সরকার পতনের স্টেক নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সবাই। কয়েকদিন ধরে ক্যাচাল লেগেছে শিবির আর সমন্বয়কদের মধ্যে। বিএনপি তো আগে থেকেই বলছিল এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।
যদিও এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার এই আন্দোলনে সব শ্রেণির মানুষকে একত্র করা গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার সুযোগে অনেক মহল ছাত্রদের কাজে লাগিয়েছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য, দেদারছে টাকা খরচ করেছে। ব্যাপক সমর্থনও পেয়েছে ঘরে-বাইরে সব জায়গায়। এখন যেহেতু আন্দোলন সফল হয়েছে, শুরু হয়ে গেছে ভাগ-বাঁটোয়ারার কেচ্ছা।
আন্দোলনের সময় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার একটা কথা শোনা গিয়েছিল। এটা যে মুলা ঝোলানো অনেকেই হয়তো বুঝতে পারেনি। সে সময় আধুনিক একটা রাষ্ট্র গঠনের আশ্বাসও শোনা গিয়েছিল। মেয়েরা যে আশায় আন্দোলন করেছিল, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে তাদের সামনে কী পরিণতি অপেক্ষা করছে?
আজকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। এছাড়া তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে। এ নিয়ে উত্তেজনার জেরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো তা হতে দেবে না। আগে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য সহ্য করতে হয়েছে, এখন ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সমন্বয়কসহ আরও সংগঠনের অত্যাচার সহ্য করতে হবে। ধর্মপন্থি রাজনৈতিক দলসহ অন্যদের যন্ত্রণা তো সইতেই হবে।
আওয়ামী লীগ দেড় যুগ ভালোমতোই খেয়েছে, অন্যদের তেমন খেতে দেয়নি। এখন বাকি ক্ষুধার্তরা উঠেপড়ে নেমেছে। ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান।’