somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যানজট: জীবন ও বাস্তবতা

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই তুলনায় রাস্তাঘাটের তেমন উন্নতি হচ্ছে না। আর এই উন্নতি না হওয়ার পেছনে মূল যে কারণগুলি আমাদের চোখে পড়ে তাহলো দুর্নীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি ও হরতাল অবরোধ। যার ফলে যানজট আমাদের নিত্য সঙ্গী। আর এই যানজটের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা শারীরিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শারীরিক ভোগান্তির পাশাপাশি অপচয় করছি মূল্যবান সময়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের কবলে পড়ে থাকার ফলে জ্বালানী অপচয় হচ্ছে। যার ফলে যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটের ফলে সর্বপরি পরিবেশ দুষণ হচ্ছে।
ফুটপাত তৈরি হয়েছে পথিকদের চলাচলের জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের ফুটপাতগুলো দখল করে নিচ্ছে হকাররা। এই ফুটপাতেই হকারদের চায়ের দোকান, হোটেল, ভ্রাম্যমান মোবাইল ফোনের দোকান, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান, বিভিন্ন ম্যাগাজিনের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, কবিরাজি ঔষুধের দোকান, ক্যানভাসারদের মজমা, রাস্তার দুপাশে বড় বড় কোম্পানির স্টিলের বিশেষ সাইনবোর্ড ইত্যাদি যখন ফুটপাত দখল করে নেয়, তখন মানুষ বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সব হকারদেরকে উচ্ছেদ করে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুটপাতকে পথিকের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে।
প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। অকালে ঝড়ে পড়ছে অনেক মানুষের জীবন। কোন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে লোকজন ভীড় করতে থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তি কমানোর জন্য দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িটি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
ফিটনেস বিহীন ছোট বড় হাজার হাজার গাড়ি রাজধানীর বুকে অবাধে চলছে, যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট কমানোর জন্য পুরানো ও ছোট আকারের গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। দুতলা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। যত্রতত্র কারপাকিং বন্ধ করতে হবে। মতিঝিল, ধানমন্ডী হকার্স মার্কেট, গাউসিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, দিলকুশা, নয়াপল্টন এইসব জায়গায় নিত্যদিন কারপাকিং করে রাখছে। এসব কারপাকিং দূর্বিসহ যানজটকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিটি করপোরেশন এ সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারে।
ওভার ব্রীজ তৈরি করা হয়েছে মানুষজন যাতে রাস্তায় এলোপাতাড়ি হাঁটাহাটি না করে। কিন্তু এখন এই ওভার ব্রীজও হকারদের নিয়ন্ত্রণে। ওভার ব্রিজের দুপাশে হকাররা বিভিন্ন দোকান বসিয়ে কেনা বেচা করছে। ভিক্ষুকদের যন্ত্রণায় অনেকে ওভার ব্রিজে উঠতে চায় না ফলে রাস্তা কসিং করে পার হতে হচ্ছে তাদেরকে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এইসব হকার ও ভিক্ষুকদেরকে ওভার ব্রীজ থেকে অন্য জায়গায় বসানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন যে দল বিরোধীদলে থাকে তখনই তারা রাস্তা অবরোধ করে মিছিল, মিটিং, পদযাত্রা, মানবপ্রাচীর, মানববন্ধন, রোর্ড মার্চ, লংমার্চ ইত্যাদি কর্মসূচীগুলো পালন করে। ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই জন্য রাজনৈতি দলগুলো বিকল্প কিছু ভাবলে হয়তো যানজট নিরসন সম্ভব হবে।
যানজটের এই করুণ বাস্তব অবস্থাকে আমরা অভ্যাসের দাশ হিসেবে মেনে নিচ্ছি। কারণ এছাড়াতো কোন উপায় নেই। এটা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানছি, এই ঢাকা শহরে জীবনটা অনেক কঠিন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আর কত দিন এভাবে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকব?
আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই তুলনায় রাস্তাঘাটের তেমন উন্নতি হচ্ছে না। আর এই উন্নতি না হওয়ার পেছনে মূল যে কারণগুলি আমাদের চোখে পড়ে তাহলো দুর্নীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি ও হরতাল অবরোধ। যার ফলে যানজট আমাদের নিত্য সঙ্গী। আর এই যানজটের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা শারীরিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শারীরিক ভোগান্তির পাশাপাশি অপচয় করছি মূল্যবান সময়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের কবলে পড়ে থাকার ফলে জ্বালানী অপচয় হচ্ছে। যার ফলে যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটের ফলে সর্বপরি পরিবেশ দুষণ হচ্ছে।
ফুটপাত তৈরি হয়েছে পথিকদের চলাচলের জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের ফুটপাতগুলো দখল করে নিচ্ছে হকাররা। এই ফুটপাতেই হকারদের চায়ের দোকান, হোটেল, ভ্রাম্যমান মোবাইল ফোনের দোকান, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান, বিভিন্ন ম্যাগাজিনের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, কবিরাজি ঔষুধের দোকান, ক্যানভাসারদের মজমা, রাস্তার দুপাশে বড় বড় কোম্পানির স্টিলের বিশেষ সাইনবোর্ড ইত্যাদি যখন ফুটপাত দখল করে নেয়, তখন মানুষ বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সব হকারদেরকে উচ্ছেদ করে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুটপাতকে পথিকের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে।
প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। অকালে ঝড়ে পড়ছে অনেক মানুষের জীবন। কোন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে লোকজন ভীড় করতে থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তি কমানোর জন্য দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িটি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
ফিটনেস বিহীন ছোট বড় হাজার হাজার গাড়ি রাজধানীর বুকে অবাধে চলছে, যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট কমানোর জন্য পুরানো ও ছোট আকারের গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। দুতলা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। যত্রতত্র কারপাকিং বন্ধ করতে হবে। মতিঝিল, ধানমন্ডী হকার্স মার্কেট, গাউসিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, দিলকুশা, নয়াপল্টন এইসব জায়গায় নিত্যদিন কারপাকিং করে রাখছে। এসব কারপাকিং দূর্বিসহ যানজটকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিটি করপোরেশন এ সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারে।
ওভার ব্রীজ তৈরি করা হয়েছে মানুষজন যাতে রাস্তায় এলোপাতাড়ি হাঁটাহাটি না করে। কিন্তু এখন এই ওভার ব্রীজও হকারদের নিয়ন্ত্রণে। ওভার ব্রিজের দুপাশে হকাররা বিভিন্ন দোকান বসিয়ে কেনা বেচা করছে। ভিক্ষুকদের যন্ত্রণায় অনেকে ওভার ব্রিজে উঠতে চায় না ফলে রাস্তা কসিং করে পার হতে হচ্ছে তাদেরকে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এইসব হকার ও ভিক্ষুকদেরকে ওভার ব্রীজ থেকে অন্য জায়গায় বসানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন যে দল বিরোধীদলে থাকে তখনই তারা রাস্তা অবরোধ করে মিছিল, মিটিং, পদযাত্রা, মানবপ্রাচীর, মানববন্ধন, রোর্ড মার্চ, লংমার্চ ইত্যাদি কর্মসূচীগুলো পালন করে। ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই জন্য রাজনৈতি দলগুলো বিকল্প কিছু ভাবলে হয়তো যানজট নিরসন সম্ভব হবে।
যানজটের এই করুণ বাস্তব অবস্থাকে আমরা অভ্যাসের দাশ হিসেবে মেনে নিচ্ছি। কারণ এছাড়াতো কোন উপায় নেই। এটা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানছি, এই ঢাকা শহরে জীবনটা অনেক কঠিন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আর কত দিন এভাবে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকব?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×