somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারো ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত জাহাঙ্গীরনগর (বিস্তারিত)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময় মত এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের আব্দুল মালেক নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ও উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যপক হামলা চালিয়েছে। বিক্ষুদ্ধ- শিক্ষার্থীরা ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাংচুর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গেলে তোপের মুখে পড়েন প্রক্টর ড. সোহেল আহমেদ।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার খানিক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও ভাঙচুর করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আবদুল মালেক মঙ্গলবার রাতে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়। মালেককে সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে নিতে বলে।

তবে এসময় মেডিকেলে এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় এক ঘন্টা পর বিশেষ ভাবে এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে এনাম মেডিকেলের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে মালেকের লাশ রাত ৯টার দিকে মালেকের আবাসিক হল মওলানা ভাসানী হলের সামনে আনলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোহেল আহমেদ এবং হল প্রভোস্ট ড. খবির উদ্দিন শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। পরে এক পর্যায়ে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয় প্রধান মেডিকেল অফিসারের কক্ষে।

এরপর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের বাসভবনের সামনে হামলা করে। বাসার সামনে থাকা একটি এ্যাম্বুলেন্স ও দুটি মাইক্রোবাস এবং বাসার ভিতরে ঢুকে একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। তবে এসময় উপাচার্য বাসভবনে ছিলেন না। এরপর প্রভোস্টের বাসা, রেজিস্ট্রার ভবনেও ব্যপক ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।

পরে রাত ১০ টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে দ্বিতীয় দফায় হামলা করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বটতলা এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এ্যাম্বুলেন্সের জন্য প্রক্টরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. খবির উদ্দিন বলেন, আমাকে রাত ৭ টা ৫১ মিনিটে এ্যাম্বুলেন্স লাগবে জানালে ৫ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা করেছি।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. সোহেল আহমেদ বলেন, আমি প্রথমে হল প্রভস্টের কাছ থেকে জানতে পারি। এরপর দ্রুত সময়ে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করি।

তিনি আরো বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি মেডিকেল সেন্টারের দেখার কথা। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারটির বেহাল দশা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় অসুস্থ হয়ে কোন সেবা পায় না। এর আগেও বেশ কিছু ছাত্র মৃত্যুবরণ করেছে সময় মত এ্যাম্বুলেন্সের অভাবে। প্রশাসন বিভিন্ন সময় মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

-সৌজন্যেঃ টাইমস ওয়ার্ল্ড ডট কম
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×