প্রধান নির্বাচন কমিশনার ,রাষ্টপতি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তিন ক্ষমতাবান পদে যারাই বসে তারা সবসময় বির্তকিত আর উল্টা পাল্টা কথা আর কাজ করে আমজনতার হাসির খোরাক হয়।
নির্বাচন কমিশনার --সকালে এক কথা বিকেলে এক কথা।
রাষ্টপতি -নেত্রীর চামচামী করতে গিয়ে সম্প্রতি বলেছিলেন,আমার নেত্রী জীবনে কখনো কোনদিন কোন মিথ্যা কথা বলেননি।
স্বরাষ্টমন্ত্রী-কখনো সংসদে ঘুমায় আবার কখন বলে নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতায় প্রতিপক্ষের যারা মারা গেছে সবাই দলীয় কোন্দলে মারা গেছে।
গতকাল সকাল ১০টায় মুন্সীগনজ জেলার গজারিয়া থানার প্রত্যন্ত এলাকার রায়পাড়া গ্রামের সামছু পাগলার বাড়িতে হাজির হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৭মিনিট সামছু পাগলার সাথে একান্তে কথা বলে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উওর না দিয়ে চলে আসেন সাহারা খাতুন।নিয়মিত ক্লিনসেভ করা সামছু পাগলা যে একজন বড়সড় পীর এলাকাসীর কাছেও তেমন একটা জানা ছিলনা।সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উওর না দিলেও সামছু পাগলা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সাহারা খাতুন শামছু পাগলার কাছে দোয়া নিতে গিয়েছেন।মারহাবা মারহাবা জয় সামছু বাবা!!!!
ধর্মীয় ভন্ডামীর মুখোশ পরিহিত পীরবাবাদের কাছে যখন রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দোয়া চাইতে যায় তখন প্রশ্ন এসে যায় ধর্মীয় গোড়ামীর বিরুদ্ধে সোচ্ছার আওয়ামী লীগের সত্যিকারের অবস্থান কি?ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা পীররা যদি দোয়া করে রাষ্ট্রের সব সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে তাহলে শিক্ষিত মানুষদের রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে প্রয়োজন কি?সারাদেশের সকল মাজার ব্যবসায়ী আর পীরদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলো দেওয়া হউক।সবার আগে ট্রায়াল ভার্সন হিসেবে সামছু পাগলাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসানো হউক।সামছু পাগলা যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসে সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,দূর্নীতিবাজদের দোয়া দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরনে সফল হতে পারে তাহলে ট্রায়াল ভার্সনের পরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন পদগুলোতে পীরবাবাদের বসানো হউক।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯