বিডিআর হেডকোয়ার্টারের বাইরে মোবাইল ফোন কানে চিৎকার করে কথা বলছে এক যুবক। কৌতুহলি সাংবাদিক তার দিকে এগিয়ে যান। গোলাগুলি-বিশৃঙ্খলার মধ্যে এই দৃশ্যটি অবশ্যই ব্যতিক্রম, আর সে জন্যই এটি দৃষ্টি আকর্ষন করেছে এই সাংবাদিকের।
মাসুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার ভাই আলম (ছদ্ম নাম) বিডিআর জওয়ান। তিনি ভেতরে আছেন। মাসুদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ আছে। আলমের কাছ থেকে জানা গেছে, বিডিআরের দরবরা চলাকালে বিডিআর প্রধান, ডিজিকে গুলি করা হয়েছে। এ সময় আরো কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকেও গুলি করা হয়। ডিজি, বিডিআর নাকি প্রচন্ড দুর্ব্যবহার করতেন জওয়ানদের সঙ্গে এবং কৃৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করতেন। ঘটনার সময়ও নাকি তিনি প্রত্যেককে অত্যন্ত অপমানজনকভাষায় গালিগালাজ করছিলেন।
আর্মি বিডিআর সদর দপ্তরের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বিডিআর জওয়ানেরা বলছেন, শেষ রক্তবিন্দু থাকতেও বিডিআর হেডকোর্য়ার্টারের দখল আর্মি বা অন্য কাউকে নিতে দেওয়া হবে না। আলম বলেছেন, আমরা নারা ধরণের ভারি অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত। মৃতু্কে ভয় পাই না। যদি আর্মি বিডিআর দপ্তর দখণ নিতে চায়, তবে যুদ্ধ হবে। বিডিআর জওয়ানেরা এখন সমঝোতা চাইছে। তারা চাইছে উচ্চ পর্যায় থেকে তাদের সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, এ তথ্যগুলো একজন বিডিআর জওয়ানের দেওয়া, সুতরাং একপেশে হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর কোনো আপডেট জানা গেলে দ্রুত জানানো হবে।