বাবা-ও বাবা...
জি আম্মু।
যাও তোমার সাথে কথা বলবো না।
আরে আরে..আমি আবার কি করলাম।
তুমি আমাকে আম্মু বলবে না।
কেন?
আমার ভালো লাগে না।
তাহলে কি বলবো।
মা-আমাকে মা বলবে।
কারণ?
মা আমার ভালো লাগে।
ঠিক আছে ঠিক আছে, তাই হবে আম্মু।
বাবা-আবার।
আমি আসলে মা-ই বলতে চেয়েছি। কিন্তু আম্মু বেরিয়ে গেছে। হয়তো এটি নিয়ে আরও কিছু্ক্ষণ বাবা আর মেয়ের মাঝে নাটক চলতো। কিন্তু বাঁধ সাধলো অর্চির মা। তিনি রান্না ঘর থেকে বাবা-মেয়ের আলাপচারিতা শুনছিলো আর সম্ভবত জ্বলছিল। তার কথা সেটিই প্রমাণ করে। তিনি বললেন-
: হায়রে নাটক। আর পারি না।
আমরা বাবা আর মেয়ে একসাথে মুচকি হেসে উঠেই থেমে গেলাম। অর্চি তার পুতুলের জামা কাপড়গুলো ধুঁয়ে দিয়ে বারান্দার দড়িতে শুকাচ্ছিল। আমি কম্পিউটারে। সে আমাকে কিছু বলার জন্য বাবা বলে ডাকলে আমি উত্তরে আম্মু বলায় বিপত্তি ঘটে। আমি আর আম্মু না বলার শর্তে তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হই। তখন সে বললো
: বাবা আমার রিমঝিমের জন্য আরও কিছু জামা কাপড় লাগবে।
রিমঝিম অর্চির পুতুলের নাম। আমি বললাম-
: ঠিক আছে বানানো হবে।
: কবে? তাড়াতাড়ি বানাতে হবে। তুমিতো জানো ছোটরা নতুন কিছু পাবে জানলে আর অপো করতে চায় না।
: তুমিতো অপো করো! তুমি কিছু চাইলে আমি যখন বলি সমস্যা আছে-এখন দিতে পারবো না তখন তুমিতো বায়না না করে বলো-আচ্ছা বাবা ঠিক আছে। টাকা হলে দিও।
: পাগল...আমিতো তোমার মা। আমি তোমার সমস্যা বুঝবো নাতো কে বুঝবে। আমি আর রিমঝিম কি এক। ওকেতো আমি রঞ্জন কাকুর কাছ থেকে এনেছি। ওর দিকে খেয়াল না রাখলে আমাদের বদনাম হবে না!!
: ঠিক ঠিক। অতিথির সেবা করা উচিৎ। আমরা আজই রিমঝিমের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনবো।
আমার এই কথায় অর্চি-ইয়াহু বলে উল্লাস প্রকাশ করতেই আবারো সেই কষ্ঠস্বর ভেসে এলো রান্নাঘর থেকে-
: হায়রে নাটক। আরো কত যে দেখতে হবে।
এবার অর্চির মায়ের এই কথায় আমরা বাবা মেয়ে হেসে উঠলাম-উচ্চস্বরে। হাসতে হাসতে দুজন বেরিয়ে গেলাম রিমঝিমের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে।
মামবি# প্রজাপাড়া#পীরগঞ্জ-রংপুর।
০৬.০৭.১২# সন্ধ্যা ৭টা১৯।