‘এমন একটি বই কখনো পড়েছেন, যার কোনো নামই নেই? কিংবা এমন একটি বই কি আপনি কিনেছেন, যার কোনো দামই নেই?’
আপনি নিশ্চয়ই আমাকে বোকা ঠাউরাবেন! বলবেন, ‘আরে মিয়া এমন কোনো বই হয় নাকি?’
আমি তখন আরেক কাঠি সরেস হয়ে বলব, ‘আচ্ছা, এমন বই পড়েছেন, যার কোনো নাম তো নেই-ই উপরি কোনো দামই নেই!’
ততক্ষণে আপনি হয়তো আমার মানসিক সুস্থতা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাবেন! মনে মনে ভাববেন, ‘আরে এ পাগল বলে কী?’
চিন্তার কিছু নেই। এখনি চিচিং ফাঁক বলে খুলে দিচ্ছি সকল রহস্যের দুয়ার। আর সেই রহস্য উন্মোচন করতে মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয় এর লেখা একটি বইয়ের গল্প জানতে হবে আপনাকে!
বইটার নাম? আরে বললাম না, বইটার কোনো নামই নেই! লেখকের রচিত পঞ্চম বই এটি। আত্মজৈবনিক এই বইটির প্রচ্ছদে সাদার উপরে ছোপ ছোপ হিজিবিজি অক্ষরের বাহার দেখলে খানিকটা ধোঁয়াশা লাগে মনে।
আত্মজৈবনিক বইগুলোতে সাধারণত লেখকের জীবন-দর্শন, চিন্তা ভাবনা ফুটে ওঠে! এই বইগুলোতে একটি গৎবাঁধা ফরমেট থাকে! কিভাবে উক্ত ব্যক্তি নানান প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে অবশেষে একটি আত্মজীবনী লেখার মতো যথেষ্ট সফলতা অর্জন করলেন!
হিমালয় সাহেব যে কিনা ব্লগে হিমালয় পাই কিংবা হাইফেন নামে খ্যাত, তার আত্মজীবনীটি ঠিক তার স্বভাবের মতোই বাকাত্যাড়া। লেখক একধরণের কল্পলোকের বাসিন্দা! তিনি নিজের কল্পনার জগতে থাকেন। সংখ্যা নিয়ে তার প্রচণ্ড অবসেশন কাজ করে। সেই সাথে ব্ল্যাক ম্যাজিক, কিংবা প্যারালাল জগতের মতো অদ্ভুতুড়ে বিষয়গুলোর উপরে তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই সমস্ত উপাদানে ঠাসা কল্পজগতের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে তার ৬১৯ পৃষ্ঠার বিশাল বপু বইতে।
বইতে লেখকের সঙ্গী হিসেবে এসেছে দুটি চরিত্র; যাদেরকে লেখক সংজ্ঞায়িত করেছেন সংখ্যা দিয়ে। প্রথম চরিত্রটি একজন প্রেমময়ী, অনুভূতিপ্রবণা নারী- তার নাম ৩১৭৯ আর দ্বিতীয় চরিত্রটি একটি একজন প্রজ্ঞাবান পুরুষ- তার নাম ১১৫৭। এই দুজনের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে লেখক জাগতিক রহস্যের নানান সূত্রকে ধরতে চেয়েছেন বইয়ের পাতায়!
বইটিতে রয়েছে মোট সাতটা অধ্যায়। প্রত্যেক অধ্যায়ের নাম এসেছে সংখ্যা থেকে। আকর্ষণীয় এই বইটির দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে উপন্যাস প্রকাশন থেকে। খুব শীঘ্রই! বইটির জন্য শুভকামনা!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯