এমন একসময় ছিল যখন প্রবলভাবে বৃষ্টি হলে কিংবা বাজের শব্দ হলে তুই আমার বুকের মাঝে লুকাতে চাইতি ।
তোদের সহজাত কৌশল ।
আমিও আশ্রয় দিতাম ।
সহজাত কৌশলেই !
তখন আলতে করে তোর চুলে বিলি কেটে দিতাম !
তুই হেসে উঠতি খিলখিল করে ।
অজানা একটা ভালোলাগায় ভরে যেত আমার মন ।
আবার তার সাথেই একটা শঙ্কা ভর করতো !
তোকে হারাবার শঙ্কা !
জানিস কেন !
তিনি নাকি কাউকে অতিরিক্তসুখ দিতে চায়না !
কেড়ে নেন !
এই ভয়েই আমি আধমরা ছিলাম !
ভালোই কাটছিল আমাদের !
হাসি গল্প খুনসুটি !
যা হয় আরকি !
তারপর একদিন . . . . .
তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেলি !
আমাদের না . . . . .
আমাকে ছেড়ে চলে গেলি !
কি সহজেই না তুই সেটা করতে পারলি !
কাউকে না বলে ,কাউকে কোন ইঙ্গিত না দিয়ে !
তুই এত নিষ্ঠুর হলে কিভাবে !
তোর মনে কি মায়া বলতে কিছুই নাই ?
বুক চিরে আর্তনাদ বেরিয়ে আসে আমার ।
আমার জমাট ব্যাথা আমাকে তিলে তিলে মারে ।
তোর চলে যাওয়াটা সবাই মেনে নিয়েছে ।
সময়ের সাথে সাথে তারা ধীরে ধীরে ভুলে যাচ্ছে তোর স্মৃতি !
শুধু এই আমিটা পারছেনা ।
যত বার ভুলে যেতে চায় ততবার ই উকি দিচ্ছিস তুই আমার স্মৃতিতে!
সেই হাসোজ্ব্যল মুখ !
সেই উশৃংখলতা !
সেই গালে রক্তিম আভা !
বা গালে টোল পড়া একটা মুখ !
আমি আজও বসে থাকি তোর পাশে ।
ঠিক প্রতিরাতে তুই যেভাবে বসে থাকতি আমার পাশে ।
আজও স্মরণ করি আমাদের সেই দিনগুলোর কথা ।
মাঝে মাঝে আমার চোখের জল টুপ করে ঝরে পরে তোর কবরের মাটিতে ।
তোর এপিটাফের গায়ে লেখা নেই তোর কোন কথা !
শুধু জন্ম আর মৃত্যুদিবস ।
তোর কথা লেখা আছে ঠিক এইখানে !
বুকের বা পাজরে ।♥
যেখানে সবসময়থাকে একটা চিনচিনে অনুভূতি ।
আগেও থাকতো যেমন ।
শুধু পার্থক্য একটাই ।একটা সুখের একটা দুখেরআজও আমি বসে আছি তোর পাশে ।
যতদিন পারব বসে থাকব ।
যেমন তুই প্রতিরাতে বসে থাকতি আমার পাশে ।
ওহ শিট !
তোর জন্য এনে রাখা তোর বাগানের গোলাপগুলো যে কখনহাতের চাপে চুপসে গিয়েছে খেয়ালকরি নাই !
স্যরি রে . . . . . . . . . .