৃপক্ষকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন? দেশ ও সমাজের কাছে আপনি এই প্রশ্নের কি জবাব দেবেন?

উপরোক্ত বক্তব্য পাগল ছাড়া কেউ দেবে না সম্ভবত। তবে কি আমি পাগল? নারে ভাই, এখনো পাগল হই নাই তয় হমু যে কোন দিন।

আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। ঢাকায় থাকি কাজের জন্যে। বাড়ি যাই ছুটি-ছাটা পেলে। এখন সমস্যা হচ্ছে, আমাকে এবং আমার মত হাজারো সাধারণকে যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা দিয়ে ঢাকা থেকে বেরুতে হয়। এখন বলতে পারেন, আমাদের মানসিক সমস্যা আছে, মানে আমরা যারা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে ঢাকা থেকে না বেরিয়ে নিচের রাস্তা দিয়ে বের হই। এই মানসিক সমস্যাটির কারণ, আমাদের আয় রুজি কম। আমরা নন-এসি বাসে চড়ি। চড়তে হয় আসলে। যারা এসি বাসে চড়ে ঢাকা থেকে বের হন তারা জানেন না কি ভয়ঙ্কর নৃত্য কসরতে বাসগুলো ঢাকা থেকে বেরোয়। ঢাকার চারদিক এত উন্নত হচ্ছে অথচ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার কেন রুগ্ন দশা সেই প্রশ্ন আমার বহুদিনের। তবে বাসে চড়ে আসতে যেতে পাবলিক বলে- ভাঙা রাস্তা ইচ্ছে করেই সাড়ানো হয় না। কেননা যদি নিচের রাস্তা ফ্লাইওভারের মত মসৃণ ও ঝকঝকে হয় তবে ফ্লাইওভারের টোল কেউ দেবে না। মূলত টোল ব্যবসার সুবিধার্থেই নিচের রাস্তা সাড়ানো হয় না। তবে এসব কথায় পাত্তা দেবার কিছু নাই। পাবলিকতো আজাইরা কথা বলতেই পারে। এদের আর কাজ কি বলেন? এরা খায়, টয়লেট করে আর ঘুমায়। এদের দেশের উন্নতি বোঝারও ক্ষমতা নেই। এরা আজাইরা কথা বলেই খালাস।

ফলে, আমার একটি বিশেষ আইডিয়া আছে। যাতে কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে কেউ বিব্রত করতে না পারে। উপরন্তু আমার এই আইডিয়ার বাস্তবায়ন হলে, সবাই সুড়সুড় করে টোল দিয়ে ফ্লাইওভার ব্যবহার করবে খুশিমনেই। কেউ কেউ দেখা যাবে ফ্লাইওভারের পাশে দাঁড়িয়ে হেলে পড়ে নিচের টলটলে দৃশ্যের সাথে মিতালি করে সেলফিও তুলছে। আমার আইডিয়া হলো- নিচের রাস্তায় মাছ চাষ করা হোক। নিচের রাস্তায় যে পরিমাণ গর্ত রয়েছে তা মাছ চাষের জন্যে ব্যাপক উপযোগি। এখন যা করতে হবে, তা হল- বৃষ্টির পানি যেন কোন দিকে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা করা। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার চারপাশে বাঁধ দিতে হবে। ঢাকায় জলাবদ্ধতা খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। তো জল কে আবদ্ধ করার জন্যে আমাদের কর্তৃপক্ষকে খুব একটা বেগ হবে বলে মনে হয় না। জলাবদ্ধতা সমস্যাকে সুবিধায় পরিণত করে চারপাশে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করা উচিত। তবে বাঁধটা ভাল করেই দিতে হবে, কেননা কোটি কোটি টাকার মাছ চাষ করা হবে। এখন বাঁধ ভেঙে মাছ যদি বেরিয়ে যায় তাহলে আজাইরা পাবলিকরাতো রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মাছ ধরবে! মাছ আমিষের অভাব পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান ও রাখবে। আর উদ্বৃত্ত মাছ দেশের বাইরে রপ্তানি করে কিছু বাড়তি আয়ও করা যাবে। পাশাপাশি, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হয়ে যাবে। তাই, এই অধমের আইডিয়া, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা বন্ধ করে মাছ চাষ করুন। এতে করে মাছও পাবেন, টোল ওয়ালারাও টোল বেশি করে পাবে। সবচেয়ে বড় কথা, ভেনিস নগরীর আদলে ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এইরকম উদ্যোগ বিশাল অবদান রাখবে।

বিঃদ্রঃ মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী বা মাননীয় মেয়র (আমি জানি না রাস্তাটি নিয়ে কে মাছ চাষের উদ্যোগ নিতে পারেন।) যদি এই লেখাটি পড়েন তবে, তাদের অনুরোধ করবো, মাছ চাষের সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্যে আপনারা সাধারণ যাত্রী সেজে গোলাপবাগ-সাঈদাবাদের রাস্তা ধরে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের শেষ মাথা পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। আশা করি, আমারই মত আপনারাও একই সম্ভাবনায় আনন্দিত হয়ে উঠবেন। সবশেষে মাছ চাষের সাফল্য কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×