অসীম সম্ভাবনা যাতে বিফলে না যায় সেজন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের ঝোলা নিয়ে হরেক রকম বুলি আউড়িয়ে শিক্ষার্থীদের হাজির হয়। পাশ্চাত্যের মত আমাদের দেশেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য অনেকেই এ ঋণ নিচ্ছেন। না নিয়ে উপায়ও নেই। একদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন স্বল্পতা অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার উচ্চমূল্য। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়তো আদু ভাই তৈরির কারখানা। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে মধ্যবিত্ত পরিবার ছেলেমেয়ের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে ঋণ নিচ্ছে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে। আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর কিছু দেখা না গেলেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিসংখ্যানে ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেশটির ২২ মিলিয়ন পরিবার শিক্ষা ঋণ নিয়েছে। তার মধ্যে ২৭ শতাংশ পরিবার শিক্ষা ঋণ শোধ করতে পারেনি। এ ২৭ শতাংশ ঋণ গ্রহীতার বয়স ৬০ পার হয়ে গেছে। কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেও সেই ছাত্র জীবনের ঋণের বোঝা এখনও নামেনি কাঁধ থেকে। ২০১৩ সালে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া এসব ঋণ গ্রহীতার ঋণের অংক দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলার। ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা ৭ লাখ ৬ হাজার।
(বিস্তারিত: অবসরের পরও শিক্ষা ঋণের বোঝা! )
আরেকটি ভয়ংকর তথ্য হলো অন্য ঋণের ক্ষেত্রে দেউলিয়া হয়ে গেলে মওকুফের সুবিধা পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু শিক্ষা ঋণের ক্ষেত্রে দেশটিতে মওকুফের কোনও সুযোগ নেই সরকারি কিংবা বেসরকারি ক্ষেত্রে।
অনেকে তাই অবসরে গিয়েও কিস্তি পরিশোধের জন্য কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে ভাবছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা এ ঋণ শোধ করতে পারবে না। ঋণের বোঝা নিয়েই মরতে হবে তাদের।
...... আমাদের দেশেও সাবধান হওয়া উচিত। না হলে ভবিষ্যতে এধরণের পরিস্থিতিতে আমাদেরও পড়তে হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯