somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাতের গুলশান লেক, ঢাকা

১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার ডি.এস.এল.আর জীবনের প্রথম রাতের ছবি তোলার সুযোগ ঘটেছিল গুলশান লেকের আশেপাশের এলাকায় প্রায় একবছর আগে। অদক্ষ হাতের তোলা কিছু ছবি আজ শেয়ার করছি। তখন হাতে সবে মাত্র ক্যামেরাটি হাতে এসেছে। ফটোগ্রাফির ডিজিটাল আর অনলাইন কমুউনিটিতে আসি পরিচিত এক বড় ভাইয়ের হাত ধরে। তার কাছেই জানতে পারি এই রাতের ছবি তোলার আয়োজন এর কথা।

১লা আগষ্ট ২০০৮, শুক্রুবার
সরকারী ছুটির দিন, কিন্তু পুর্বনির্ধারিত অফিস থাকায় অফিস থেকেই গেলাম গুলশান ১নং লেকের পাশে। দেখা হলো অপেক্ষমান ফটোগ্রাফারদের সাথে। ধীরে ধীরে আরও কয়েকজন সামিল হল আমাদের সাথে। ঢাকার সিকিউরিটি সিসটেম এতটা ভাল নয় যে একা একা দামি ক্যামেরা হাতে পথে পথে ঘুরার সাহস করি। তাই দল যত ভারী হবে তাতে দুটা সুবিধা, ১) অহেতুক সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না ২) পুলিশ মামাদের অহেতুক প্রশ্নের মুখে পরতে হ্য়না।





বিকালের আস্তগামী সূর্যের সোলালী আভা যখন পশ্চিম দিগন্তে খেলা করছিল তখন থেকে আমারদের ছবি তোলা শুরু হয়েছিল। বাড্ডা লিঙ্ক রোডের পাশে দাঁড়িয়ে কিচ্ছুক্ষন ছবি তুল্লাম। গুলশান লেকের পানিতে পাশের সুউচ্চ বিল্ডিং এর ছাঁয়া পড়ছিল। খন্ড খন্ড মেঘ ছিল আকাশে। সব মিলিয়ে দূরদান্ত এক আবহাওয়া।




ধীরে ধীরে সূর্য মামা চলে গেল আর রেখে গেল চাঁদ মামীকে। নিকোশ কালো আন্ধকারে আমাদের রেখে। গুলাশান ১ আর বাড্ডা লিঙ্ক রোড এর ঝলমলে আলোতে দূর করে দিয়েছিল সে অন্ধকার। আকাশে তারা ও ছিল কিছু কিছু। অন্ধকারে লেকের শীতল পানিতে পড়ছিল আশে পাশের সুঊচ্চ বিল্ডিং এর আলো আর বাড্ডা লিঙ্ক রোডে যানবাহনের আলো।






এর পর বেশ কয়েকবার ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়িয়েছি রাতের ঢাকার পথে পথে। রাতের ঢাকা আসলেই অনেক সুন্দর। ২১শে ফেব্রুয়ারী’০৯ তে সারারাত ছিলাম জাতীয় শহীদমিনারের পাশে। আর একদিন সময় করে বলব সে কথা।

আগের ব্লগঃ খানাইয়া দিঘি মসজিদ, ছোট সোনামসজিদ, কানসাট চাপাইনবাবগঞ্জ
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৪
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×