উত্তর গুলো মন জানতে চায়!!!
#1. আমাদের সুবচন পটিয়সী প্রধানমন্ত্রী মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, "বিরোধীদলীয় নেত্রী মাওলানা শফীর তেঁতুল হতে চাইলে কিছু বলার নেই"। রেকর্ড ঘেটে দেখলাম বেগম খালেদা জিয়ার সাথে মাওলানা শফীর কোন সাক্ষাতকারের ইতিহাস নেই, বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথেই দুই বছর আগে মওলানা শফীর বৈঠক হয়েছিলো। উনার এই বক্তব্য কী সেই বৈঠকের অভিজ্ঞতার ফসল?
#2. তেতুল নিয়ে আলোচনা যে শেষই হচ্ছে না!
প্রিন্সিপাল শফি সাহেবের ওয়াজে এই তেতুলের উপমার চেয়ে অনেক হুজুর এমন কী সাঈদী সাহেবও নারীদের নিয়ে আরো অশ্রাব্য উপমা ব্যবহার করেন। যতদিন শাফি সাহেব আওয়ামী লীগের নেতা হাসান মাহমুদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলতে পেরেছেন ততদিন তারানা হালিমদের কাছে তেতুল খুব মজার ছিলো। পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে হারের পর হেফাজতের সাথে সম্পর্ক নবায়ন করতে না পেরে এখন তেতুল টক হয়েছে! হা: হা: হা:
বাস্তবতা-১: চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী কে ধর্ষণ করেছে যুবলীগের দুই নেতা। বাচ্চা মেয়েটা লজ্জায়, যন্ত্রনায় আত্মহত্যা করছে।
বাস্তবতা-২: সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারী তাদের সম্মেলনের সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচতে আসা এক তরুনীকে উপর্যুপরি ধর্ষন করেছে।
এগুলো নিয়ে কোন কথা হয়নি, হচ্ছে না, হবে না। কারণ:-
প্রথমত: মেয়ে দুইটা মুসলিম, তাই এটা নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা ব্যবসা করা যাবে না;
দ্বিতীয়ত: ধর্ষক বিএনপি -জামাতের কেউ না, সুতরাং চেতনার ব্যবসাও করা যাবে না;
তৃতীয়ত: ধর্ষকরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠনের সদস্য। সুতরাং তাদের জন্য সব জায়েজ।
এই ঘটনাগুলো নিয়ে সুলতানা কামাল ও তারানা হালিম গংদের মত মেইন স্ট্রীম মিডিয়াও নিশ্চুপ।
তাহলে ফলাফল কী দাঁড়ালো? নারীদের নিয়ে কটুক্তি বা অশ্রাব্য উপমা দিলে তাদের গ্রেফতার করার দাবী জানাতে হবে, আর আওয়ামী পন্থীরা নারী ধর্ষন করলেও সেটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করা যাবে না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবি-সাহিত্যিকরা যদি নারীদেহকে 'বেতস লতা', নারীর চোখকে 'পটল চেরা', নারীর উরুকে 'কলা গাছ' এর সাথে তুলনা করেন তাহলে সেটা বৈধ হবে, এবং থাবা বাবার (Aka রাজিব) মত কেউ যদি নারী দেহ নিয়ে ধর্মকে ব্যাঙ্গ করে পর্নো সাহিত্য রচনা করে তাহলে সে 'শহীদ' ঘোষিত হয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে
-Akm Wahiduzzaman