যতই দিন যাচ্ছে ততোই মনের মধ্যে প্রশ্নটি বার বার উঁকি দিচ্ছে। কাদের মোল্লার ফাঁসীর দাবী নিয়েই শাহবাগ আন্দোলনের সূচনা হল, প্রথমে গুটি কয়েক জনসাধারণ উপস্থিত হলেও পরে ব্যাপক হারে দলে দলে লোক এতে অংশগ্রহণ করে। কারন সবার দাবী একটাই ছিল, কাদের মোল্লা সহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসী। কিন্তু সব কিছু দেখে এখন কেন যেন মনে হচ্ছে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়ে আন্দোলনের ইস্যু যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসী থেকে সরে গিয়ে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক হতে শুরু করেছে। এখন আর এই আন্দোলন শুধু যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসীতেই সীমাবদ্ধ নেই। এরা প্রজন্ম চত্তর থেকে যা যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা কি জনসাধারণের সাথে আলোচনা করেই নিচ্ছে নাকি নিজেরাই নিজেদের ইচ্ছেমত নিচ্ছে?
সবকিছু দেখে এখন কেন যেন রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছি। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী হবেই, কিন্তু সব রায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার পেছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই তো? কারন সব রায় আসতে আসতে নির্বাচনের খুব বেশী দেরি থাকবেনা। আর এরা রাজপথে থাকা মানে সরকারী দলের লাভ। কারন বিরোধী দল এখন মিছিল-মিটিং, হরতাল ডাকলেই তা জামায়াত-শিবিরের পক্ষে বলে প্রচার করতে সুবিধা হবে। খটকা লাগে তখনই যখন মনে হয়, মাহী বি চৌধুরীও একসময় তরুন প্রজন্মদের নিয়ে শান্তিপূর্ন সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন। তখন তাদেরকে বিনা অনুমতিতে সমাবেশ সহ অস্থিরতা সৃষ্টির অযুহাতে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছিল। আর সরকার এখন শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বিরিয়ানি খাওয়ায়ে বেড়াচ্ছে। শাহবাগের আন্দোলনকারীরা যখন যেখানে খুশি সমাবেশ করছে, এখন কি সরকারের অনুমতি লাগেনা? উল্টো শাহবাগ থেকে যা যা দাবী করা হচ্ছে সরকারও তার সাথে সায় দিয়ে যাচ্ছে। বাম দলের কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির কথা নাহয় না ই বললাম। এত কিছু দেখার পর শাহবাগ আন্দোলনের নিরেপেক্ষতা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে। তার মধ্যে আবার শাহবাগ আন্দোলনের প্রধান আহ্বায়ক 'সরকার এইচ চৌধুরী' রংপুর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (স্বাচিপ) !