লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট জোসে মুজিকা। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট তিনি।এই মানবতাবাদী রাষ্ট্রপ্রধান জীবনে যা আয় করেছেন আক্ষরিক অর্থে তার সবটাই তিনি দান করেছেন দেশের দুস্থ মানুষের কল্যাণের জন্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা যেখানে নিজের সম্পদ গোছানোয় ব্যস্ত, সেখানে মুজিকার সম্পদ বলতে আছে শুধু একটি গাড়ি। আমাদের দেশের একজন সাধারণ সংসদ সদস্যের যেখানে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি থাকে, সেখানে উরুগুয়ের এই প্রেসিডেন্ট চলাচল করেন ১৯৮৭ সালের ভিডবি্লউ বিটেল মডেলের গাড়িতে। এ ধরনের গাড়ি আজ থেকে ৩০ বছর আগে আমাদের দেশ থেকে উঠে গেছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বাড়তি খরচ হবে বলে প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত সরকারি বাড়ি বা গাড়ি, কোনোটাই ব্যবহার করেন না মুজিকা।
অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে চলাফেরা করেন না মুজিকা। আর দশজন সাধারণ নাগরিকের মতো রাস্তায় বের হন। ট্রাফিক সিগন্যাল পড়লে থেমে যান। অপেক্ষা করেন সবুজ বাতি জ্বলার।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জোসে মুজিকা প্রতি মাসে বেতন পান ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা (১২ হাজার ৫০০ ডলার)। সেখান থেকে মাত্র ১ লাখ টাকার মতো (১ হাজার ২৫০ ডলার) রেখে, বাকি টাকাটা দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেন তিনি। এ ব্যাপারে এক স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলে প্রশ্ন করা হলে মুজিকা বলেন, 'এই টাকায় বেশ ভালো আছি। আসলে আমাকে এর মধ্যেই ভালো থাকতে হয়। কারণ অসংখ্য উরুগুইয়ান আমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আমার আশপাশেই বাস করে।'
তথ্য সুত্্র ----সমকাল , আজ শনিবার (পাতা- ২৪)