somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্ধকারের একজন (শেষ অংশ) || অদ্ভুতদের গল্প

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

«অন্ধকারের একজন (দ্বিতীয় অংশ)
«অন্ধকারের একজন (প্রথম অংশ)


মৃদু বাতাস বইছে। আকাশে কিছু মেঘ দেখা যাচ্ছে। রিমি লোকটার দিকে এগিয়ে গেল।

- তুমি এসেছ?
- আপনি কে? কি চান? কেনই বা এখানে এসেছেন?
- আরে আস্তে আস্তে। এতোগুলো প্রশ্নের জবাব একসাথে কিভাবে দিব বল। আচ্ছা একটা একটা করে দেই। অবশ্য একটির উত্তর দিলেই সবগুলোর জবাব পেয়ে যাবে।
- আপনি কিন্তু আবারও হেয়ালী করছেন।
- আমি মোটেই হেয়ালী করছি না।
- আচ্ছা, আপনার সাথে কি সেদিন রাতের প্লানচেটের কোন সম্পর্ক আছে?
লোকটি হো হো করে হেসে বলল, না। হলে ভাল হত বোধ হয়। কিন্তু সেদিনের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আসলে সেদিন রাতে ছাদ থেকে যে শব্দটি শুনতে পেয়েছিলে সেটার কারন কিন্তু তোমার ছোট বোনই ছিল।
রিমি অবাক হয়ে বলল, সারা!
- হুমম। আর তোমার রফি ভাইয়েরও একটু হাত ছিল। আচ্ছা, তুমি জানতে চাও তো আমি কে? দাঁড়াও বলছি, তবে তার আগে তোমাকে ছোট্ট একটি কাজ করতে হবে।
- কি কাজ?
- চোখ দুটো বন্ধ করতে হবে।

রিমি বুঝতে পারল না তার কেন চোখ বন্ধ করতে হবে। সে বিরক্তি নিয়ে লোকটার দিকে তাকিয়ে রইল। লোকটাকে দেখে মনে হচ্ছে সে-ও নাছোড় বান্দা, চোখ না বন্ধ করলে কিছুই বলবে না। বাধ্য হয়ে সে চোখ দুটো বন্ধ করল।

আর সাথে সাথে বিরাট এক ধাক্কা লাগল।

প্রথমে মনে হল কেউ একজন তার মস্তিষ্কের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তার স্নায়ুগুলো নিয়ে খেলা করছে, প্রতিটি নিউরনে নিউরনে নেচে বেড়াচ্ছে। সে বুঝতে পারছে। হ্যা, সে এমন কিছু বুঝতে পারছে যা ছিল তার কল্পনারও বাইরে।

তার মনে হল লোকটি সাধারণ কেউ নয়। অন্য এক জগতের বাসিন্দা। অন্ধকার জগতের একজন। আর সেই জগতটার সাথে রিমির কোনো একটি যোগসূত্র আছে। সুক্ষ্ম তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো যোগসূত্র। আর রিমির কাছে সেটাই ধীরে ধীরে পরিস্কার হচ্ছে। যতই পরিস্কার হচ্ছে তার বিস্ময়ের পরিমান ততই বাড়ছে।

- এই রিমি! কি হয়েছে?
রিমি চোখ খুলে দেখল মা তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
- এমন করছিস কেন?
রিমি আশেপাশে তাকাল। কিন্তু লোকটিকে দেখতে পেল না।
- কাকে খুঁজিস?
- কই, কাউকে না তো। তুমি উপরে এলে কখন?
- এই তো কিছুক্ষন আগেই। কিন্তু তুই এই সন্ধ্যা বেলায় একা একা ছাদে কি করিস?
রিমি মিষ্টি হেসে বলল, কই কিছু না তো।
- সারা আমাকে বলেছে তুই নাকি প্রায়ই একা একা ছাদে চলে আসিস।
- এমনিই, তেমন কিছু না মা। চলো নিচে যাই।
- চল। এমন সময় ছাদে থাকাও উচিত না।

তারা দুইজন সিঁড়ির দিকে এগোতে লাগল। তাদের পেছনে লোকটি দাঁড়িয়ে রইল। সে তার দায়িত্ব শেষ করেছে। এখন ফিরে যাবে তার পৃথিবীতে। সেখানে অপেক্ষায় থাকবে অন্যরকম একটি মেয়ের জন্য। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×