বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম মানসিক হসপিটাল। ১৯৫৭ সালে এর যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৬০ টি বেড নিয়ে। তৎকালীন সিভিল সার্জন ড. মোহাম্মদ গাঙ্গুলি এর কাজ শুরু করেন। তিনি মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না তবে এ নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। প্রথমে এটি ছিল সিক্লাই নামে একজন জমিদারের বাড়িতে, তারপর ১৯৬০ সালে ১১১ একর জমির উপর বর্তমান হসপিটাল চালু হয়। শ্রী শ্রী অনুকুল চন্দ্র নামক একজন সহৃদয় বাক্তি জমিটি দান করেন।
এখন আমি হসপিটাল সম্পর্কিত আমার দেখা কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। হসপিটাল টা দেখেই আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এত বড় আর এত খোলামেলা জায়গা আমার কাছে মনে হয়েছে মানসিক সুস্থতার জন্য এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। হসপিটালটি খুবই পরিষ্কার পরিছন্ন। এখানে ফ্রি বেড এবং পেয়িং বেড দুই ধরণের ব্যবস্থাই আছে।
কিন্তু হসপিটাল এর ব্যবস্থাপনা দেখে আহত হয়েছি। ৫০০ রোগীর জন্য মাত্র ৩জন সাইকিয়াট্রিস্ট,একজন ক্লিনিক্যাল সাইকলজিস্ট, সাইকিয়াট্রি সোশাল ওয়ার্কার ৩জন, ৩জন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, নার্স প্রায় ৩০০ জন।
রোগীদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। এছাড়া এতো রোগী কে বাবস্থা করার মত যথেষ্ট লোকবল নেই। মানসিক রোগীরা যদি কিছু করে বসে এজন্য তাদের ছাড়া হয় না। গ্রুপ থেরাপি বা অন্য প্রসেস গুলো লোকবলের অভাবে মানা হয় না। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব কিছু কিছু জায়গা তে লক্ষ্যনীয়।
আমাদের দেশের এত বড় একটি মানসিক হসপিটাল এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরী। মানসিক রোগ আমরা সবসময় অবহেলার চোখে দেখে আসছি কিন্তু সচেতন হওয়া আমাদের প্রয়োজন। গবেষণায় পাওয়া যায় যে মানসিক রোগীদের আত্মহত্যার প্রবনতা বেশি থাকে।
শারীরিক রোগের পাশাপাশি মানসিক রোগ কে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার নতুবা আমাদের জনগোষ্ঠীর একটি অংশ অবহেলিত এবং অথর্ব হয়ে পরে থাকবে।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




