রক্তের মধ্যেও যে কত রক্ত মিশে আছে, সেটা কিভাবে আলাদা করা যাবে! একইরকমভাবে, একটি আত্মার সাথে আরও কত আত্মার যে সংমিশ্রণ হয়ে আছে, তা কতটুকুই বা খেয়াল করা হয়!
এই কথাগুলো সুন্দর এবং সত্যি হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কারণ কথার পিঠে কথা থাকে, যুক্তির ভেতরে যুক্তি... তবুও কিছু কথা কেন যেন সবসময় থেকে-ই যায়।
একজনের কাছে শিউলি ফুল ভালো লাগতে পারে। তাই বলে অন্য সবার শিউলি ফুল ভালো লাগতে হবে, এটা কোন কথা নয়। তবে, গোলাপ ফুলকে গড়পড়তা সবার কাছেই ভালো লাগে। এরকমটা তাহলে কেন হয়?
হুমম, যে কোন কিছুই পরিমাপের জন্যে একটা আদর্শ থাকা চাই। উদাহরণস্বরূপ, কোন কিছুর ওজন মাপার জন্যে আমরা ‘কে.জি.’ ব্যাবহার করি (সি.জি.এস. পদ্ধতিতে)। সাধারণত, একক পরিমাপ দিয়ে শুরু করলে ১ কে.জি. দিয়ে পরিমাপ শুরু করতে হয় (একক ভেদে ভিন্ন হয়)। এখন, ১ কে.জি. ওজন যতটুকু অভিকর্ষ টানের জন্যে নির্ধারণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র হিসাবের সুবিধার্থে সেটাকে আদর্শ একটা পরিমাপ ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন একটা উঠতে পারে যে, কেন ঐ ওজনটাকেই আদর্শ ধরা হল? আরও বেশী কিংবা কম নয় কেন? এই প্রশ্নটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটা নির্ভর করবে উত্তরকারীর উপর? উত্তরকারী চাইলে প্রশ্নটির আক্ষরিক উত্তর দিতে পারবেন, আবার চাইলে গোটা প্রশ্নটাকেই অযৌক্তিক এবং ভুল প্রমাণ করতে পারবেন। উত্তরকারীর বিপরীতে আবার প্রশ্নকারীটি যৌক্তিক বা অযৌক্তিক যে কোন উপায়ে তর্ক চালিয়ে যেতে পারে।
এখন, “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর”- যদি মেনে ই নিই, তাহলে মনের অব্যক্ত কথাগুলো/প্রশ্নগুলো করা হল না, নতুন করে কিছু ভাবা হল না, নতুন কিছু শেখা হল না, নতুন ভাবনাটা বুঝে উঠা হল না। তারপরেও, তর্ক হউক বা না হউক, কিছু কথা রয়েই যায়...
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১