আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে ছলে-বলে-কৌশলে সব শ্রেণির মানুষকে একত্র করা গিয়েছিল। কিন্তু সরকার পতনের পর দেখা গেল নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠী কেবল সুবিধা পেল। বিশেষভাবে বললে বিএনপি আর জামায়াত।
আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ এখন বিএনপির হাতে। টেম্পো স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির কারণে এরমধ্যে তারা টেম্পো দল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছে। ক্ষমতায় যা্ওয়ার আগেই মাঠ তাদের দখলে। গত ছয় মাসে বহু সংখ্যক নেতাকর্মী দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে পদচ্যুত হয়েছে। তবুও তাদের থামানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি নির্বাচন চাচ্ছে তারা।
এদিকে জামায়াত মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে আবির্ভূত। সেনাবাহিনী আর তারা নাকি দেশের সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক! দেশের বিরাট একটা অংশ তাদের একাত্তরের কার্যক্রমকে সমর্থন করছে। আসলে লোকজন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শাসনামল দেখে বিরক্ত হওয়ায় হয়তো ব্যতিক্রম কিছু চাচ্ছে।
এদের সাথে ছাত্ররা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিলে যাচ্ছে। যদিও তারা আলাদা দল করার পথে। মনে হচ্ছে মিলেমিশে রাজনীতি করতে চাচ্ছে।
শুরুতে বলছিলাম সরকারের পতন ঘটাতে ছলে-বলে-কৌশলে সব শ্রেণির মানুষকে একত্র করা হয়েছে। থানা লুট হয়েছে, বড় বড় আসামিরা বেরিয়ে গেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা আর কী বলব। যা যাকে পাচ্ছে মেরে খাচ্ছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ নেই, খেলা হচ্ছে একপাক্ষিক।
অরাজকতার সুযোগে উন্মত্ত জনতা জেগে উঠেছে। চলছে মব জাস্টিস। জোর করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগ করিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের বসানো হচ্ছে। দেশে যত মাজার, ভাস্কর্য আছে সব ভেঙেচুরে একাকার করে দিচ্ছে। ধানমন্ডি ৩২ থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট সবকিছুতেই হামলা হয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা হচ্ছে।
সব শেষে জানা গেছে বইমেলায় একটা প্রতিষ্ঠানে স্যানেটারি ন্যাপকিন রাখায় তৌহিদি জনতা স্টল বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে। তাদের হুমকিতে বাংলা একাডেমি স্টল থেকে স্যানেটারি ন্যাপকিন সরানোর আদেশ দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৯