বগুড়া ৪-৬ আসনে নির্বাচন হলো। সম্ভাবনা জাগিয়েও হিরো আলম স্বল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। ওনার অভিযোগ ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে। ওনাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওনি বলছেন, ওনার মতো অশিক্ষিত লোককে স্যার সম্ভোধন করতে হবে বলে প্রশাসনের লোকজন ওনার প্রতি অবিচার করেছেন।
সত্য মিথ্যা জানি না, তবে কিছু একটা যে হয়েছে এটা বোঝা যায়। আর রাজনীতি টা তো এখন ভাঁড়দের দখলে। তো ওনি এমপি হলে নতুন কী ক্ষতি হতো, বোধগম্য হচ্ছে না। মমতাজ কি এদেশে এমপি হননি? সংসদে এমন অনেকেই আছেন, যারা ঠিকমতো কথাই বলতে পারেন না। তৈলমর্দন করে টিকে আছেন। তাহলে হিরো আলমে সমস্যা কী? অশিক্ষিত বলে? আরও বহু শিক্ষিত লোক থেকেও তো তেমন লাভ হচ্ছে না।
দেশের একজন ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন। ওনি প্রধানমন্ত্রীত্ব করায় তো চাঁদ-তারা খসে পড়েনি। হিরো আলম এমপি হলে খসে পড়ত? না কি ওই প্রধানমন্ত্রীর মতো পেছনে সাইনবোর্ড না থাকায় জীবনযুদ্ধে পিছিয়ে গেল হিরো আলম?
একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে এসে, মানুষের ঠ্যালা-গুঁতায় বড় হওয়া একজন মানুষ এ পর্যন্ত উঠে এসেছে; এটাই বা কম কী? একটা সময় আসবে যখন এরাই সংসদ না শুধু, সর্বত্রই রাজ করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৭