একজনের স্ত্রীর সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ দোষের কিছু নয়, যদি সে সহকর্মী হয়। প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে ডাকতেই পারে। তবে সমস্যা হয় তখনই, যখন শোনা যায় দু'জনের মধ্যে আগে থেকেই প্রণয় তো বটেই, বিয়েও হয়েছিল (পরকীয়া জনিত ব্যাপার হলে গুরুতর অন্যায়। সম্পর্ক না রাখলে বাদ। দু নৌকায় পা দেওয়া প্রতারণা)। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোনো কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব দেখলে মনে হয় ঘটনা সত্য। যদিও সব পক্ষই বিয়ের ব্যাপারটা অস্বীকার করেছে।
স্বামী সংসার বাঁচাতে করজোড় করলে বোঝা যায় ঘটনা আসলে অনেকদূর গড়িয়েছে। স্ত্রী অসুস্থ অথচ স্বামী জানেন না। ডাক্তার দেখাতে অন্যজনের শরণাপন্ন হতে হয়। অথচ স্বামীর পদবি আরও ওপরে। আহা হতভাগা স্বামী!
স্বামী লোকজন নিয়ে সিনক্রিয়েট করলে স্বামীকে কিছু করতে না পেরে সাথের লোকদের থানায় নিয়ে নির্যাতন, দাঁত ভেঙে দেওয়া এই বার্তাই দেয় পৃথিবী শক্তের ভক্ত, নরমের যম। যদিও দাঁত ভাঙার জবাব সাময়িক বরখাস্ত। অতঃপর বদলি। ওসি প্রদীপ যেমন হাজার অপরাধ করে পার পেলেও সিনহাকাণ্ডে দণ্ডিত। এটা তো চিরন্তন অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
এতদ্বসত্ত্বেও সহকর্মীর প্রতি স্ত্রীর দরদে এটাই প্রতীয়মান হয়, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। সহকর্মী কর্তৃক চুড়ি উপহার এই বার্তা দেয় জল অনেকদূর গড়িয়েছে। বেচারা স্বামীর সবকিছু বুঝে তবেই বিয়েতে সম্মতি দেওয়া উচিত ছিল না? কেন লোকে অন্যের অভিশাপ কাঁধে নেয়?
সত্য-মিথ্যা অনির্ণীত যে, ভার্সিটি লাইফে গোপনে দু'জনের বিয়ে হয়। স্ত্রী পরবর্তীতে আরেক বিসিএস ক্যাডারকে বিয়ে করে। ব্যাপারটা কেবল লোভ নয়, অসীম উচ্চাকাঙ্ক্ষারও বটে। স্ত্রী জাতি কি এমনই?
মিন্নির ঘটনা মনে পড়ে, মনে পড়ে এসপি বাবুলের ঘটনাও। মানুষ কত বেঈমান অথচ নির্বোধ। ভুলে যায়, তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭