somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওলোমো রক, আবেকোটা, ওগুন, নাইজেরিয়া

০৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পশ্চিম আফ্রিকার দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে ওলোমো রক অন্যতম। এটি প্রাচীন নগর “আবেকোটা” এ অবস্থিত। আবেকোটা নামের অর্থ “পাথরের নিচে”। ১৯শত শতাব্দীর সময়ে উপজাতীয় যুদ্ধের সময় “এগবা” উপজাতীয়রা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। ওলোমো রক “এগবা” উপজাতীয়দের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া ছাড়াও শ্ত্রু পক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষন ও আক্রমনে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। পরবর্তি সময়ে ওলোমো রককে কেন্দ্র করে জনবসতির বিস্তার ঘটতে থাকে।




বানিজ্য নগরী ল্যাগস খুব কাছেই ওলোমো রক। রাস্তায় যদি কোন জ্যাম না থাকে তো ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন ওখানে। আবেকোটা যাবার পথে আকাঁবাকাঁ পাহাড়ি পথ দেখতে দেখতে বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি অথবা বান্দরবন যাবার অনুভুতি পেতে পারেন।
২০০৬ সালে ওলোমো রকে বড় ধরনের সংস্কার করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে এখন এখানে পাবেন আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, মিউজিয়াম, পাথরের ঝর্ণা আর দীর্ঘ পাথরের সিঁড়ি পাড় হওয়া থেকে রক্ষা পেতে আছে লিফট।




গাড়ি নিয়ে গেলে ওলোমো রকে প্রবেশের মুখেই আপনার দলের ধরন বুঝে টিকিট কাটতে হবে, যা আপনার সাথে আনা গাড়ি/ক্যামেরা/খাবার/প্রতিজন উপর ভিত্তি করে পে করতে হবে। আপনি যদি লিফট ব্যবহার না করেন তাহলে মাথাপিছু লাগবে ৫০০ নাইরা। আর লিফট সহ ৯০০ নাইরা। সাথে ক্যামেরা/খাবার থাকলেও আপনাকে অতিরিক্ত কিছু নাইরা পে করতে হবে।
মোট তিন লেভেলে বিভিক্ত ওলোমো রক। এই তিনটি স্তরেই পৌঁছানোর জন্য তিনটি লিফট আছে।
সবচেয়ে নিচের স্তর/গ্রাউন্ড লেভেলঃ সম্পুর্ন ওলোমো রকের ভিউ এখান থেকে পাবেন। নিচে আছে কার পার্কিং, মিউজিয়াম, রেস্টরুম, ক্যাফে, বিশ্রাম নেবার জন্য পাথরের তৈরী আসন, পাথরের তৈরী ঝর্ণা।






মাঝখানের স্তর, ৮ তলায়ঃ নিচ থেকে পাথরের সিঁড়ি ভেঙ্গে পৌঁছে যাবেন মাঝখানের স্তরে। পাথরের মাঝথেকে বেড়ে উঠা গাছের ছায়ায় পাথরের আসনে বসে বিশ্রাম নিতে পারেন কিছুক্ষন। উপভোগ করতে পারেন ঝিরিঝিরি বাতাস আর আসে পাশের ছোট হয়ে যাওয়া জনবসতি।









এখান এসে আপনি দুইটি পথ দেখতে পাবেন। পাথরের পাশ ঘেঁষে ডান দিকের পথটি ধরে চললে আপনি পৌঁছে যাবেন যুদ্ধের সময়ে এগবাদের লুকানোর যায়গায়।








আর ডান দিকেরটি চলে গেছে রক গার্ডেনে এ। রক গার্ডেনে যাবার পথে দুই পাথরের মাধখানে যে সংকির্ন পথটি দেখতে পাবেন সেটি এগবাদের ব্যবহার করা পাথরের উপরে উঠার জন্য প্রাচীন পথ। নিচের দেয়ালে খোঁদাই করা কিছু মুখোশ দেখতে পাবেন এই পথের মুখে।






রক গার্ডেনে পাথর আর গাছের ছায়ায় আলো আধারীর খেলা দেখতে দেখতে পার করে দিতে পারেন কিছুটা সময়।




এর পরে এগবাদের প্রাচীন পথটি ধরে উঠে যান মাঝের উপরের স্তরে।







মাঝখানের উপরের স্তর, ২০ তলায়ঃ সংকির্ন দুই পাথরের মাঝদিয়ে ধীরে ধীরে চলে যান উপরের স্তরে। আপনি এখন এখন ২০ তলায়। উপর থেকে আশে পাশে লোকালয় আরোও ছোট হতে দেখবেন। বিশ্রাম নিয়ে চলুন একবারে উপরের স্তরে।



উপরের স্তর, ২৩ তলায়ঃ সবচেয়ে উপরের স্তরে পৌঁছাতে পারবেন দু ভাবে। এক, রক গার্ডেন থেকে মানুষের তৈরী ৭ তলা সিড়িঁ পাড়ি দিয়ে। অথবা এগবাদের প্রাচিন পথ ধরে উপরের মাঝারি স্তরে গিয়ে এর পরে ঢালু পাথর বেয়ে উপরে।
যেভাবেই যান না কেন, ২৩ তলা সমান উঁচুতে উঠার পরে আপনার মনে হবে আপনি এভারেষ্ট জয় করে ফেলেছেন। যাক এই যাত্রায় আমরা এভারেস্ট নয় ওলোমো রক জয় করলাম।







মুলত আবেকোটা পাথরের নগরী। চারিদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে আছে অনেক ছোট বড় পাথর। আর জনবসতি গড়ে উঠেছে এই সব পাথরের আশেপাশে। ওলোমো রকের চূড়া থেকে দূরে আকাঁবাকাঁ যে নদীটি দেখতে পাবেন, ওটার নাম ওগুন নদী। ষ্টেস্ট এর নাম অনুযায়ীই এর নাম করন। আবেকোটা শহরের সবচেয়ে উচু যায়গা থেকে অবলোকন করতে পারবেন শহরের পুরোটা অংশ। সাবধানতা হিসেবে পাথরের বিভিন্ন যায়গায় লাল রঙ্গের সীমান্ত রেখা আঁকা আছে।

ওলোমো রকের কো-অর্ডিনেটঃ 7°10'00.22"N 3°20'33.04"E
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×