somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষ হিসেবে তিনিই ভালো যিনি তার পরিবারে ভালো

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৯৯৫ সালে একটি সার্ভে হয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষের দেশ কোনটি। সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে যে দেশটি প্রথম হয়েছিলো- তার নাম বাংলাদেশ। দারিদ্র পীড়িত একটি দেশ কীভাবে সুখী মানুষের দেশ হয়- এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল এর অন্যতম কারণ ছিলো প্রগাঢ় পারিবারিক বন্ধন। আসলে একটি গাছ যত বড়ই হোক না কেন শেকড়ের সাথে সংযোগ না থাকলে সে বাড়তে পারবে না। মানুষের ক্ষেত্রেও তদ্রুপ। জীবনের শুরু হয়েছে পরিবারে, আপনি বেড়ে উঠেছেন পরিবারে, বিপদে-আপদে সংকটে মোকাবেলায় কাছে টেনেছে পরিবার। সবাই আপনাকে তাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু আপনার পরিবার কখনও দূরে ঠেলে দেয় না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই পরিবারকে আমরা সবচেয়ে অবহেলা করি। কারণ মনে করি এই সম্পর্ক হচ্ছে গ্রানটেড। কখনও এই সম্পর্ক নষ্ট হবে না। আসলে মানুষ হিসেবে কতটা ভালো এটা প্রথম টের পাবে আপনার পরিবার। নবীজীর একটি হাদীস আছে, তারাই উত্তম যারা তাদের পরিবারের কাছে ভালো; যেমন আমি আমার পরিবারের কাছে ভালো। বাইরে আপনার মুখোশ ঢেকে রাখতে পারলেও পরিবারে আপনি আপনার মুখোশ ঢেকে রাখতে পারবেন। কারণ এখানের ক্যামেরায় আপনার সমস্ত ছবি স্ক্যান হয়ে যায়।
পরিবারে নির্ভরযোগ্য মানুষ হবার জন্যে করণীয় :

১. পরিবারকে কোয়ালিটি সময় দিন :
প্রতিদিন একই মুখগুলো দেখি বলে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলি, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি না। অনেকে সারাদিনের ক্লান্তি, অবসাদ এবং বিরক্তি নিয়ে ঘরে ফেরেন। বাসায় যেয়ে কারো সাথে কোনো কুশল বিনিময় নাই, আলাপচারিতা নাই দরজা বন্ধ করে যিনি যার রুমে সময় কাটান। এই মনোযোগ না দেয়া, না শেয়ার করা থেকেই দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সম্পর্ক গভীর হয়, বন্ধন দৃঢ় হয় মনোযোগের কারণে। বাসায় থাকা আর পরিবারকে সময় দেয়া এক কথা নয়, টিভির পেছনে সময় নষ্ট না করে পরস্পরের সাথে কথা বলুন, ভাবের আদান-প্রদান করুন। হাস্যরসের পরিবেশ বজায় রাখুন। আপনজনের পরিমণ্ডলে একজন মানুষ যে আনন্দ পেতে পারে, টেলিভিশনে সেটা কীভাবে পাবে? টেলিভিশনতো একতরফা। সেখানে আপনি কথা শুনছেন, কিন্তু কথা বলতে পারছেন না। আপনার কোনো ভূমিকা নাই। টেলিভিশন দেখা যদি বিনোদন হতো তাহলে যারা রাত জেগে টিভি দেখে তারা সকালে ফ্রেশ থাকতে পারতো।
পরিবারের মধ্যে কথাবার্তাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার হচ্ছে সবচেয়ে ভাল বন্ধু। আপনি যদি আপনার ছেলে-মেয়ের বন্ধু না হন, আপনার সাথে যদি আপনার মায়ের বন্ধুত্ব না হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনাদের মধ্যে বিরোধ আছে, আপনাদের মধ্যে ঝামেলা, অশান্তি আছে। বাইরের যে বন্ধুদের কথা বলি তার শতকরা ৯৯ ভাগই কুবন্ধু। যে কাজগুলো তারা পরিবারে করতে পারে না সেগুলোই বাইরে বন্ধুদের নিয়ে করে। অর্থাৎ পরিবারের সদস্যরাই আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হওয়া উচিত।

২. সমমর্মী হোন :
আমরা বাইরে যত প্রো-একটিভ থাকি পারিবারিক জীবনে প্রো-একটিভ থাকা প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। অথচ পরিবারে আমরা সহজেই রি-একটিভ হই। আমাকে সবাই বুঝলো না, এই ভেবে অভিমান করি, কষ্ট পাই। আসলে কলহ আরো কলহকে ডেকে আনে। এটা কোনো সমাধান দেয় না। কখনও ভাবি না আমি তাদেরকে কতটা বোঝাতে পেরেছি। হয়তো বা যেভাবে বললে তারা বুঝতে পারতো সেই ভাষায় আপনি তাদেরকে বোঝাতে পারেন নি। দায়িত্ব নিজের দিকে নিন। অপরপক্ষের পছন্দ-অপছন্দ, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করুন। মনোযোগী শ্রোতা হোন। কেউ কোনো অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক যুক্তি খন্ডাতে যাবেন না। একটু সময় দিন। তাকে হালকা হতে দিন। ভেবে দেখুন তার কষ্টের কথা বলার মতো সবাইকে কাছে পায় নি, শুধু আপনাকে পেয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে হাসি বিনিময় করুন। কাকে কখন কোনভাবে বললে আপনি তাকে প্রভাবিত করতে পারবেন এ চিন্তা মাথায় রাখুন। সমমর্মী হোন। একবার হজরত আয়েশা (রা.) তার সঙ্গীদের সাথে নিয়ে খেলছিলেন। ইতিমধ্যে রসুল (স) ঘরে ঢুকে পড়েছেন, তাই দেখে সঙ্গীর দৌড়ে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রইলো। নবীজী তাদের সবাইকে খুঁজে একত্রিত করে আবার খেলতে বললেন।

৩. শ্রদ্ধাপূর্ণবাক্য ব্যবহার করুন :
বাইরে আমরা যতটা ফরমাল ঘরে আমরা ততটাই ইনফরমাল। পারিবারিক জীবনে সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় ঘরে আমরা শ্রদ্ধাপূর্ণ বাক্য ব্যবহার করি না। তাচ্ছিল্য শব্দার্থবোধক অনেক শব্দ ব্যবহার করি। যা আসলে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুন্দর কথা বা বাক্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে। একই ছাদের নিচে থাকলেও যে কাছের মানুষ হবে তা নয় বরং যত ভাবের আদান প্রদান সাবলীল ও মমতাপূর্ণ হয় সেখানে সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি পায়। আমরা পরিবারের সদস্যদের কাছ থকে দূরে সরে যাবার অন্যতম কারণ সুন্দর ও শ্রদ্ধাপূর্ণ বাক্য ব্যবহার না করা।

৪. মা-বাবার দোয়াকে গুরুত্ব দিন :
একটি মানব শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে সে থাকে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায়। এই অসহায় শিশু যাদের নিরন্তর শ্রমে ও ঘামে বেড়ে ওঠে তারা হচ্ছেন মা-বাবা। আসলে তাদের ত্যাগের প্রতিদান কখনই দেয়া সম্ভব নয়, শুধু অনুভব করা সম্ভব। সন্তান অনুভব করতে পারে তাদের লালন পালনে মা-বাবার কত ত্যাগ, কত ভূমিকা এবং কত শ্রম ছিলো, তাহলে সেই সন্তান আলোকিত মানুষ হবার পথে সবসময় এক ধাপ এগিয়ে যাবে। উদাহরণ: হযরত বায়েজিদ বোস্তামী। তিনি মায়ের জন্যে বসে ছিলেন যে কখন মায়ের ঘুম ভাঙবে এবং আমি তাকে পানির পাত্র দেব? মা তো পানি, পানি বলে ঘুমিয়েই পড়েছেন, মায়ের কাজ শেষ, ছেলের কাজ কিন্তু শেষ হয় নি। সেই রাতের বেলা দুর্গম ঝর্না থেকে পানি নিয়ে এসে ছেলে বসে আছে মায়ের তৃষ্ণা মেটাবে বলে। মা ঘুম ভেঙে দেখেন ছেলে শিয়রে দাঁড়িয়ে আছেন। তখন মা যে অন্তর থেকে ছেলের জন্যে দোয়া করেছিলেন সেই দোয়াই পরবর্তী জীবনে তাকে হযরত বায়েজীদ বোস্তামীতে রূপান্তরিত করেছিলো।

৫. গৃহকর্মীর প্রতি সদয় হোন :
ঘরের গৃহকর্মীও যে পরিবারের একজন সদস্য তা আমরা ভুলে যাই। গৃহকর্মীকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেবেন না। তার সাথে দুব্যর্বহার, বকাঝকা থেকে বিরত থাকুন। বলছি, তাকে বকছি কী সাধে; সারাদিনে সে কতবার ভুল করে। আসলে তিনি যদি তার মেধাকে ব্যবহার করতো তাহলে সে তো আর অন্যের বাড়িতে কাজ করতো না। নিশ্চয়ই কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। একবার নবীজীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, গৃহকর্মীকে কতবার ক্ষমা করবো, নবীজী বলেছিলেন, দিনে সত্তর বার। আসলে একজন গৃহকর্মী দিনে ৭০ বার ভুল করার সুযোগই পায় না। তার আগেই আরেক দিন শুরু হয়।

৬. ঘরে নিজের কাজ নিজে করুন :
বাইরে আমরা যতটা ভালো মানুষ পরিবারে আমরা আসলে ভালো হতে পারি না। এর কারণ হচ্ছে যে কাজগুলো নিজে করতে পারি তা নিজে না করে অন্যের ওপর নির্ভর করি। ছোট খাট যে কাজগুলো আপনার পক্ষে করা সম্ভব তা নিজেই করুন। শিক্ষার্থী হলে নিজের বই-খাতা ও কাপড় চোপড় নিজেই গুছিয়ে রাখুন। পরিবারে যে কাজটি কেউ করতে চায় না সে কাজটি আগবাড়িয়ে নিজে করুন। হাজবেন্ড হলে ঘরের টুকিটাকি কাজে স্ত্রীকে সহায়তা করুন। আসলে সফল মানুষেরা সবসময় নিজের কাজ নিজে করেছেন, কখনও অন্যের মুখাপেক্ষী হন নি। আসলে বিখ্যাত ব্যক্তিগণ সবসময় নিজের কাজ নিজে করতেন। নবীজী সবসময় নিজের কাজ নিজে করেছেন। এমনকি ঘরের কাজে অন্যকে সহযোগিতা করতেন। আমেরিকার সিভিল ওয়ারের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোয়াইট হাউজে গিয়ে প্রেসিডেন্ট লিংকনকে জুতো পালিশ করতে দেখে খুব অবাক হলেন। বললেন, আমাদের দেশে স্যার কোনো ভদ্রলোক জুতো পালিশ করেন না। লিংকন পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন, তাহলে কার জুতো পালিশ করেন তারা।

৭. কী পেতে পারি নয় বরং কী দিতে পারি- :
এ চিন্তা সবসময় পারিবারিক সাফল্য ও প্রশান্তিকে আকর্ষণ করে। অন্যের কাছে চাওয়ার আগে নিজেকে দিতে হবে। পাশ্চাত্য দিতে জানে না। এজন্যেই সেখানে এত অশান্তি, এত পরিবার ভাঙন। যখন আপনি দেবেন তখন আপনার পাওয়ার মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকবে। আপনি যদি শুধু পেতে চান, না দেন অর্থাৎ ভারসাম্যহীন অবস্থা। আর ভারসাম্যহীন সম্পর্ক কখনো টিকে থাকতে পারে না। যত বেশি আপনি দিতে শিখবেন ততো আপনার ওপর পরিবারের সদস্যদের নির্ভরতা বাড়বে এবং আপনি হবেন সকলের মধ্যমনি। দিতে পারার জন্যে বয়সও কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। এই দেয়া হতে পারে একটু হাসি, একটু ভালো আচরণ, একটু সমমর্মিতা। পরিবারের সদস্যদের কখনও বোঝা মনে করবেন না। বরং পারিবারিক প্রতিটি কাজকে ইবাদত মনে করুন।

৮. সহজ সত্যকে চিহ্নিত করুন :
একই ছাদের নিচে বসবাস করতে গেলে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। কিন্তু নেতিবাচক আবেগে মন তিক্ত হবার আগেই সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে হবে। পরিবারে ভুল বোঝাবুঝি বা মতানৈক্য হতেই পারে কিন্তু তা দূর না করে আমরা দেয়াল তুলে দিই। আসলে যে বন্ধনকে ছিন্ন করা যাবে না তার মাঝে দেয়াল নয় বরং সেতু বন্ধন করুন। আর প্রত্যেকটা মানুষের একটা নরম জায়গা রয়েছে সেই জায়গা খুঁজে বের করুন এবং সেখানে সেতু বন্ধন করুন। পারিবারিক জীবনে সমস্যার ক্ষেত্রে আমাদের দেখতে হবে, সহজ সত্যটি কী? অর্থাৎ যেটিকে আপনি ফেনাচ্ছেন, তার মূল ঘটনাটি কী? পারিবারিক জীবনে আমরা যে ভুল করি, তাহলো অনেক রকম ধারণার ওপর ভিত্তি করে কথা বলি। অন্য পক্ষকে কথা বলতে না দিয়ে হয়তো বলতো থাকি, তুমি নিশ্চয়ই এটা ভেবে এভাবে বলেছ। কাজেই এভাবে না বলে সহজ সত্যটা শনাক্ত করতে হবে। আর এই প্রক্রিয়ায় গেলে দেখা যাবে যে দৈনন্দিন জীবনে পারিবারিক সমস্যা ৯০ ভাগ এমনিতেই চলে গেছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক জীবনে ভুল বোঝাবুঝি হয়, আমরা আসলে সহজ সত্য কে যাচাই না করেই মন্তব্য করে ফেলি। কোন ঘটনা বা কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেছিলেন সেটা আমরা যাচাই করতে যাই না। এর ফলে তৈরি হয় দেয়াল। আসলে অনুসন্ধিসুৎ মন নিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করুন। দেখবেন ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে খুবই সামান্য বিষয় নিয়ে। উদাহরণ : এক ব্যক্তি একটি বেজিকে আদর করে পুষতেন। বেজির সাথে তার খুব ভাব। লোকটি যেখানে যায় বেজিটিও তার সাথে ঘুরঘুর করে। ঐ ব্যক্তির ছিলো এক ছোট ছেলে। বয়স ৭/ ৮ মাস। ছেলেটির সাথেও বেজির খুব ভাব। একদিন ছেলেটি উঠোনে ঘুমিয়ে রয়েছে। একটি সাপ এসে বাচ্চাকে কামড় দেবে। তাই দেখে বেজি সর্বশক্তি দিয়ে সাপকে আক্রমন করলো। সাপটি নিহত হলো। লোক বাড়িতে ফিরে দেখে বেজির মুখে রক্ত। সে ভাবলো এই বেজিটি বোধ হয় বাচ্চাকে কামড়েছে। কোনো দেরি না করে সে লাঠি দিয়ে বেজিটিকে এমনভাবে আঘাত করলো যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেজিটি ছটফঠ করতে করতে মারা গেল। লোকটি যখন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো দেখলো তার শিশু খেলছে। এবং তার স্ত্রী তাকে বলছে, আজ বেজিটি কীভাবে তার সন্তানের জীবন রক্ষা করেছে।
১৯৯৫ সালে একটি সার্ভে হয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষের দেশ কোনটি। সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে যে দেশটি প্রথম হয়েছিলো- তার নাম বাংলাদেশ। দারিদ্র পীড়িত একটি দেশ কীভাবে সুখী মানুষের দেশ হয়- এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল এর অন্যতম কারণ ছিলো প্রগাঢ় পারিবারিক বন্ধন। আসলে একটি গাছ যত বড়ই হোক না কেন শেকড়ের সাথে সংযোগ না থাকলে সে বাড়তে পারবে না। মানুষের ক্ষেত্রেও তদ্রুপ। জীবনের শুরু হয়েছে পরিবারে, আপনি বেড়ে উঠেছেন পরিবারে, বিপদে-আপদে সংকটে মোকাবেলায় কাছে টেনেছে পরিবার। সবাই আপনাকে তাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু আপনার পরিবার কখনও দূরে ঠেলে দেয় না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই পরিবারকে আমরা সবচেয়ে অবহেলা করি। কারণ মনে করি এই সম্পর্ক হচ্ছে গ্রানটেড। কখনও এই সম্পর্ক নষ্ট হবে না। আসলে মানুষ হিসেবে কতটা ভালো এটা প্রথম টের পাবে আপনার পরিবার। নবীজীর একটি হাদীস আছে, তারাই উত্তম যারা তাদের পরিবারের কাছে ভালো; যেমন আমি আমার পরিবারের কাছে ভালো। বাইরে আপনার মুখোশ ঢেকে রাখতে পারলেও পরিবারে আপনি আপনার মুখোশ ঢেকে রাখতে পারবেন। কারণ এখানের ক্যামেরায় আপনার সমস্ত ছবি স্ক্যান হয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৯
৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×