নিষ্ঠুর স্বামীর হুংকার, আঘাতের পর আঘাত
ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত বধূর দেহ!
পাশেই পরে হাত-পা নেড়ে কাঁদছে ভবিষ্যত
যে পায়না পাষাণ বাবার স্নেহ!
"ট্যাহা চাই, ট্যাহা। তর বাপরে কবি দিতে
ট্যাহা যদি না দেয়, রাখুম না তরে পিথিবীতে।"
"আর মাইরেন্না গো! পায়ে ধরি আপনের
বেবাকই তো দিছে, নাই কিছু আর দেওনের।"
"চুপ মাগী! কি দিছে তর বাপ আমারে?
বার মাইস্যা রুগী তুই, পইরা থাকস ডংগের বিমারে।
তর লাইগা অষুদ আনি, ট্যাহা কইনতে আহে?
ট্যাহা কি উমের মুরগি, আন্ডা পাইরা রাহে?
"ক্ষ্যামা দেন। আল্লা...গো! কসম আপনের পুলার
পাক গরে কুত্তায় চাটবো বাড়া চাইল কুলার।
ওরে মাগো! মইরা গেলাম! আল্লা বাঁচাও আমারে
তুমরা কইনে আছো গো? ধরো ইকটু উনারে।"
এভাবেই যাচ্ছে দিন, বছরের পর বছর
রাতে আদর আর দিনে প্রহার!
মায়ের সম্ভ্রমে অর্জিত সোনার বাংলাদেশে
এটুকুই আমার বোনের অধিকার!