শিরোনাম নিয়ে অনেকে অনেককিছু ভাবতে পারেন। তবে যে বিষয়ে ভাবছেন; এই লেখাটা আসলে সেই বিষয়ে নয়। যদি একটু বলিও, আসলেই সাইজ বিষয় না। বেশিক্ষণ টিকতে পারলেই হলো। যদিও বড় হলে আর টিকতে পারলে উপভোগ্য বেশি হয়।
এখন আসি আসল কথায় (লেখায়)। যার কথা বলছি, তার নাম মো. শামসুর রহমান মফিজ (২৮)। নিজেকে রাজবাড়ীতে ডিবিপুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ধান্দাবাজি করতেন। যাহোক, মফিজ অবশ্য বেশিদিন বাটপারি করতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ধরা খেয়ে এখন চৌদ্দ শিকের ভাত খাচ্ছেন।
মফিজের বাড়ি পাংশা উপজেলার চর ঝিকড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায়। উনার বাবার নাম মো. হারেজ মিয়া।
জানা যায়, গত ২১ নভেম্বর রাতে মফিজ সোহেল রানা নামের এক লোককে ফোন দিয়ে নিজেকে গুলশান ডিবি ঢাকার একজন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে জানান যে, তার নামে অজ্ঞাত হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা থেকে রক্ষা পেতে হলে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে মামলাটি গুলশান থানা থেকে পাংশা থানায় স্থানান্তর করা হবে।
সোহেল রানা টাকা না দেওয়ায় মফিজ অন্য একটি মোবাইল থেকে তাকে ফোন দিয়ে পাংশা থানার অফিসার পরিচয় দিয়ে থানা-পুলিশের ভয় দেখিয়ে আবারও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পাংশা থানা পুলিশ মফিজকে কৌশলে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকারও করেন তিনি। ভুক্তভোগী সোহেল রানা উনার নামে প্রতারণার মামলা করেছেন।
মফিজের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় প্রতারণার মামলা আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলের মাধ্যমে নিজেকে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।
উল্লিখিত মফিজের উচ্চতা কত জানেন? মাত্র ৩ ফুট। কত বড় এলেমদার, বুঝতে পারছেন? আমি ভাবি, এমন জ্ঞানী লোকের নাম কেন মফিজ? কোপা শামসু হলে ভালো হতো না? যদিও নামের শুরুতে শামসু আছে। উনি হয়তো বুদ্ধি করে নিজেকে মফিজ নামে পরিচিত করতে পছন্দ করেন, যাতে বাটপারি করতে সুবিধা হয়।
সূত্রঃ সময়
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৯