খুব আজব একটা ব্যাপার- আমরা মনে করি যে, আমরা আমাদের কাছের মানুষদেরকে খুব ভালো ভাবে চিনি এবং জানি (কাছের মানুষ শব্দটা আপেক্ষিক)। এখানে আজবের কি আছে! এটাতো নিতান্তই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার, তাই না?
-
জ্বী না। সকল স্বাভাবিক ব্যাপারগুলোর পেছনেই অস্বাভাবিক ব্যাপারগুলো লুকিয়ে থাকে। নিজেরটা তো বাদই দিলাম, পরের ব্যাপারেও- আমরা কেউই কাউকে চিনি না, বুঝি না, জানি না। চেনা কিংবা জানার ব্যাপারটা থাকে অবশ্যই, তবে তা বাহ্যিক। কিন্তু আমাদের অন্তরটা চেনা বা বুঝা হয়ত সবারই সাধ্যের বাইরে। সত্যিই তো তাই।
-
একই ছাদের নিচে থাকি, একই বিছানায় ঘুমাই, একই পাতিলে রান্না করা খাবার খাই, একই সাথে পড়ি, পছন্দ-অপছন্দের সব ব্যাপার বুঝি-জানি, কিন্তু তারপরেও অশান্তি যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। এই পক্ষ ভালো তো ঐ পক্ষ খারাপ, ঐ পক্ষ ভালো তো এই পক্ষ খারাপ। দোষারোপ কারো না কারো ঘাড়ে যাবেই।
আচ্ছা, এই জন্যই কি আমরা কোন বন্ধনে আবদ্ধ হই?
-
তোমাকে নিয়ে বহু স্বপ্ন দেখেছি... বহু আশা ছিল মনে... অনেক কিছুই ভেবে রেখেছিলাম একসাথে করবো বলে... স্বপ্ন-আশা-প্রত্যাশা-আবেগ থাকে সবারই মধ্যে... পরবর্তীতে পরিস্থিতি এরকম হয় যে কোন কিছুই আর থাকে না, থাকে না সেই মানুষটি তার আগের রূপে, আগের রঙে, আগের ঢঙে; নষ্ট হয়ে যায় তার স্পন্দন, বিলীন হয়ে যায় তার উদ্ভাসিত উচ্ছাস, গুঁটিয়ে পরে তার থলথলে হাসি-উল্লাশ। মৃত্যুর পূর্বে আরও কত মৃত্যু যে ঘটানো হয়! বারবার তাকে হত্যা করা হয়। তার অপরাধ হচ্ছে- সে ভালো চায়, ভালো কিছু করে, ভালো কথা বলে, নিজের সাথে সাথে বাঁচাতে চায় অন্যকেও সেই বিচার ঘণ্টার বেজে উঠার আগে। বাস্তবিকপক্ষে কাজগুলো হয়তবা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে অন্যের মঙ্গলের সাথেই সম্পৃক্ত থাকে, কোন অমঙ্গল নয়। আর অন্যকে ভালো কথা বলতে গিয়ে, ভালো রাখতে গিয়েই তাকে সহ্য করতে হয় অনেক গঞ্জনা এবং বঞ্চনা। হ্যাঁ, সত্যিই তাই। কারণ, ভালোটা সবসময়ই তেঁতোর আবেশে সুপ্ত থাকা গুপ্তধন, মন্দের মত মিথ্যা মিষ্টির বেষ্টনে প্রতারণাময় মরীচিকা নয়...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮