somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজুস প্রেম। পর্ব-৩

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনার শুরু যেভাবে:

ডিজুস প্রেম। পর্ব-১
ডিজুস প্রেম। পর্ব-২

ওপাশ থেকে মেয়টা যখন তার নাম বলল, আমি পুরো বিস্মিত হয়ে পড়ি। বলে কি মেয়েটা, না কি সে শুধু মজা করছে আমার সঙ্গে।

- কি হলো, কথা বলেন না কেনো?
- কি বলব? আপনাকে সেই কখন থেকে নাম জিজ্ঞেস করছি, কিন্তু আপনি নিজের নামটা না বলে শুধু শুধু এটা ওটা বলে পার হয়ে যাচ্ছেন। যদি কথা বলতে ইচ্ছে না করে তাহলে সোজাসুজি বলে দিন, আমি আর কোনদিন আপনাকে বিরক্ত করব না।
- আরে কি আশ্চর্য! আমি বললাম না আমার নাম মুক্তা।

নাহ সে তো মনে হয় মজা করছে না, সত্যি সত্যি বলছে। তাহলে কি এটা একটা কাকতালীয় ঘটনা, নম্বর বানিয়ে ফোন করলাম আর তা রিসিভ করল মুক্তা নামেরই একটা মেয়ে! সত্যিই আমার বিস্ময়ের ঘোর তখনও কাটছিল না। আমি বার বার তাকে তার নামের ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করতে থাকি কিন্তু সে বার বারই একই কথা বলে।

- আমি একটা মেয়ে আমার নাম মুক্তা হওয়া ঠিক আছে, কিন্তু আপনি ছেলে, তাহলে কিভাবে আপনার নাম মুক্তা হয়। মুক্তা নাম কি কোনো ছেলের হয় ?
- হতে পারে, আমাদের এদিকে আরও ২/৩ জন ছেলে আছে যাদের নাম মুক্তা বা মুক্তার। আরে এটা আমার ডাক নাম, ভালো নাম .....................।
- ও, তা এত সুন্দর একটা ভালো নাম থাকতে মেয়েদের নাম দিয়ে পরিচয় দেন কেনো?
- কি করব বলেন, আসলে আমার বাবা-মা যখন আমার নামটা রাখে, তখন আমি খুবই ছোট ছিলাম তো তাই জানতাম না এটা ছেলেদের নাম না মেয়েদের। তাই কিছু বলতে পারিনি।
- খিল খিল করে হেসে ওঠে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে।
- কি হলো হাসছেন কেনো? আমি হাসার মতো কি এমন বললাম?
- না বললেন না আপনি ছোট ছিলেন বলে নামের মানে জানতেন না। আরে ভাই সবার নামই তো ছোট অবস্থাতেই রাখে তাই না।
- হুম তাই যদি হয়, তাহলে বার বার আপনি আমার নাম নিয়ে প্রশ্ন করে বিব্রত করছেন কেনো?
- ও আপনি বিব্রত হচ্ছেন বুঝি?
-নাহ্ আমার খুব ভালো লাগছে!

এভাবে কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা! না তার চোখে ঘুম, না আমার চোখে। যখন ফযরের আযান দিল মসজিদে।
- এবার ফোনটা রাখেন আমি ঘুমাতে যাবো আমার ক্লাস আছে সকালে।
- আমারও তো অফিস আছে সকাল ৯.০০টায়। তো অপরিচিত মেয়ে মুক্তা আপু আমি যদি এরপর আপনাকে ফোন করি তাহলে কি কথা বলা যাবে?
- কেনো? আমি বলেছি না আমি অপরিচিত কারো সঙ্গে কথা বলি না।
- না, এখন তো আমরা আর অপরিচিত রইলাম না, এখন আমরা দু'জন দু'জনের নাম জানি, কে কোথায় থাকি, কি করি সেসব জানি, তাহলে কি অপরিচিত থাকলাম বলেন?
-হুম আপনার কথা ঠিক আছে। দেখি চিন্তা-ভাবনা করে। এখন ফোন রাখেন, ঘুমাতে হবে।
- ওকে বাই বাই।

ফোন রেখে আমি ঘুমাতে যাই। এভাবে বেশ কিছুদিন এ কথা, ও কথা, এটা ওটা সেটা নিয়ে পার হয়ে গেলো কয়েকটি রাত। এখন আমরা দুজনে আর অপরিচিত নই এখন দুজন দুজনের ভালো বন্ধু। রাতের পাশাপাশি দিনেও মাঝে মাঝে কথা হতো আমাদের মাঝে। এভাবে গভীর হতে হতে অনেকটা আকর্ষণ তৈরি হলো দুজনের মাঝে। আর কখন যে এই আকর্ষণটা তৈরি হলো তা দু'জনের কেউই বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলাম হঠাৎ দু'দিন আমার ফোন বন্ধ থাকার পর একদিন ফোনটা চালু করার পর। ফোনটা চালু হয়ে যেইমাত্র নেটওয়ার্ক কানেক্ট হলো মুহুর্তেই ওপ্রান্ত থেকে মেয়েটার ফোনের কলিং টোন বেজে উঠল আমার মোবাইলে। রিসিভ না করে কেটে দিয়ে এ পাশ থেকে ফোন করি। ও রিসিভ করে কিন্তু আমি কোন কথা শুনতে পাই না। বার বার হ্যালো হ্যালো করেই যাচ্ছি আমি কিন্তু ওপাশে তবুও কোন সাড়া নেই। শুধু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ পাচ্ছি আমি।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×