আজকাল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস অ্যাসাইনমেন্টের ওপর প্রায়ই প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা কর্ম এবং প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন জিনিস কিভাবে যথাযথভাবে পরিচালনা করবে তার একটি প্রায়োগিক দিকনির্দেশনা লাভ করে। কারণ প্রেজেন্টেশনের বেশ কিছু উপকারী দিক রয়েছে। যেমন কোনো প্রেজেন্টেশনে শ্রোতা এবং বক্তার মধ্যে পারস্পরিক একটি যোগাযোগ তৈরি হয়। তবে যোগাযোগটা যাতে যথাযথ এবং ফলপ্রসূ হয় সেজন্য কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। ধরুন, আপনি ম্যানেজমেন্টের একজন শিক্ষার্থী। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি একটি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করেছেন। আপনার শিক্ষক এবং সহশিক্ষার্থীদের সামনে এর ওপর প্রেজেন্টেশন দিতে যাচ্ছেন। প্রেজেন্টেশনের মধ্য দিয়ে আপনাকে বোঝাতে হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট কোর্স করার গুরুত্ব কতটুকু। প্রেজেন্টেশন শুরুর কিছু সময় পর যদি টের পান যে শ্রোতারা আপনার প্রেজেন্টেশনে সন্তুষ্ট, তা হলে আপনি স্বাচ্ছন্দ্রে উপস্থাপনার পরের অংশে চলে যেতে পারেন। কিন্তু যদি উল্টোটা হয় বুঝতে পারছেন, সেক্ষেত্রে আপনি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে উপস্থাপনায় কিভাবে আরও উদ্দীপনা সৃষ্টি ও দর্শকদের মনোযোগ টানা যায় সেদিকে নজর দিন। যাতে দর্শকদের মনে আপনার বক্তব্যটি দাগ কাটে। তখন তারাও আপনার উপস্থাপিত বিষয়টি শুনতে আগ্রহবোধ করবেন। সেজন্য শ্রোতাদের বিষয়টি ভালোভাবে বোঝানের স্বার্থে উপস্থাপিত বিষয়ের সঙ্গে আলাদা স্লাইডে সংশ্লিষ্ট ছবি, গ্রাফ ইত্যাদি যোগ করে দিতে পারেন। যদি মনে হয় যে শ্রোতাদের কাছ থেকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন না তখন প্রথমে কিছুক্ষণ বলার পর শ্রোতাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন, তাদের কোনো প্রশ্ন আছে কি না। যদি থাকে সেই অনুযায়ী আলোচনা করতে পারেন। তারপর আবার মূল বক্তব্যে ফিরে যেতে পারেন। প্রেজেন্টেশনের সময় একটি জিনিস ভালোভাবে মনে রাখতে হবে, বিষয়টি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকার পাশাপাশি তা কিভাবে উপস্থাপন করছেন তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে কণ্ঠস্বর, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, আত্দবিশ্বাস, বলার ভাষা, আই কন্টাক্ট, রসবোধ এবং বক্তব্যের দৈর্ঘ্যও অ্যাসাইনমেন্টের উপস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি সম্ভব হয় তাহলে শুরুতেই শ্রোতাদের বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটা আভাস দিতে পারেন। সর্বোপরি আগেভাগেই বিষয়সংশ্লিষ্ট সুন্দর একটি ভূমিকা, গুরুত্বপূর্ণ নোট এবং কিভাবে উপস্থাপন করবেন তার একটি পরিকল্পনা করে নিন।
খুরশীদা রহমান চৈতী
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।